রিমন রহমান, রাজশাহী

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা, প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেসুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে