নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে নিহতের ছেলে, ভাই, মামা, বাড়িওয়ালা ও দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত দল। তদন্ত কমিটিকে সুলতানার বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়েছেন তাঁরা।
তদন্ত দলের সদস্যদের মধ্যে নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমতিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, সিভিল সার্জন আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানকে সার্কিট হাউসে ঢুকতে দেখা যায়।
এরপর তদন্তের শুরুতেই সুলতানাকে আটকের সময়ে প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তির মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী রুস্তম আলী ও সুলতানার মামা নজমুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করে কমিটি। এরপর একে একে সুলতানার ছেলে সৈকত, ভাই সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ছাড়া শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লায় সুলতানার ভাড়া বাসার মালিক দুলাল হোসেনের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।
তদন্ত দলের সঙ্গে কথা বলা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলার সার্কিট হাউস চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুলতানার মামা নাজমুল হক ও তাঁর ভাই সুলতান মাহমুদ সোহাগ।
নাজমুল হক বলেন, ‘আমার ভাগনি সুলতানাকে মুক্তির মোড় থেকে তুলে নেওয়ার পর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দাফন কার্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন কী কী ঘটেছে তাঁর বর্ণনা আমাদের কাছ থেকে শুনেছেন তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া জেসমিনের বাসা থেকে জেসমিন ও মামলার বাদী এনামুলের মধ্যকার বিভিন্ন অঙ্কের টাকা লেনদেনের কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। সেগুলো তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছি।’
সার্কিট হাউসের সামনে সুলতানার ভাই সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘র্যাবের হাতে আটকের পর অসুস্থ হন আমার বোন। পরে তাঁদের হেফাজতে চিকিৎসা চলা অবস্থায় মারা যান। আশা করি, প্রকৃত দোষীরা দ্রুত চিহ্নিত হবেন। এর সঠিক বিচার চাই।’
তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলা শেষে রাত ৮টার দিকে সুলতানার ছেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রকৃত দোষীদের বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
হাইকোর্টের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নওগাঁর পুলিশ সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতানা।
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে নিহতের ছেলে, ভাই, মামা, বাড়িওয়ালা ও দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত দল। তদন্ত কমিটিকে সুলতানার বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়েছেন তাঁরা।
তদন্ত দলের সদস্যদের মধ্যে নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমতিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, সিভিল সার্জন আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানকে সার্কিট হাউসে ঢুকতে দেখা যায়।
এরপর তদন্তের শুরুতেই সুলতানাকে আটকের সময়ে প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তির মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী রুস্তম আলী ও সুলতানার মামা নজমুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করে কমিটি। এরপর একে একে সুলতানার ছেলে সৈকত, ভাই সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ছাড়া শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লায় সুলতানার ভাড়া বাসার মালিক দুলাল হোসেনের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।
তদন্ত দলের সঙ্গে কথা বলা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলার সার্কিট হাউস চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুলতানার মামা নাজমুল হক ও তাঁর ভাই সুলতান মাহমুদ সোহাগ।
নাজমুল হক বলেন, ‘আমার ভাগনি সুলতানাকে মুক্তির মোড় থেকে তুলে নেওয়ার পর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দাফন কার্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন কী কী ঘটেছে তাঁর বর্ণনা আমাদের কাছ থেকে শুনেছেন তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া জেসমিনের বাসা থেকে জেসমিন ও মামলার বাদী এনামুলের মধ্যকার বিভিন্ন অঙ্কের টাকা লেনদেনের কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। সেগুলো তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছি।’
সার্কিট হাউসের সামনে সুলতানার ভাই সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘র্যাবের হাতে আটকের পর অসুস্থ হন আমার বোন। পরে তাঁদের হেফাজতে চিকিৎসা চলা অবস্থায় মারা যান। আশা করি, প্রকৃত দোষীরা দ্রুত চিহ্নিত হবেন। এর সঠিক বিচার চাই।’
তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলা শেষে রাত ৮টার দিকে সুলতানার ছেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রকৃত দোষীদের বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
হাইকোর্টের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নওগাঁর পুলিশ সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতানা।
বঙ্গোপসাগরে পাঁচ দিন ভেসে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন মোরশেদ (২০) নামের এক জেলে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কুয়াকাটার জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করেন। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এফবি সাজেদা ট্রলারের মাঝি সোবহান তাঁকে এফবি বায়েজিদ ট্রলারে হস্তান্তর করেন।
২৪ মিনিট আগেসিলেট সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই দিন দুপুরে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। পরে বুধবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগেহবিগঞ্জের চুনারুঘাটে তিন নারী-পুরুষকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে তাঁদের চুনারুঘাট থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
৩৩ মিনিট আগেবর্তমানে চিতলমারীতে কর্মরত চিকিৎসক শর্মী রায়ের বিরুদ্ধে এর আগে একই জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে করোনা মহামারির সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ করা সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
৩৪ মিনিট আগে