চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটে চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই বাজারগুলোতে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর শরীরে কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা, অন্যদিকে জনসচেতনতার অভাবের মধ্যে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও পৌর শহরে চলছে মাংস ক্রয়-বিক্রয়। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণী সম্পদ ও পৌরসভার হলেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। এতে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন অন্তত ৩টি গরু জবাই করা হয়। বুধবার ও শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিনে বেশি গরু জবাই করা হয়। প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না।
আজ শনিবার সকালে চারঘাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি বাজারে ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে জবাই করা গবাদিপশু বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন তাঁরা।
এলাকার সচেতন নাগরিকেরা বলছেন, এসব গবাদিপশুর বিভিন্ন জটিল রোগ থাকতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশু জবাই করা এবং বিক্রি করা আইনত অপরাধ। কিন্তু এই আইন অমান্য করে বিভিন্ন বাজারে জবাই করা হচ্ছে গবাদিপশু।
সেলিম রেজা নামে একজন ক্রেতা বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তা অনেকেই জানি না। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব কার-সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নাকি পশুসম্পদ বিভাগের তা সাধারণ মানুষের অজানা। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রোগ নির্ণয়ে কোনো ধরনের তদারকি না থাকার ফলে সাধারণ ক্রেতারা ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা তোফায়েল জানান, লোকজন মারা যাওয়া গরুর মাংস খাচ্ছে নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই-এমন প্রশ্নের জবাবে মাংস ব্যবসায়ী হেফাজ উদ্দীন বলেন, বেশির ভাগ গরু ভালো থাকায় ছাড়পত্র নেওয়া হয় না। তবে এ মাসের মধ্যে কোনো পশু প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে গরু বিক্রেতারা নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। তবে পৌরসভার কর্মচারীরা মাঝে মাঝে আসে বলে জানান তিনি।
চারঘাট উপজেলা স্যানিটারি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, আমরা কিছুদিন পর পর বাজার তদারকি করে থাকি। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রাণীসম্পদ অফিসের কাজ। এ ব্যাপারে মাংস বিক্রেতাদের আমরা শুধু বোঝাতে পারি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মতো জনবল আমাদের নেই। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশুর মাংস খাওয়া ঠিক না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও ছাড়পত্র দেওয়া পৌরসভার কাজ।
চারঘাট পৌর সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের গবাদিপশু পরীক্ষার জন্য নিজস্ব কোনো জনবল ও শেডঘর নেই। এ জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না।
রাজশাহীর চারঘাটে চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই বাজারগুলোতে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর শরীরে কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা, অন্যদিকে জনসচেতনতার অভাবের মধ্যে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও পৌর শহরে চলছে মাংস ক্রয়-বিক্রয়। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণী সম্পদ ও পৌরসভার হলেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। এতে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন অন্তত ৩টি গরু জবাই করা হয়। বুধবার ও শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিনে বেশি গরু জবাই করা হয়। প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না।
আজ শনিবার সকালে চারঘাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি বাজারে ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে জবাই করা গবাদিপশু বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন তাঁরা।
এলাকার সচেতন নাগরিকেরা বলছেন, এসব গবাদিপশুর বিভিন্ন জটিল রোগ থাকতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশু জবাই করা এবং বিক্রি করা আইনত অপরাধ। কিন্তু এই আইন অমান্য করে বিভিন্ন বাজারে জবাই করা হচ্ছে গবাদিপশু।
সেলিম রেজা নামে একজন ক্রেতা বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তা অনেকেই জানি না। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব কার-সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নাকি পশুসম্পদ বিভাগের তা সাধারণ মানুষের অজানা। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রোগ নির্ণয়ে কোনো ধরনের তদারকি না থাকার ফলে সাধারণ ক্রেতারা ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা তোফায়েল জানান, লোকজন মারা যাওয়া গরুর মাংস খাচ্ছে নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই-এমন প্রশ্নের জবাবে মাংস ব্যবসায়ী হেফাজ উদ্দীন বলেন, বেশির ভাগ গরু ভালো থাকায় ছাড়পত্র নেওয়া হয় না। তবে এ মাসের মধ্যে কোনো পশু প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে গরু বিক্রেতারা নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। তবে পৌরসভার কর্মচারীরা মাঝে মাঝে আসে বলে জানান তিনি।
চারঘাট উপজেলা স্যানিটারি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, আমরা কিছুদিন পর পর বাজার তদারকি করে থাকি। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রাণীসম্পদ অফিসের কাজ। এ ব্যাপারে মাংস বিক্রেতাদের আমরা শুধু বোঝাতে পারি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মতো জনবল আমাদের নেই। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশুর মাংস খাওয়া ঠিক না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও ছাড়পত্র দেওয়া পৌরসভার কাজ।
চারঘাট পৌর সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের গবাদিপশু পরীক্ষার জন্য নিজস্ব কোনো জনবল ও শেডঘর নেই। এ জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে বাঁশতৈল বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর আহমেদ লাভলু বাঁশতৈল ইউনিয়নের গাইরাবেতিল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
১২ মিনিট আগে৫৫ হাজার টাকার মোবাইল কেনার বায়না ধরে সাব্বির মোল্লা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সে প্রাণে বেঁচে যায়। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার ও এলাকাবাসী হতবাক।
১৩ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোড়াগাছা গ্রামের মিলন মাদবর দীর্ঘদিন ধরে ওমানপ্রবাসী। গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় মিলন মাদবরের বসতঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পাঁচটি বালতিতে রাখা ৩০টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ৭ আগস্ট যে স্থানে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করেছিল, সেই একই স্থানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এক শরবত বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৩১ মিনিট আগে