Ajker Patrika

বিএমডিএর কেনাকাটা: তিন হাজার টাকার ফ্যান ১০ হাজারে

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ১০: ০৯
বিএমডিএর কেনাকাটা: তিন হাজার টাকার ফ্যান ১০ হাজারে

এক টাকা দামের প্রতিটি খাম কেনা হয়েছে ৯ টাকায়। আর ৩ টাকার খাম ১৩ টাকায়। বাজারে ১২৮ জিবির যে পেনড্রাইভের দাম ১ হাজার টাকা, তা কেনা হয়েছে আড়াই হাজারে। ৩ হাজার ৩০০ টাকার ইউপিএসের দাম ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকায়। আর ৩ হাজার টাকার ওয়াল ফ্যান ৯ হাজার ৯০০ টাকা দরে কেনা হয়।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বিভিন্ন প্রকল্পে কোটেশনের মাধ্যমে কেনাকাটায় এমন অস্বাভাবিক দাম দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকল্প পরিচালকেরা (পিডি) অস্বাভাবিক মূল্য পরিশোধ করে নিজেদের কমিশন বাগিয়ে নেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে মালপত্র বুঝে না নিয়ে শুধু কাগজ-কলমে কেনাকাটা দেখিয়ে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে।

২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিএমডিএর বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীরা ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৬ টাকার কেনাকাটা করেছেন শুধু কোটেশন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।

নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, বিএমডিএর ইআইইসিডি প্রকল্পের পরিচালক শহিদুর রহমান গত বছরের ১৯ জুন একটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তি দেন। কমডেক্স ইনফরমেশন টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৬ হাজার টাকায় একটি ইউপিএস, আড়াই হাজার টাকায় পেনড্রাইভ, ৩ হাজার ৬০০ টাকায় র‌্যাম ও সাড়ে ৩ হাজার টাকায় সিপিইউ ক্যাসিংসহ অন্যান্য মালপত্র সরবরাহ করে।

মডেল অনুযায়ী অনলাইন বাজার যাচাই করে দেখা গেছে, পাওয়ার গার্ডের ওই ইউপিএসের দাম বাস্তবে ৩ হাজার ৩৯০ টাকা, ক্যাসিংয়ের দাম ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং ১২৮ জিবি পেনড্রাইভের দাম মাত্র ১ হাজার টাকা। কোটেশনেই এসব দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন পিডি।

পিডি শহিদুর রহমান ৩ হাজার ৩৯০ টাকার যে ইউপিএস কিনেছেন ৬ হাজার টাকায়, সেই একই ইউপিএস আরেক কোটেশনের মাধ্যমে ৪ হাজার ৯০০ টাকায় কিনেছেন এইচভিসিপি প্রকল্পের পিডি এটিএম রফিকুল ইসলাম। চার্টার্ড কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর পিডি রফিকুল ইউপিএসের সঙ্গে ৬৯ হাজার ৮৫০ টাকায় এইচপির কোরআই-৩ প্রসেসরের একটি ল্যাপটপও কিনেছেন। বাজারে এর দাম ৬০ হাজারের বেশি নয়। এই পিডি সাইম প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২৫০ পিস ক্যাপ কিনেছেন ১২৯ টাকা দরে। বাস্তবে এই ক্যাপগুলোর দাম ৫০ টাকার বেশি নয়।

নথিতে আরও দেখা যায়, সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের পিডি নূর ইসলাম ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর নাভানা ফার্নিচার থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৫ টাকার আসবাবপত্র কেনেন কোটেশনের মাধ্যমে। এ ছাড়া গত বছরের ২২ নভেম্বর বিসমিল্লাহ মেট্রো অটোমোবাইলস থেকে কোটেশনে জিপের যন্ত্রাংশ কেনেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭০ টাকার। এই পিডি কমডেক্স ইনফরমেশন টেকনোলজির কাছ থেকে কোটেশনের মাধ্যমে গত বছরের ১৭ অক্টোবর ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৩০ টাকার কম্পিউটার সামগ্রী কিনেছেন।

আবার আরেক প্রকল্প পরিচালক নাজিরুল ইসলাম গত বছরের ১৯ জুন চার্টার্ড কম্পিউটার থেকে ৮৫ হাজার টাকা দামের তিনটি ফটোকপি মেশিন কিনেছেন প্রতিটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৪৫ টাকায়। এ ক্ষেত্রে তিনটি ফটোকপি মেশিনের জন্য বাড়তি বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৩৫ টাকা।

বিএমডিএর এইচভিসি প্রকল্পের পিডি সেলিম কবীর চলতি বছরের ২১ মার্চ একসঙ্গে ১৪ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ দেন সিটি কম্পিউটার নামের চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক প্রতিষ্ঠানকে। গত ২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটি মালামাল সরবরাহের যে বিল দাখিল করেছে, তাতে কোনো পণ্যের মডেল উল্লেখ করেনি।

পিডি সেলিম কবীর ঢাকার ডিলাইট নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশনে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকার ম্যানুয়াল, নোটবুক, অফিস ফাইল ও খাম কিনেছেন। বাজারে খাকি রঙের ছোট যে খাম পাওয়া যায় ১ টাকায়, সেই খাম তিনি কিনেছেন প্রতিটি ৯ টাকা দরে। আর ৩ টাকা দামের এ ফোর সাইজের খাম কেনা হয়েছে প্রতিটি ১৩ টাকা দরে।

পিডি সেলিম কবির গত বছরের ২২ নভেম্বর আরেকটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তিতে মিন্টু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার মালপত্র কেনেন। সেখানে ৩ হাজার টাকার ওয়াল ফ্যান ৯ হাজার ৯০০ টাকা দরে কেনা হয়।

পিডিরা যা বলেন
অস্বাভাবিক এই দাম নিয়ে জানতে চাইলে পিডি সেলিম কবীর বলেন, ‘আমরা সব ব্র্যান্ডের ভালো জিনিসটা কিনি। এগুলোর কোয়ালিটি আছে। সে কারণে দাম একটু বেশি।’ 
আরেক পিডি নূর ইসলামের কেনা বিভিন্ন পণ্যের বাজারদর আর পরিশোধিত দরের পার্থক্য শুনে বলেন, ‘আমরা এ দামেই কিনেছি। আপনি একটু অফিসে আসেন। সাক্ষাতে এ বিষয়ে কথা বলব।’

পিডি শহিদুর রহমান ফোন না ধরার কারণে অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঠিকাদারদের ভাষ্য
অস্বাভাবিক দামে ১৪ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিটি কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আলম বলেন, কোন জিনিসটা কত দামে দেওয়া হয়েছে তা খাতা না দেখে তিনি বলতে পারবেন না। পরে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

বিএমডিএতে নিয়মিত কোটেশনের মাধ্যমে মালামাল সরবরাহ করেন এমন একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকেই বিল বেশি করে দিতে বলা হয়। বিল তোলার সময় বিভিন্ন জায়গায় আবার খরচাপাতি দিতে হয়।

অসহায় নির্বাহী পরিচালক 
পিডিদের প্রশ্নে কিছুটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য দেখার চেষ্টা করি যেন বাজারদরেই পণ্য কেনা হয়। এর ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটা দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত