Ajker Patrika

জয়পুরহাটে কিশোর হত্যাকাণ্ড: মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ১৬
জয়পুরহাটে কিশোর হত্যাকাণ্ড: মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে আবু হোসাইন (১৪) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলা চলাকালীন দুজন মৃত্যুবরণ করায় তাঁদের খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মোজাফফর হোসেন (৪৯), মো. রব্বানী (৩৪) ও মোছা. সহিদা বেগম (৪৮) এবং একই উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের মোছা. আমিনা বেগম (৪৯) ও মো. রাফেউল (৩২)। এঁদের মধ্যে আমিনা বেগম পলাতক রয়েছেন। বাকি চারজন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে রব্বানী সাহিদা বেগমের এবং রাফিউল আমিনা বেগমের ছেলে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

মামলা ও আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামে আবু তাহের তাঁর পুকুর পাড়ে খড়ের গাদা থেকে খড় খুলছিলেন। সে সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে রব্বানী, আরিফুল, রাফেউল, রোস্তম আলী, মোস্তফা, মোজাফফর হোসেন, ছাইদার আলী, আমিনা বেগম ও সাহিদা বেগম দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি ও লোহার শাবল দিয়ে তাঁকে পেটাতে থাকে। ওই সময় এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় আবু তাহেরের ছেলে আবু হোসাইন। বাবাকে রক্ষা করতে দৌড় যায় সে। তখন আসামিরা তার মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হয় আবু হোসাইন। 

স্থানীয়রা আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ঢাকার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু হোসাইন মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল নিহতের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১০ সালেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় সরকারি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি, গোকুল চন্দ্র মণ্ডল এপিপি, শামীমুল ইমাম শামীম এপিপি ও খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এপিপি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, হেনা হাবিব চপল, লুৎফর রহমান ও দিলীপ কুমার ঘোষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত