নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পেট থেকে বের হয়ে যাওয়া ভুঁড়ি গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় ওই যুবককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর ভাতিজার বউ। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ভাতিজার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। একই বাসায় থাকতেন তাঁরা।
কীভাবে যুবকের পেটের ভুঁড়ি বের হলো, হাসপাতালে যাওয়ার পর দুজনের কেউ এ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না। একপর্যায়ে ওই তরুণী দাবি করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের অলোকার মোড়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তাঁর ভুঁড়ি বের হয়েছে। কিন্তু অলোকার মোড়ে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ অবগত নয়। পরে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় গিয়ে পুলিশ দেখে, মেঝেতে পড়ে আছে রক্ত আর রক্তমাখা ছুরি। পরে ওই তরুণী দাবি করেন, যুবক নিজেই নিজের পেটে ছুরি চালিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
আহত যুবকের বাড়ি নাটোরে। পেশায় তিনি একজন রংমিস্ত্রি। তাঁর ভাতিজা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সম্প্রতি ভাতিজার বউকে নিয়ে ওই যুবক টিকাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওই বাসাতেই। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে আহত যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনি তাঁর ছেলের বউকে একমাত্র আসামি করেছেন। হাসপাতাল থেকে আটক ওই তরুণীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ভাতিজার বউয়ের সঙ্গে ওই যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই সূত্রেই তাঁরা এক বাসায় থাকতেন। বিয়ে করতে চাইলে মেয়েটি রাজি না হলে যুবক নিজেই পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পর রাতেই অস্ত্রোপচার করে ভুঁড়ি পেটে ঢোকানো হয়েছে।
মামলার বাদী ও আহত যুবকের বড় ভাই বলেন, হাসপাতালে গিয়েই তিনি তাঁর ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছে। প্রথমে চুপ থাকলেও পরে তাঁর ভাই বলেন, ‘আমার জীবন তো শেষ। আর বলে লাভ কী। আরেকজনের ক্ষতি করে কী করবেন!’ তারপরও চাপাচাপি করলে বলেন, ভাতিজার বউ তাঁকে ছুরি মেরেছেন।
ওই যুবকের বড় ভাই আরও বলেন, ‘এক বছর আগে আমার ছেলের সঙ্গে এই মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ের তখন এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার দিনই বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি ছেলে, ছেলের বউ ও আমার ভাই তিনজনই মাদকাসক্ত। এসব দেখে তাদের আলাদা করে দেই এবং ছেলের সঙ্গে কথা বলি না। ছোট ভাই রংমিস্ত্রির কাজ করে। সে আমাদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করার ৩ লাখ টাকা নিয়ে রাজশাহী আসে। কিছুদিন পর আমার ছেলের বউ বাবার বাড়ি আসে। আসার সময় তার হাতে ২৪ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ছিল। কে কিনে দিল, জানতে চাইলে সে বলে, আমার ছোট ভাই কিনে দিয়েছে।’
আহত যুবকের ভাই বলেন, ‘ছেলের শ্বশুরবাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলায়। নাটোর থেকে আসার তিন দিন পর ছেলে শ্বশুরবাড়ি বউয়ের খোঁজ নিতে এসে জানতে পারে যে, বউ তার চাচাশ্বশুরের সঙ্গে নওগাঁয় বেড়াতে গেছে। ছেলে আরেকবার খোঁজ নিতে এলে বউ মাস্তান দিয়ে ছেলেকে পিটুনি দিয়েছে। তারপর ছেলে ফিরে গেছে। গত রাতে এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছোট ভাইয়ের পাশে ছেলের বউকে দেখতে পাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটি দাবি করেছে, যেকোনোভাবে তার চাচাশ্বশুরের নিজের হাতের ছুরিতেই পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। আবার ছেলেটা নাকি বলেছে, ওই মেয়েই ছুরিকাঘাত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সবকিছু পরিষ্কার করে বলা যাবে। আপাতত মেয়েটিকে তার শ্বশুরের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
পেট থেকে বের হয়ে যাওয়া ভুঁড়ি গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় ওই যুবককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর ভাতিজার বউ। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ভাতিজার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। একই বাসায় থাকতেন তাঁরা।
কীভাবে যুবকের পেটের ভুঁড়ি বের হলো, হাসপাতালে যাওয়ার পর দুজনের কেউ এ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না। একপর্যায়ে ওই তরুণী দাবি করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের অলোকার মোড়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তাঁর ভুঁড়ি বের হয়েছে। কিন্তু অলোকার মোড়ে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ অবগত নয়। পরে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় গিয়ে পুলিশ দেখে, মেঝেতে পড়ে আছে রক্ত আর রক্তমাখা ছুরি। পরে ওই তরুণী দাবি করেন, যুবক নিজেই নিজের পেটে ছুরি চালিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
আহত যুবকের বাড়ি নাটোরে। পেশায় তিনি একজন রংমিস্ত্রি। তাঁর ভাতিজা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সম্প্রতি ভাতিজার বউকে নিয়ে ওই যুবক টিকাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওই বাসাতেই। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে আহত যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনি তাঁর ছেলের বউকে একমাত্র আসামি করেছেন। হাসপাতাল থেকে আটক ওই তরুণীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ভাতিজার বউয়ের সঙ্গে ওই যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই সূত্রেই তাঁরা এক বাসায় থাকতেন। বিয়ে করতে চাইলে মেয়েটি রাজি না হলে যুবক নিজেই পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পর রাতেই অস্ত্রোপচার করে ভুঁড়ি পেটে ঢোকানো হয়েছে।
মামলার বাদী ও আহত যুবকের বড় ভাই বলেন, হাসপাতালে গিয়েই তিনি তাঁর ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছে। প্রথমে চুপ থাকলেও পরে তাঁর ভাই বলেন, ‘আমার জীবন তো শেষ। আর বলে লাভ কী। আরেকজনের ক্ষতি করে কী করবেন!’ তারপরও চাপাচাপি করলে বলেন, ভাতিজার বউ তাঁকে ছুরি মেরেছেন।
ওই যুবকের বড় ভাই আরও বলেন, ‘এক বছর আগে আমার ছেলের সঙ্গে এই মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ের তখন এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার দিনই বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি ছেলে, ছেলের বউ ও আমার ভাই তিনজনই মাদকাসক্ত। এসব দেখে তাদের আলাদা করে দেই এবং ছেলের সঙ্গে কথা বলি না। ছোট ভাই রংমিস্ত্রির কাজ করে। সে আমাদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করার ৩ লাখ টাকা নিয়ে রাজশাহী আসে। কিছুদিন পর আমার ছেলের বউ বাবার বাড়ি আসে। আসার সময় তার হাতে ২৪ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ছিল। কে কিনে দিল, জানতে চাইলে সে বলে, আমার ছোট ভাই কিনে দিয়েছে।’
আহত যুবকের ভাই বলেন, ‘ছেলের শ্বশুরবাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলায়। নাটোর থেকে আসার তিন দিন পর ছেলে শ্বশুরবাড়ি বউয়ের খোঁজ নিতে এসে জানতে পারে যে, বউ তার চাচাশ্বশুরের সঙ্গে নওগাঁয় বেড়াতে গেছে। ছেলে আরেকবার খোঁজ নিতে এলে বউ মাস্তান দিয়ে ছেলেকে পিটুনি দিয়েছে। তারপর ছেলে ফিরে গেছে। গত রাতে এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছোট ভাইয়ের পাশে ছেলের বউকে দেখতে পাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটি দাবি করেছে, যেকোনোভাবে তার চাচাশ্বশুরের নিজের হাতের ছুরিতেই পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। আবার ছেলেটা নাকি বলেছে, ওই মেয়েই ছুরিকাঘাত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সবকিছু পরিষ্কার করে বলা যাবে। আপাতত মেয়েটিকে তার শ্বশুরের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে