Ajker Patrika

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা: পাবনায় বাড়িঘরে ভাঙচুর, আহত ১৭ 

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০: ৫৬
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা: পাবনায় বাড়িঘরে ভাঙচুর, আহত ১৭ 

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাবনায় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার চাটমোহর ও বেড়া উপজেলায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, চাটমোহর উপজেলায় গুনাইগাছা, পৈলানপুর, ছাইকোলা, লাঙলমোড়া ও চরনবীন গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ জন সমর্থকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায় নৌকার সমর্থকেরা। এর মধ্যে লাঙলমোড়া গ্রামের ইউসুফ আলী, ফজলুর রহমান, চরনবীন গ্রামের নাজমুল হোসেনের বাড়ি রয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা বা আমার কোনো লোকজন কারও বাড়িতে হামলা করেনি। কারও বাড়ি ভাঙচুরের খবর জানা নাই। এমন কোনো ঘটনা আমার এলাকায় ঘটেনি।’

ছাইকোলা গ্রামের এক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।এদিকে, গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুনপাড়া ও পৈলানপুর গ্রামের ময়েজ মাস্টার, হাসান মাস্টার, বান্টুসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে ও আজ সোমবার সকালে এসব হামলা হয়।

হামলায় নতুনপাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিন, আহসান আলী, ময়নাল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আমুদ আলী আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে গুনাইগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

পবাখালী গ্রামের এক বাসিন্দা আহত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।একই উপজেলার ফৈলজানা পবাখালী গ্রামে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নৌকার সমর্থকদের মারধরে আহত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চার সমর্থক। এর মধ্যে সালাউদ্দিন ও রুহুল আমিন লিংকন নামের দুজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করায় ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকেরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ আহতদের।

এ ছাড়া ফৈলজানা গ্রামে আজ সোমবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আশরাফুল ইসলাম নামের নৌকার এক সমর্থক ছুরিকাহত হয়েছেন বলা জানা গেছে। তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।

ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে ছেলেপেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে এটুকু শুনেছি। সোমবার সকালে উঠে শুনি মারামারি হইছে। একজনকে চাকু মারছে। এর মধ্যে আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’

অন্যদিকে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার বেড়া উপজেলার ৮-১০টি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার সকালে পাবনা-১ আসনের বেড়া পৌরসভা এলাকার সানিলা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আহত করার অভিযোগে ওঠে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রামে ঘরের টিন ভাঙচুর করা হয়।স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবিত উপজেলা কমিটির স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ দুলাল অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থীর জয়লাভের পর থেকেই পাবনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

সকালে সানিলা গ্রামে নৌকার সমর্থকেরা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা করে। এ সময় হামলায় একজন নারীসহ চারজন আহত হয়। আহতদের নাম জানা যায়নি।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এসব ঘটনা জানার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগে দেয়নি, তবে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মকবুল হোসেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ। আর পাবনা-১ আসনে (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) নৌকার প্রার্থী হিসেবে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়কের মরদেহ উদ্ধার

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
নিহত মো. ইউনুস। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মো. ইউনুস। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালি সড়কের মাথার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইউনুস (৫৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া এলাকার হাছন আলীর ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, ‘সকালে লেদা বাজার যাওয়ার পথে রঙিখালি ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জানা যায়, মরদেহটি সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস মেম্বারের।’

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে পুড়ল ২০ দোকান

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে আগুনে পুড়েছে অন্তত ২০টি দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে আগুনে পুড়েছে অন্তত ২০টি দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, বজ্রপাত থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় আগুনে রফিক স্টোর, ফরিদ স্টোর, প্রতিভা লাইব্রেরিসহ ২০টি দোকান পুড়ে যায়। দোকানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ মুদি ও কাপড়ের দোকান। এর মধ্যে দুটি চায়ের দোকান ও একটি স্বর্ণালংকারের দোকানও রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে আগুনে পুড়েছে অন্তত ২০টি দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজারে আগুনে পুড়েছে অন্তত ২০টি দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আজ বুধবার সকালে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জাকের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে বাজারে বিদ্যুৎ-সরবরাহ বন্ধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাত থেকে আগুন লাগতে পারে। তিনি জানান, আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সব কটি দোকান আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুর-১ আসন: মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে জামান মোল্লার সমর্থকদের সড়ক অবরোধ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে কামাল জামান মোল্লার সমর্থক নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে কামাল জামান মোল্লার সমর্থক নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।

জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় কামাল জামান মোল্লার নাম। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করেন মনোনয়ন না পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর সমর্থকেরা। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে কামাল জামান মোল্লার সমর্থক নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে কামাল জামান মোল্লার সমর্থক নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে মনোনয়ন স্থগিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে শিবচর সদরের ৭১ সড়কে বিক্ষোভ করছেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা। তাঁরা মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মনোনয়ন স্থগিতের প্রতিবাদ জানান তাঁরা। প্রতিবাদে নারী-পুরুষসহ অসংখ্য সমর্থক অংশ নিয়েছে।

জামান মোল্লার সমর্থিত একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, ‘জামান মোল্লা একজন জননন্দিত নেতা। শিবচরে তাঁর প্রচুর সমর্থক রয়েছে। তিনি বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন। তাঁর মনোনয়ন স্থগিত মেনে নেওয়া হবে না। মনোনয়ন পুনর্বহাল করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে নামতে চায়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
জনসভায় বক্তব্য দেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসভায় বক্তব্য দেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন চার ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন একটি অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। এমনকি তাদের মধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরান্দী আবাসন মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। শুনেছি, ইতিমধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তার ওপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছে।’

বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে ততটা সহজ নয়। জনাব তারেক রহমানও একাধিকবার বলেছেন—এই নির্বাচনের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন চাপ, পার্শ্ববর্তী দেশের, আওয়ামী লীগের, জাতীয় পার্টির এমনকি গোপনে গোয়েন্দা সংস্থারও।’

দলীয় কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দিয়ে হবে না, ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে—কেন ভোট হবে, কাকে ভোট দেবে, কেন দেবে, তা জনগণকে বোঝাতে হবে।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছি, যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রায় ইতিহাস হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। রাতে ভোট হয়েছে, দিনের ভোট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত নির্বাচন না হয়ে ‘সিলেকশন’ হয়েছে। এতে অযোগ্য ও অদক্ষ লোক সংসদে গেছে, পবিত্র সংসদকে অপবিত্র করা হয়েছে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না। সভাপতিত্ব করেন কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত