Ajker Patrika

তাড়াশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি, বরাদ্দ পাওয়া অনেকেই থাকেন না

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৩: ০৮
তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক পরিবারের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ঘর হাতবদল হয়ে যাচ্ছে অন্যের কাছে। অনেকে নিজেরা ঘরে বসবাস না করে তালা ঝুলিয়ে রাখছেন কিংবা বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমা খাতুন উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘর মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সাগর হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। একই প্রকল্পে দেওঘর গ্রামের জবেদা খাতুন ৫০ হাজার টাকায় তাঁর ঘর বিক্রি করেছেন টাগড়া গ্রামের মো. হবুর কাছে। আর রেজিয়া খাতুন তাঁর ঘর বিক্রি করেন উত্তর শ্যামপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকায়।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁর সন্তান ছাড়া অন্য কারও কাছে ঘর হস্তান্তর করতে পারেন না। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ঘর বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ।

তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোপনে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিক্রেতার স্বাক্ষর বা টিপসই নিয়ে ঘর বিক্রি সম্পন্ন করছেন কিছু ব্যক্তি।

শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে উত্তর শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রেজিয়া খাতুনের ঘরে এখন সাইদুর রহমানের ভাই সাইফুল ইসলাম ব্রয়লার মুরগির খামার চালাচ্ছেন। অন্য দুটি বিক্রি হওয়া ঘরে তালা ঝুলছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পে নির্মিত ৩৫টি ঘরের মধ্যে ৩টি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ থেকে ১২ জন বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ঘরে থাকছেন না। তাঁদের কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করেন, আবার কারও আগেই নিজস্ব বাড়ি ছিল, তাঁরা বরাদ্দের ঘরে ওঠেননি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অনেকে গোপনে ঘর বিক্রি করেন। পরে যখন ক্রেতারা ঘরে ওঠে, তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। সামর্থ্যবান ও প্রভাবশালী লোকজন ঘর পাওয়ার পর বসবাস না করে বিক্রি করে দিচ্ছেন—এটা নতুন কিছু নয়।’

তাড়াশ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ঘর ছিল ৩৫৬টি। এর মধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি, শ্যামপুর মৌজায় ৩৫টি, তালম ইউনিয়নের গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ও কলেজপাড়ায় ছয়টি ঘর নির্মিত হয়েছে।

সরেজমিনে আরও জানা গেছে, বড় মাঝ দক্ষিণা আশ্রয়ণ প্রকল্পের তেঘরী গ্রামের ফয়েজ আলী ও কর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তাঁদের ঘর ১ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বড় মাঝ দক্ষিণার এক নারী বরাদ্দভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণে আরও অনেক ঘর বিক্রি হয়েছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখলে সত্যতা পাবেন।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামপুর আশ্রয়ণে ৮-১০টি, বড় মাঝ দক্ষিণায় ৭-৮টি এবং গুল্টা কলেজপাড়ার একটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার বসবাস করছে না। এসব ঘরে ঝুলছে তালা। তবে গুল্টা খ্রিষ্টান মিশনারিপাড়ায় ১৩টি ঘরেই বসবাস করছে বরাদ্দপ্রাপ্তরা।

শ্যামপুর প্রকল্পের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘এখানকার সাতটি টিউবওয়েলের তিনটি নষ্ট। ড্রেনগুলো অকেজো। রাস্তা কর্দমাক্ত। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এসব কারণে অনেকে এখানে থাকতে চান না।’

এ বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ‘ঘর বিক্রি কিংবা না থাকার বিষয়টি মৌখিকভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি।’

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘ঘর বিক্রির অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু ঢাকায় খাবার হোটেলে কাজ করছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি

‎সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুকে রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে রেলওয়ে কলোনির একটি খাবার হোটেল থেকে এদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

‎শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার অধিযাচনপত্রের (রিকুইজিশন) ভিত্তিতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রেলওয়ে কলোনির একটি হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই হোটেল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

‎পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুরা জানিয়েছে তারা সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর ছয় দিন ধরে বিভিন্ন হোটেলে বয়ের কাজ করছিল।

‎উদ্ধারের পর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া ইমরান আহমদ (৩০) জকিগঞ্জ উপজেলার নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে।

র‍্যাব-৯ জানায়, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার বারহাল এহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী গত ২৬ জুলাই সকালে জকিগঞ্জ থানাধীন ফারুক মিয়ার পরিত্যক্ত আদিম ব্রিকস ফিল্ডে ঘুরতে যাওয়ার পর আসামিরা গোপনে ভিকটিম এবং তার বন্ধুর ছবি তোলে। আসামিরা ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় এবং অনৈতিক প্রস্তাব করে। ভিকটিম তাতে রাজি না হলে আসামিরা তাকে ও তার বন্ধুকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ব্রিকস ফিল্ডের ভেতরে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বন্ধু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখায় এবং তাকে আটকে রাখে।

পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে ওই বিষয়টি কাউকে বা পুলিশকে না জানানোর জন্য হত্যার হুমকি দেয়।

বিষয়টি ভিকটিম ভয়ে কাউকে জানায়নি। কিন্তু পরে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের লোকজনকে জানানোর পর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

পরবর্তী সময়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শাকের আহমদকে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ আরও জানান, পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‍্যাব-৯-এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযানে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে এবং ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় খাদ্যসামগ্রী।

লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জব্দ করা পণ্যগুলো আইনিপ্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, তদন্তে ডিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৯
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে কাজী মুকিতুজ্জামান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহাদী হাসান জুয়েল জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে নিয়ে মন্তব্য করায় এই মামলা করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আসামি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্ব প্রদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ন ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।

গত ১ নভেম্বর যুবদল নেতা নয়নকে নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,“জুলাই সনদ নিয়ে একটি বড় দল গুন্ডামি করছে, ঢাকা মহানগরের একজন নেতা আছে নয়ন একা যে পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছে এবং দুর্নীতি করেছে— এই টাকা দিয়েও বাংলাদেশে একটা গণভোট সম্ভব। আমরা ওনাদেরকে এত দিন জমজমের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি, ওনাদের মাথা ক্লিন হয় নাই, বডিও ক্লিন হয় নাই। এখন আমার মনে হয় ওনাদেরকে বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।”

মামলার আরজিতে বাদী বলেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য বাদীর দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, দলের নেতার নামে কুৎসা রটিয়ে তাঁর মানহানি করেছে। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, যা মানহানিকর অপরাধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত