বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শুষ্ক মৌসুম ও অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩০ ফুটের বেশি নিচে নেমে গেছে। এ কারণে উপজেলা জুড়ে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ নলকূপ ও সেচযন্ত্রে পানি উঠছে না। ফলে মানুষের মাঝে পানির জন্য তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যেমন-রহিমানপুর, দেবনগর, সাইলকোনা, দয়ারাপুর, বাটিকামারি, ক্ষিদ্রমালঞ্চি, কালিকাপুর, জিগরী, বিলগোপালহাটি, স্বরূপপুর এবং কামারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরও শুষ্ক মৌসুমে উপজেলায় পানির সংকট দেখা দিয়েছিল। চলতি বছর এই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৯৫ থেকে ৯৭ ভাগ সাধারণ নলকূপ ও শ্যালো মেশিনে পানি উঠছে না। খাল-বিল, পুকুর, এমনকি বাগাতিপাড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল ও মুসা খাঁ নদও শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে সুপেয় পানি পান করা, বসতবাড়িতে গোসল, রান্না ও জমিতে সেচ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
শুধু মাত্র ডিপ টিউবওয়েল ও জল মোটরগুলোতে (সাবমার্সিবল পাম্প) পানি উঠছে। এলাকায় যাদের জল মোটর রয়েছে সকাল সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে পানি নেওয়ার জন্য ধরনা ধরছেন গ্রামের লোকজন। আর ওই দুই সময়ে পানি নিয়ে তাদের সারা দিনের কাজ চালাতে হচ্ছে। অপরদিকে বাড়ির আশপাশের ফসলের জমিতে বাড়িতে থাকা জল মোটর থেকে সেচ দেওয়া হচ্ছে। এতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। কিন্তু দূরের মাঠের ফসল রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি ঝরে পড়ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা জুড়েই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজারের বেশি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। শুধু ডিপ সিলিন্ডার ও জল মোটরে পানি পাওয়া যাচ্ছে।
দেবনগর গ্রামের মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের গ্রামে ১৭৫টি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি বাড়িতে জল মোটর রয়েছে। এই পাঁচটি জল মোটর থেকে পানি সংগ্রহ করে পুরো গ্রামের মানুষ চলছে। একটি টিউবওয়েল পানি উঠছে না। আবার মাঠে যারা ধান চাষ করছেন, শেষ সময়ে পানির অভাবে তাঁরা মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছেন।
ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামের সাজেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের এলাকায় প্রায় ২০০টি সাধারণ নলকূপ আছে। এর একটিতেও পানি উঠছে না। তাঁর নিজ বাড়ির নলকূপে পানি না থাকায় দিনে তিনবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার দূরে, অন্য মানুষের বাড়ির জল মোটর থেকে পানি সংগ্রহ করছেন। রমজান মাসে ব্যাপারটি খুব কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।
মোল্লা পাড়া এলাকার কৃষক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। শ্যালো মেশিনে পানি না ওঠায় গর্ত করে নিচে বসিয়ে কয়েক দিন জমিতে পানি দিতে পেরেছিলেন। এখন রাত তিনটার সময় গিয়েও পানি দিতে পারছেন না। ধানের বুকে থোড় চলে এসেছে। এখন পানি দিতে না পারলে সব ধান চিটা হয়ে যাবে। এত টাকা খরচ করে ধান না পেলে সংসার চালানো নিয়ে বিপাকে পড়ে যাবেন।
জনস্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে উপজেলা জুড়েই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার বেশি সংকটপূর্ণ স্থানগুলোতে ১২০টি জল মোটর বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই এগুলো বসানো হবে। এতে সংকট কিছুটা লাঘব হবে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানির তীব্র সংকটের বিষয়ে আমি অবগত না। তবে পানির কিছু সংকটের শুনেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শুষ্ক মৌসুম ও অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩০ ফুটের বেশি নিচে নেমে গেছে। এ কারণে উপজেলা জুড়ে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ নলকূপ ও সেচযন্ত্রে পানি উঠছে না। ফলে মানুষের মাঝে পানির জন্য তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যেমন-রহিমানপুর, দেবনগর, সাইলকোনা, দয়ারাপুর, বাটিকামারি, ক্ষিদ্রমালঞ্চি, কালিকাপুর, জিগরী, বিলগোপালহাটি, স্বরূপপুর এবং কামারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরও শুষ্ক মৌসুমে উপজেলায় পানির সংকট দেখা দিয়েছিল। চলতি বছর এই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৯৫ থেকে ৯৭ ভাগ সাধারণ নলকূপ ও শ্যালো মেশিনে পানি উঠছে না। খাল-বিল, পুকুর, এমনকি বাগাতিপাড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল ও মুসা খাঁ নদও শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে সুপেয় পানি পান করা, বসতবাড়িতে গোসল, রান্না ও জমিতে সেচ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
শুধু মাত্র ডিপ টিউবওয়েল ও জল মোটরগুলোতে (সাবমার্সিবল পাম্প) পানি উঠছে। এলাকায় যাদের জল মোটর রয়েছে সকাল সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে পানি নেওয়ার জন্য ধরনা ধরছেন গ্রামের লোকজন। আর ওই দুই সময়ে পানি নিয়ে তাদের সারা দিনের কাজ চালাতে হচ্ছে। অপরদিকে বাড়ির আশপাশের ফসলের জমিতে বাড়িতে থাকা জল মোটর থেকে সেচ দেওয়া হচ্ছে। এতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। কিন্তু দূরের মাঠের ফসল রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি ঝরে পড়ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা জুড়েই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজারের বেশি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। শুধু ডিপ সিলিন্ডার ও জল মোটরে পানি পাওয়া যাচ্ছে।
দেবনগর গ্রামের মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের গ্রামে ১৭৫টি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি বাড়িতে জল মোটর রয়েছে। এই পাঁচটি জল মোটর থেকে পানি সংগ্রহ করে পুরো গ্রামের মানুষ চলছে। একটি টিউবওয়েল পানি উঠছে না। আবার মাঠে যারা ধান চাষ করছেন, শেষ সময়ে পানির অভাবে তাঁরা মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছেন।
ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামের সাজেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের এলাকায় প্রায় ২০০টি সাধারণ নলকূপ আছে। এর একটিতেও পানি উঠছে না। তাঁর নিজ বাড়ির নলকূপে পানি না থাকায় দিনে তিনবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার দূরে, অন্য মানুষের বাড়ির জল মোটর থেকে পানি সংগ্রহ করছেন। রমজান মাসে ব্যাপারটি খুব কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।
মোল্লা পাড়া এলাকার কৃষক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। শ্যালো মেশিনে পানি না ওঠায় গর্ত করে নিচে বসিয়ে কয়েক দিন জমিতে পানি দিতে পেরেছিলেন। এখন রাত তিনটার সময় গিয়েও পানি দিতে পারছেন না। ধানের বুকে থোড় চলে এসেছে। এখন পানি দিতে না পারলে সব ধান চিটা হয়ে যাবে। এত টাকা খরচ করে ধান না পেলে সংসার চালানো নিয়ে বিপাকে পড়ে যাবেন।
জনস্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে উপজেলা জুড়েই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার বেশি সংকটপূর্ণ স্থানগুলোতে ১২০টি জল মোটর বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই এগুলো বসানো হবে। এতে সংকট কিছুটা লাঘব হবে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানির তীব্র সংকটের বিষয়ে আমি অবগত না। তবে পানির কিছু সংকটের শুনেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে