বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশের পর তা প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। একই সঙ্গে ওই কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে পদপ্রত্যাশী নেতাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু।
লিখিত বক্তব্যে বদরুল ইসলাম পোদ্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘এক বছর আগে শেরপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৌর সম্মেলনে সারোয়ার রহমান মিন্টুকে সভাপতি ও গোলাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মিন্টু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজনুর ছেলে এবং গোলাম একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। গোলামের বাবা মোসলেম উদ্দিন ছিলেন এলাকার চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, তাঁর ভাই মতিউর রহমান বিএনপির নেতা এবং ভাতিজা আসাফ উদ দৌলা মামুন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক।’
বদরুল ইসলাম পোদ্দার আরও বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুককে সভাপতি ও সুলতান মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গোলাম ফারুক স্বাধীনতাবিরোধী মুসলিম লীগ পরিবারের সন্তান, তাঁর ভাই আইনজীবী উল্কা বিএনপির বর্তমান নেতা এবং তাঁর মা মহিলা জামায়াতের নেত্রী ছিলেন। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আজ্ঞাবহ ব্যক্তি।’
সংবাদ সম্মেলনে বদরুল ইসলাম পোদ্দার বলেন, ‘এক বছর পর সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে শেরপুরের স্বাধীনতাবিরোধী মান্নান বিশ্বাসের ছেলে মোকারিম হোসেন রবিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ছোনকা এলাকার মামুন নামের এক ব্যক্তিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে, যাঁর বাবা ছিলেন বিএনপির সহসভাপতি। এ ছাড়া কুসুম্বী ইউনিয়নের যুদ্ধাপরাধী ইসরাত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে কুসুম্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারীকে করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং খুনের মামলার আসামি হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক।’
ক্ষমতার দাপট ও বহিষ্কারের ভয় দেখিয়ে সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিকভাবে নিজের পছন্দের ও আজ্ঞাবহ লোক দিয়ে কমিটি গঠন করায় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এসব কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মীদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার।
এক বছর আগে শেরপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হলেও তখন কেন প্রতিবাদ করেননি? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে নেতারা বলেন, ‘আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলাম।’
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের এসব অভিযোগের বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা কী বলেছেন আমার জানা নেই। লিখিত বক্তব্য না দেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। আগে তাঁদের অভিযোগগুলো পড়ে দেখি। তারপর এ বিষয়ে আমার বক্তব্য সবাইকে জানাব।’
সংবাদ সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে আইনজীবী তোজাম্মেল হক, মমতাজুর রহমান, চঞ্চল কুমার কুণ্ডু, তছির উদ্দিন, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশের পর তা প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। একই সঙ্গে ওই কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে পদপ্রত্যাশী নেতাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু।
লিখিত বক্তব্যে বদরুল ইসলাম পোদ্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘এক বছর আগে শেরপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৌর সম্মেলনে সারোয়ার রহমান মিন্টুকে সভাপতি ও গোলাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মিন্টু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজনুর ছেলে এবং গোলাম একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। গোলামের বাবা মোসলেম উদ্দিন ছিলেন এলাকার চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, তাঁর ভাই মতিউর রহমান বিএনপির নেতা এবং ভাতিজা আসাফ উদ দৌলা মামুন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক।’
বদরুল ইসলাম পোদ্দার আরও বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুককে সভাপতি ও সুলতান মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গোলাম ফারুক স্বাধীনতাবিরোধী মুসলিম লীগ পরিবারের সন্তান, তাঁর ভাই আইনজীবী উল্কা বিএনপির বর্তমান নেতা এবং তাঁর মা মহিলা জামায়াতের নেত্রী ছিলেন। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আজ্ঞাবহ ব্যক্তি।’
সংবাদ সম্মেলনে বদরুল ইসলাম পোদ্দার বলেন, ‘এক বছর পর সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে শেরপুরের স্বাধীনতাবিরোধী মান্নান বিশ্বাসের ছেলে মোকারিম হোসেন রবিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ছোনকা এলাকার মামুন নামের এক ব্যক্তিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে, যাঁর বাবা ছিলেন বিএনপির সহসভাপতি। এ ছাড়া কুসুম্বী ইউনিয়নের যুদ্ধাপরাধী ইসরাত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে কুসুম্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারীকে করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং খুনের মামলার আসামি হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক।’
ক্ষমতার দাপট ও বহিষ্কারের ভয় দেখিয়ে সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিকভাবে নিজের পছন্দের ও আজ্ঞাবহ লোক দিয়ে কমিটি গঠন করায় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এসব কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মীদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার।
এক বছর আগে শেরপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হলেও তখন কেন প্রতিবাদ করেননি? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে নেতারা বলেন, ‘আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলাম।’
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের এসব অভিযোগের বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা কী বলেছেন আমার জানা নেই। লিখিত বক্তব্য না দেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। আগে তাঁদের অভিযোগগুলো পড়ে দেখি। তারপর এ বিষয়ে আমার বক্তব্য সবাইকে জানাব।’
সংবাদ সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে আইনজীবী তোজাম্মেল হক, মমতাজুর রহমান, চঞ্চল কুমার কুণ্ডু, তছির উদ্দিন, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার মোজাহের আলী (৪৮) নামে এক মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭ নং ওয়ার্ডের গোলাপ জানিতে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেঝালকাঠিতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখা ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো
২০ মিনিট আগেশরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বাঁধার মুখে জেলার বাইরের একটি অ্যাম্বুলেন্স অসুস্থ নবজাতককে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে না পারায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজন ও
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলা বিএনপির আওতাধীন আট নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব আদেশের পেছনে রয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, খুন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। কিন্তু এভাবে একের পর এক বহিষ্কার করেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। উল্টো তাঁরা নতুন নতুন অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ...
৭ ঘণ্টা আগে