Ajker Patrika

শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি :আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি :আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল বুধবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।

অভিযানের ২৭ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, তাঁরা ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছি ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে গেছে। তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা বাচ্চাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন এসব ঢুকে যায়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, ৩০ ফুটের পর শিশুটিকে পাওয়া যাবে।

কিন্তু ৪২ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করে গিয়েও পাওয়া যায়নি। মাটি ও খড় আটকে থাকায় এ অবস্থায় অক্সিজেন পাঠিয়ে লাভ নেই। তাই অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা যা ধারণা করছেন, আমরাও সেটিই ধারণা করছি। এখন অলমাইটি আল্লাহ চাইলে সবকিছুই হতে পারে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁরা জেনেছেন যে গর্তটি ৯০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছিল। তাঁরা সে পর্যন্তই যেতে চান। এ জন্য ওই গর্তের পাশে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। তাঁরা ১০ ফুট পরপর সুড়ঙ্গ কেটে গর্তটি দেখবেন। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও তাঁরা চেষ্টা করবেন। উদ্ধার না হওয়া অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...