রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোর দেয়ালে দেয়ালে সাঁটা পোস্টার। সেখানে দেওয়া আছে মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক পেজের লিংক। সেই নম্বরে ফোন করলে কিংবা বার্তা পাঠালেই নিয়ে যাওয়া হয় কাপড়। ধুয়ে রোদে শুকানোর পর ইস্ত্রি করে কাপড়গুলো পৌঁছে দেওয়া হয় ঠিকানায়।
এই কাজ যারা করছেন তাঁরা কোনো পেশাদার ধোপা নন। তাঁরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চার শিক্ষার্থী। চার বন্ধু হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা। ছাত্রজীবন থেকেই সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে তাঁরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে এরই মধ্যেই নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। খুলেছেন ফেসবুক পেজ। ফেসবুক পেজের নাম ‘ধুয়ে দেই’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান খান ফারসি, হামিম শেঠ, অভিষেক বিশাল চৌধুরী, পলাশ বিন ফারুকের এই যৌথ উদ্যোগটির যাত্রা শুরু ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। তখন তাঁরা ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ফ্রি হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রদের কাপড় লন্ড্রি করে দেওয়াই ছিল তাঁদের কাজ। প্রতিদিনের হাতখরচ থেকে বাঁচিয়ে এক বছরের জমানো অর্থ দিয়ে উদ্যোগটি শুরু করেন তাঁরা।
‘ধুয়ে দেই’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ সালমান খান ফারসি বলেন, ‘যখন আমি প্রথম বর্ষে পড়ি তখন একদিন কাপড় ধুতে গিয়ে মনে হলো, ইশ! যদি এমন একটা ম্যাজিক থাকত যাতে প্রতিদিন নিয়ম করে আর কাপড় ধুতে হচ্ছে না, তাহলে খুব ভালো হতো। আইডিয়াটা মাথায় আসতেই বন্ধু হামিম শেঠের সঙ্গে আলোচনা করি। দুজনে ভাবতে শুরু করি, বিষয়টি নিয়ে কীভাবে এগোনো যায়। পরবর্তীতে খাতা-কলম নিয়ে হিসাব করে দেখি, আইডিয়াটা নিয়ে একটা ঝুঁকি নেওয়াই যায়। তারপরই চার বন্ধু মিলে “ধুয়ে দেই”-এর কার্যক্রম শুরু করি।’
তবে শুরুর দিকে এই উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বের করতে পারতেন তাঁরা। এইটুকু সময়ের মধ্যে অর্ডার নেওয়া এবং ডেলিভারি দেওয়াটা বেশ কঠিন ছিল। আবার প্রথমদিকে বেশ ভালো সাড়া পেলেও পরের মাসেই শুরু হয় করোনা মহামারি। বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্পাস। লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। কাপড় ধোয়ার জন্য কিস্তিতে কিনেছিলেন ওয়াশিং মেশিন। লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় কিস্তি চালানোও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ক্যাম্পাস খোলার পর আবার পুরো দমে ব্যবসা চলছে।
প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান ফারসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে শুরুতে সার্ভিস চার্জ অনেকটা কম নির্ধারণ করা হয়। লকডাউনের আগে গেঞ্জি প্রতি নেওয়া হতো পাঁচ টাকা, শার্ট ছয় টাকা ও প্যান্ট আট টাকা। এখন সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই প্রত্যেকটিতে দুই টাকা করে বাড়িয়েছি। এ ছাড়া সোয়েটার ২০ টাকা, জ্যাকেট ৫০ টাকা, সিঙ্গেল কম্বল ৮০ টাকা এবং ডাবল কম্বল কাচতে ১২০ টাকা করে নেওয়া হয়।’
ব্যতিক্রমী এই কার্যক্রমটি বাংলাদেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন ‘ধুয়ে দেই’-এর আরেক সদস্য হামিম শেঠ। তিনি বলেন, সম্প্রতি রুয়েটে (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে তাঁদের কার্যক্রম চলছে। ‘ধুয়ে দেই’-এর ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বানানোর কাজ চলছে বলেও জানান হামিম।
শিক্ষার্থীদের এমন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে খুশি বিভাগের শিক্ষকেরাও। পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের বিভাগের পক্ষ থেকে অনুপ্রাণিত করেছি। তাদের নিয়ে গর্ব করি এবং প্রায় ক্লাসে বলে থাকি, তাদের সৃজনশীল বুদ্ধি আছে। আমি আমার সাধ্যমতো তাদের উৎসাহিত করেছি। বিভাগ তাদের নিয়ে গর্ববোধ করে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোর দেয়ালে দেয়ালে সাঁটা পোস্টার। সেখানে দেওয়া আছে মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক পেজের লিংক। সেই নম্বরে ফোন করলে কিংবা বার্তা পাঠালেই নিয়ে যাওয়া হয় কাপড়। ধুয়ে রোদে শুকানোর পর ইস্ত্রি করে কাপড়গুলো পৌঁছে দেওয়া হয় ঠিকানায়।
এই কাজ যারা করছেন তাঁরা কোনো পেশাদার ধোপা নন। তাঁরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চার শিক্ষার্থী। চার বন্ধু হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা। ছাত্রজীবন থেকেই সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে তাঁরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে এরই মধ্যেই নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। খুলেছেন ফেসবুক পেজ। ফেসবুক পেজের নাম ‘ধুয়ে দেই’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান খান ফারসি, হামিম শেঠ, অভিষেক বিশাল চৌধুরী, পলাশ বিন ফারুকের এই যৌথ উদ্যোগটির যাত্রা শুরু ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। তখন তাঁরা ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ফ্রি হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রদের কাপড় লন্ড্রি করে দেওয়াই ছিল তাঁদের কাজ। প্রতিদিনের হাতখরচ থেকে বাঁচিয়ে এক বছরের জমানো অর্থ দিয়ে উদ্যোগটি শুরু করেন তাঁরা।
‘ধুয়ে দেই’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ সালমান খান ফারসি বলেন, ‘যখন আমি প্রথম বর্ষে পড়ি তখন একদিন কাপড় ধুতে গিয়ে মনে হলো, ইশ! যদি এমন একটা ম্যাজিক থাকত যাতে প্রতিদিন নিয়ম করে আর কাপড় ধুতে হচ্ছে না, তাহলে খুব ভালো হতো। আইডিয়াটা মাথায় আসতেই বন্ধু হামিম শেঠের সঙ্গে আলোচনা করি। দুজনে ভাবতে শুরু করি, বিষয়টি নিয়ে কীভাবে এগোনো যায়। পরবর্তীতে খাতা-কলম নিয়ে হিসাব করে দেখি, আইডিয়াটা নিয়ে একটা ঝুঁকি নেওয়াই যায়। তারপরই চার বন্ধু মিলে “ধুয়ে দেই”-এর কার্যক্রম শুরু করি।’
তবে শুরুর দিকে এই উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বের করতে পারতেন তাঁরা। এইটুকু সময়ের মধ্যে অর্ডার নেওয়া এবং ডেলিভারি দেওয়াটা বেশ কঠিন ছিল। আবার প্রথমদিকে বেশ ভালো সাড়া পেলেও পরের মাসেই শুরু হয় করোনা মহামারি। বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্পাস। লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। কাপড় ধোয়ার জন্য কিস্তিতে কিনেছিলেন ওয়াশিং মেশিন। লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় কিস্তি চালানোও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ক্যাম্পাস খোলার পর আবার পুরো দমে ব্যবসা চলছে।
প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান ফারসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে শুরুতে সার্ভিস চার্জ অনেকটা কম নির্ধারণ করা হয়। লকডাউনের আগে গেঞ্জি প্রতি নেওয়া হতো পাঁচ টাকা, শার্ট ছয় টাকা ও প্যান্ট আট টাকা। এখন সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই প্রত্যেকটিতে দুই টাকা করে বাড়িয়েছি। এ ছাড়া সোয়েটার ২০ টাকা, জ্যাকেট ৫০ টাকা, সিঙ্গেল কম্বল ৮০ টাকা এবং ডাবল কম্বল কাচতে ১২০ টাকা করে নেওয়া হয়।’
ব্যতিক্রমী এই কার্যক্রমটি বাংলাদেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন ‘ধুয়ে দেই’-এর আরেক সদস্য হামিম শেঠ। তিনি বলেন, সম্প্রতি রুয়েটে (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে তাঁদের কার্যক্রম চলছে। ‘ধুয়ে দেই’-এর ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বানানোর কাজ চলছে বলেও জানান হামিম।
শিক্ষার্থীদের এমন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে খুশি বিভাগের শিক্ষকেরাও। পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের বিভাগের পক্ষ থেকে অনুপ্রাণিত করেছি। তাদের নিয়ে গর্ব করি এবং প্রায় ক্লাসে বলে থাকি, তাদের সৃজনশীল বুদ্ধি আছে। আমি আমার সাধ্যমতো তাদের উৎসাহিত করেছি। বিভাগ তাদের নিয়ে গর্ববোধ করে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি দিঘির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার মধ্যে আরেকটি ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প ৯ বছরেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দৃশ্যত সাইনবোর্ডেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সব। ভারত সরকারের অর্থায়নে এ কারখানা নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিংয়ে (ইওজিএম) যোগ দিতে আসা বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগে