তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক পরিবারের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ঘর হাতবদল হয়ে যাচ্ছে অন্যের কাছে। অনেকে নিজেরা ঘরে বসবাস না করে তালা ঝুলিয়ে রাখছেন কিংবা বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমা খাতুন উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘর মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সাগর হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। একই প্রকল্পে দেওঘর গ্রামের জবেদা খাতুন ৫০ হাজার টাকায় তাঁর ঘর বিক্রি করেছেন টাগড়া গ্রামের মো. হবুর কাছে। আর রেজিয়া খাতুন তাঁর ঘর বিক্রি করেন উত্তর শ্যামপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকায়।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁর সন্তান ছাড়া অন্য কারও কাছে ঘর হস্তান্তর করতে পারেন না। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ঘর বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ।
তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোপনে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিক্রেতার স্বাক্ষর বা টিপসই নিয়ে ঘর বিক্রি সম্পন্ন করছেন কিছু ব্যক্তি।
শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রেজিয়া খাতুনের ঘরে এখন সাইদুর রহমানের ভাই সাইফুল ইসলাম ব্রয়লার মুরগির খামার চালাচ্ছেন। অন্য দুটি বিক্রি হওয়া ঘরে তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পে নির্মিত ৩৫টি ঘরের মধ্যে ৩টি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ থেকে ১২ জন বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ঘরে থাকছেন না। তাঁদের কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করেন, আবার কারও আগেই নিজস্ব বাড়ি ছিল, তাঁরা বরাদ্দের ঘরে ওঠেননি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অনেকে গোপনে ঘর বিক্রি করেন। পরে যখন ক্রেতারা ঘরে ওঠে, তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। সামর্থ্যবান ও প্রভাবশালী লোকজন ঘর পাওয়ার পর বসবাস না করে বিক্রি করে দিচ্ছেন—এটা নতুন কিছু নয়।’
তাড়াশ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ঘর ছিল ৩৫৬টি। এর মধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি, শ্যামপুর মৌজায় ৩৫টি, তালম ইউনিয়নের গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ও কলেজপাড়ায় ছয়টি ঘর নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে আরও জানা গেছে, বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পের তেঘরী গ্রামের ফয়েজ আলী ও কর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তাঁদের ঘর ১ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বড় মাঝ দক্ষিণার এক নারী বরাদ্দভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণে আরও অনেক ঘর বিক্রি হয়েছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখলে সত্যতা পাবেন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮-১০টি, বড় মাঝ দক্ষিণায় ৭-৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছে না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছে বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
শ্যামপুর প্রকল্পের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘এখানকার সাতটি টিউবওয়েলের তিনটি নষ্ট। ড্রেনগুলো অকেজো। রাস্তা কর্দমাক্ত। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এসব কারণে অনেকে এখানে থাকতে চান না।’
এ বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ‘ঘর বিক্রি কিংবা না থাকার বিষয়টি মৌখিকভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘ঘর বিক্রির অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক পরিবারের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ঘর হাতবদল হয়ে যাচ্ছে অন্যের কাছে। অনেকে নিজেরা ঘরে বসবাস না করে তালা ঝুলিয়ে রাখছেন কিংবা বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমা খাতুন উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘর মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সাগর হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। একই প্রকল্পে দেওঘর গ্রামের জবেদা খাতুন ৫০ হাজার টাকায় তাঁর ঘর বিক্রি করেছেন টাগড়া গ্রামের মো. হবুর কাছে। আর রেজিয়া খাতুন তাঁর ঘর বিক্রি করেন উত্তর শ্যামপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকায়।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁর সন্তান ছাড়া অন্য কারও কাছে ঘর হস্তান্তর করতে পারেন না। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ঘর বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ।
তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোপনে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিক্রেতার স্বাক্ষর বা টিপসই নিয়ে ঘর বিক্রি সম্পন্ন করছেন কিছু ব্যক্তি।
শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রেজিয়া খাতুনের ঘরে এখন সাইদুর রহমানের ভাই সাইফুল ইসলাম ব্রয়লার মুরগির খামার চালাচ্ছেন। অন্য দুটি বিক্রি হওয়া ঘরে তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পে নির্মিত ৩৫টি ঘরের মধ্যে ৩টি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ থেকে ১২ জন বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ঘরে থাকছেন না। তাঁদের কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করেন, আবার কারও আগেই নিজস্ব বাড়ি ছিল, তাঁরা বরাদ্দের ঘরে ওঠেননি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অনেকে গোপনে ঘর বিক্রি করেন। পরে যখন ক্রেতারা ঘরে ওঠে, তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। সামর্থ্যবান ও প্রভাবশালী লোকজন ঘর পাওয়ার পর বসবাস না করে বিক্রি করে দিচ্ছেন—এটা নতুন কিছু নয়।’
তাড়াশ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ঘর ছিল ৩৫৬টি। এর মধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি, শ্যামপুর মৌজায় ৩৫টি, তালম ইউনিয়নের গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ও কলেজপাড়ায় ছয়টি ঘর নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে আরও জানা গেছে, বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পের তেঘরী গ্রামের ফয়েজ আলী ও কর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তাঁদের ঘর ১ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বড় মাঝ দক্ষিণার এক নারী বরাদ্দভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণে আরও অনেক ঘর বিক্রি হয়েছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখলে সত্যতা পাবেন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮-১০টি, বড় মাঝ দক্ষিণায় ৭-৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছে না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছে বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
শ্যামপুর প্রকল্পের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘এখানকার সাতটি টিউবওয়েলের তিনটি নষ্ট। ড্রেনগুলো অকেজো। রাস্তা কর্দমাক্ত। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এসব কারণে অনেকে এখানে থাকতে চান না।’
এ বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ‘ঘর বিক্রি কিংবা না থাকার বিষয়টি মৌখিকভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘ঘর বিক্রির অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক পরিবারের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ঘর হাতবদল হয়ে যাচ্ছে অন্যের কাছে। অনেকে নিজেরা ঘরে বসবাস না করে তালা ঝুলিয়ে রাখছেন কিংবা বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমা খাতুন উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘর মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সাগর হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। একই প্রকল্পে দেওঘর গ্রামের জবেদা খাতুন ৫০ হাজার টাকায় তাঁর ঘর বিক্রি করেছেন টাগড়া গ্রামের মো. হবুর কাছে। আর রেজিয়া খাতুন তাঁর ঘর বিক্রি করেন উত্তর শ্যামপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকায়।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁর সন্তান ছাড়া অন্য কারও কাছে ঘর হস্তান্তর করতে পারেন না। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ঘর বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ।
তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোপনে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিক্রেতার স্বাক্ষর বা টিপসই নিয়ে ঘর বিক্রি সম্পন্ন করছেন কিছু ব্যক্তি।
শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রেজিয়া খাতুনের ঘরে এখন সাইদুর রহমানের ভাই সাইফুল ইসলাম ব্রয়লার মুরগির খামার চালাচ্ছেন। অন্য দুটি বিক্রি হওয়া ঘরে তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পে নির্মিত ৩৫টি ঘরের মধ্যে ৩টি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ থেকে ১২ জন বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ঘরে থাকছেন না। তাঁদের কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করেন, আবার কারও আগেই নিজস্ব বাড়ি ছিল, তাঁরা বরাদ্দের ঘরে ওঠেননি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অনেকে গোপনে ঘর বিক্রি করেন। পরে যখন ক্রেতারা ঘরে ওঠে, তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। সামর্থ্যবান ও প্রভাবশালী লোকজন ঘর পাওয়ার পর বসবাস না করে বিক্রি করে দিচ্ছেন—এটা নতুন কিছু নয়।’
তাড়াশ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ঘর ছিল ৩৫৬টি। এর মধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি, শ্যামপুর মৌজায় ৩৫টি, তালম ইউনিয়নের গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ও কলেজপাড়ায় ছয়টি ঘর নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে আরও জানা গেছে, বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পের তেঘরী গ্রামের ফয়েজ আলী ও কর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তাঁদের ঘর ১ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বড় মাঝ দক্ষিণার এক নারী বরাদ্দভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণে আরও অনেক ঘর বিক্রি হয়েছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখলে সত্যতা পাবেন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮-১০টি, বড় মাঝ দক্ষিণায় ৭-৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছে না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছে বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
শ্যামপুর প্রকল্পের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘এখানকার সাতটি টিউবওয়েলের তিনটি নষ্ট। ড্রেনগুলো অকেজো। রাস্তা কর্দমাক্ত। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এসব কারণে অনেকে এখানে থাকতে চান না।’
এ বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ‘ঘর বিক্রি কিংবা না থাকার বিষয়টি মৌখিকভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘ঘর বিক্রির অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক পরিবারের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ঘর হাতবদল হয়ে যাচ্ছে অন্যের কাছে। অনেকে নিজেরা ঘরে বসবাস না করে তালা ঝুলিয়ে রাখছেন কিংবা বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমা খাতুন উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘর মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সাগর হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। একই প্রকল্পে দেওঘর গ্রামের জবেদা খাতুন ৫০ হাজার টাকায় তাঁর ঘর বিক্রি করেছেন টাগড়া গ্রামের মো. হবুর কাছে। আর রেজিয়া খাতুন তাঁর ঘর বিক্রি করেন উত্তর শ্যামপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকায়।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁর সন্তান ছাড়া অন্য কারও কাছে ঘর হস্তান্তর করতে পারেন না। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ঘর বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ।
তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোপনে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিক্রেতার স্বাক্ষর বা টিপসই নিয়ে ঘর বিক্রি সম্পন্ন করছেন কিছু ব্যক্তি।
শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রেজিয়া খাতুনের ঘরে এখন সাইদুর রহমানের ভাই সাইফুল ইসলাম ব্রয়লার মুরগির খামার চালাচ্ছেন। অন্য দুটি বিক্রি হওয়া ঘরে তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পে নির্মিত ৩৫টি ঘরের মধ্যে ৩টি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ থেকে ১২ জন বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ঘরে থাকছেন না। তাঁদের কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করেন, আবার কারও আগেই নিজস্ব বাড়ি ছিল, তাঁরা বরাদ্দের ঘরে ওঠেননি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অনেকে গোপনে ঘর বিক্রি করেন। পরে যখন ক্রেতারা ঘরে ওঠে, তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। সামর্থ্যবান ও প্রভাবশালী লোকজন ঘর পাওয়ার পর বসবাস না করে বিক্রি করে দিচ্ছেন—এটা নতুন কিছু নয়।’
তাড়াশ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ঘর ছিল ৩৫৬টি। এর মধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি, শ্যামপুর মৌজায় ৩৫টি, তালম ইউনিয়নের গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ও কলেজপাড়ায় ছয়টি ঘর নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে আরও জানা গেছে, বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পের তেঘরী গ্রামের ফয়েজ আলী ও কর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তাঁদের ঘর ১ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বড় মাঝ দক্ষিণার এক নারী বরাদ্দভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণে আরও অনেক ঘর বিক্রি হয়েছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখলে সত্যতা পাবেন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮-১০টি, বড় মাঝ দক্ষিণায় ৭-৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছে না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছে বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
শ্যামপুর প্রকল্পের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘এখানকার সাতটি টিউবওয়েলের তিনটি নষ্ট। ড্রেনগুলো অকেজো। রাস্তা কর্দমাক্ত। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এসব কারণে অনেকে এখানে থাকতে চান না।’
এ বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ‘ঘর বিক্রি কিংবা না থাকার বিষয়টি মৌখিকভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘ঘর বিক্রির অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮–১০টি, বড় মাঝদক্ষিণায় ৭–৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছেন না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারীপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
১৩ জুলাই ২০২৫
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮–১০টি, বড় মাঝদক্ষিণায় ৭–৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছেন না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারীপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
১৩ জুলাই ২০২৫
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮–১০টি, বড় মাঝদক্ষিণায় ৭–৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছেন না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারীপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
১৩ জুলাই ২০২৫
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮–১০টি, বড় মাঝদক্ষিণায় ৭–৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছেন না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারীপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা।
১৩ জুলাই ২০২৫
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে