নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নামের আগে ‘ড.’ ব্যবহার করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. আবুল কাসেম। কিন্তু তিনি আসলেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন কিনা এর প্রমাণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ তাঁর গবেষণাপত্র (থিসিস) জমা দিতে বলেছিল। এরপর তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস জমা দিয়েছেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়টির দেশে পিএইচডি ডিগ্রি পরিচালনার কোনো অনুমোদনই নেই।
আজ সোমবার সকালে তিনি বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক বরাবর ‘আটলান্টিক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রকৌশলী আবুল কাসেম নিজেই। তিনি বলেন, ‘থিসিস পেপার জমা দিতে আমাকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। একদিন আগেই আমি থিসিস পেপার জমা দিয়েছি। আমি আটলান্টিক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা থেকে ডিসট্যান্ট লার্নিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছি।’
কাসেম বলেছেন, ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদেশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির দেশীয় শাখায় পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তবে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত (স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৫ সাল) কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় শাখাকে পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাসেম বলেন, ‘এ রকম বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পিএইচডি ডিগ্রি বহু মানুষের আছে। অন্যদের ব্যাপারে কথা না উঠলে আমার ব্যাপারে কেন? আসলে একটা মহল আমাকে সমালোচিত করতে চাচ্ছে।’
আবুল কাসেম প্রকৌশলী হিসেবে বিএমডিএতে যোগদান করেন ১৯৯৪ সালে। ২০১০ সাল থেকে তিনি নামের আগে ‘ড.’ লেখা শুরু করেন। আদৌ তিনি পিএইচডি করেছেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ পিএইচডি পড়াশোনার জন্য তিনি কখনো ছুটি নেননি। পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহার করে তিনি নিজেকে জ্যেষ্ঠ ও যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে জাহির করেন। বাগিয়ে নেন পদোন্নতি। বিএমডিএর অনুমোদিত জনবল কাঠামোতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কোনো পদই নেই। অথচ তিনি চতুর্থ গ্রেডে অবৈধ এ পদে আসীন হয়েছেন। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আবুল কাসেমকে এই পদে আপগ্রেডেশন দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২০ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা পড়ে যে, আবুল কাসেম ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করছেন। তখন মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিলেও ধামাচাপা পড়ে যায়। সম্প্রতি ফের অভিযোগটি বিএমডিএকে যাচাইয়ের নির্দেশ দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। আবুল কাসেম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে থাকলে তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা, অনুমোদন নিয়ে থাকলে এর সনদ ও গবেষণাপত্র (থিসিস) দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া নামের আগে ‘ড.’ শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা, সেটিও জানাতে বলা হয়। পরে নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ চিঠি দিয়ে এই প্রকৌশলীর কাছে তাঁর থিসিস পেপার ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন।
আবুল কাসেম স্বীকার করেছেন, নামের আগে ডক্টরেট ডিগ্রির ব্যবহার কিংবা ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন নেননি। ছুটির দিনে ক্লাস করার কারণে কোনো ছুটি নেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। তিনি দাবি করেন, বিএমডিএর যত কর্মকর্তা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁদের কেউ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেননি। স্থানীয়ভাবে বিএমডিএর অনুমতিতেই তাঁরা ডিগ্রি নিয়েছেন। নিজের বেলাতেও তিনি এমনটি করেছেন।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘আবুল কাসেমের কাছ থেকে একটি থিসিস পেপার পেয়েছি। কিন্তু পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন ও নামের আগে ডিগ্রি ব্যবহারের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। সে রকম কোনো চিঠি পাইনি। মন্ত্রণালয় যেহেতু বিষয়টি জানতে চেয়েছে, তাই আমি সেভাবেই সবকিছু লিখে পাঠিয়ে দেব। তারপর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’
নামের আগে ‘ড.’ ব্যবহার করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. আবুল কাসেম। কিন্তু তিনি আসলেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন কিনা এর প্রমাণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ তাঁর গবেষণাপত্র (থিসিস) জমা দিতে বলেছিল। এরপর তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস জমা দিয়েছেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়টির দেশে পিএইচডি ডিগ্রি পরিচালনার কোনো অনুমোদনই নেই।
আজ সোমবার সকালে তিনি বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক বরাবর ‘আটলান্টিক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রকৌশলী আবুল কাসেম নিজেই। তিনি বলেন, ‘থিসিস পেপার জমা দিতে আমাকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। একদিন আগেই আমি থিসিস পেপার জমা দিয়েছি। আমি আটলান্টিক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা থেকে ডিসট্যান্ট লার্নিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছি।’
কাসেম বলেছেন, ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদেশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির দেশীয় শাখায় পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তবে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত (স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৫ সাল) কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় শাখাকে পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাসেম বলেন, ‘এ রকম বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পিএইচডি ডিগ্রি বহু মানুষের আছে। অন্যদের ব্যাপারে কথা না উঠলে আমার ব্যাপারে কেন? আসলে একটা মহল আমাকে সমালোচিত করতে চাচ্ছে।’
আবুল কাসেম প্রকৌশলী হিসেবে বিএমডিএতে যোগদান করেন ১৯৯৪ সালে। ২০১০ সাল থেকে তিনি নামের আগে ‘ড.’ লেখা শুরু করেন। আদৌ তিনি পিএইচডি করেছেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ পিএইচডি পড়াশোনার জন্য তিনি কখনো ছুটি নেননি। পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহার করে তিনি নিজেকে জ্যেষ্ঠ ও যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে জাহির করেন। বাগিয়ে নেন পদোন্নতি। বিএমডিএর অনুমোদিত জনবল কাঠামোতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কোনো পদই নেই। অথচ তিনি চতুর্থ গ্রেডে অবৈধ এ পদে আসীন হয়েছেন। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আবুল কাসেমকে এই পদে আপগ্রেডেশন দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২০ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা পড়ে যে, আবুল কাসেম ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করছেন। তখন মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিলেও ধামাচাপা পড়ে যায়। সম্প্রতি ফের অভিযোগটি বিএমডিএকে যাচাইয়ের নির্দেশ দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। আবুল কাসেম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে থাকলে তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা, অনুমোদন নিয়ে থাকলে এর সনদ ও গবেষণাপত্র (থিসিস) দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া নামের আগে ‘ড.’ শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা, সেটিও জানাতে বলা হয়। পরে নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ চিঠি দিয়ে এই প্রকৌশলীর কাছে তাঁর থিসিস পেপার ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন।
আবুল কাসেম স্বীকার করেছেন, নামের আগে ডক্টরেট ডিগ্রির ব্যবহার কিংবা ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন নেননি। ছুটির দিনে ক্লাস করার কারণে কোনো ছুটি নেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। তিনি দাবি করেন, বিএমডিএর যত কর্মকর্তা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁদের কেউ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেননি। স্থানীয়ভাবে বিএমডিএর অনুমতিতেই তাঁরা ডিগ্রি নিয়েছেন। নিজের বেলাতেও তিনি এমনটি করেছেন।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘আবুল কাসেমের কাছ থেকে একটি থিসিস পেপার পেয়েছি। কিন্তু পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন ও নামের আগে ডিগ্রি ব্যবহারের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। সে রকম কোনো চিঠি পাইনি। মন্ত্রণালয় যেহেতু বিষয়টি জানতে চেয়েছে, তাই আমি সেভাবেই সবকিছু লিখে পাঠিয়ে দেব। তারপর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে