Ajker Patrika

শেষ সময়ে জমেছে উঠেছে তাহেরপুরের পশুর হাট

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি  
শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আজ শুক্রবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পশুর হাট। ছবি: আজকের পত্রিকা
শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আজ শুক্রবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পশুর হাট। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার মিলনস্থান তাহেরপুর বাজার। দুই জেলার চার উপজেলার মিলনস্থান হওয়ায় এ বাজারে বসে বিশাল পশুর হাট। কাল ঈদুল আজহা। আজ শুক্রবার তাহেরপুরে ঈদের শেষ হাট ছিল। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমেছে তাহেরপুর বাজারের পশুর হাট।

হাটে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের গরু। তবে হাটে মাঝারি আকারের গরু বেশি দেখা গেছে। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাও বেশি। এই গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে গরু রয়েছে। তবে ক্রেতারা দাম বলতে চাচ্ছে না। হাটে তুলনামূলক মাঝারি আকারের গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

আজ বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের গরুর মধ্যে দামের দিক থেকে ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। হাটে এমন গরুর চাহিদা বেশি। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো একজন বা দুজনে নিচ্ছেন কোরবানির জন্য। আবার ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের গরু ৫ থেকে ৭ ভাগে কোরবানির জন্য কিনছেন ক্রেতারা।

বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার সাইদুর একটি ষাঁড় বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। দাম হাঁকাচ্ছেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে দামে না হওয়ায় ষাঁড়টি বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আজ শুক্রবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পশুর হাট। ছবি: আজকের পত্রিকা
শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আজ শুক্রবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পশুর হাট। ছবি: আজকের পত্রিকা

আরেক গরু বিক্রেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, গরুর বাজার ভালো না। বাজারে গরুর মাংসের দাম বেশি। কিন্তু হাটে গরুর দাম কম। বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ কেজি। সেই হিসাবে এক মণ মাংসের দাম পড়ছে ৩০ হাজার। অনেকেই এই টার্গেটের কম দাম বলছেন।

হাটে বাগমারা উপজেলার গরু ক্রেতা মাসুদ খান বলেন, ‘হাটে গরুর দাম তুলনামূলক স্বাভাবিক লাগছে। এক লাখ ও দেড় লাখ টাকা দামের গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের এই গরুগুলোর চাহিদা বেশি। আমরা ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় একটি মাঝারি ধরনের গরু কিনলাম সাতজন একসঙ্গে।’

জানতে চাইলে তাহেরপুর হাটের ইজারাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাট ক্রেতা-বিক্রেতার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। জাল নোট শনাক্তকরণ ও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইজারাদার বলেন, হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ ও ৪০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠেছিল। কেনাবেচা ভালো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত