Ajker Patrika

দুর্গাপুরে ১১ দিন ধরে নেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
দুর্গাপুরে ১১ দিন ধরে নেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত

রাজশাহীর দুর্গাপুরে ১১ দিন ধরে কর্মস্থলে নেই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। এতে ব্যাহত হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ। সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের। কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে অন্য উপজেলায় বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় এ ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল বদলি নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন দায়িত্ব না বুঝিয়ে দিয়েই চলে গেছেন পবা উপজেলায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তিনি অফিস করতে পারেননি। পবায় মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের বাইরে বারান্দায় বসে সময় কাটছে তার।

অপরদিকে পবার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে বদলি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুর উপজেলায়। কিন্তু হাবিবা খাতুন অসুস্থ জনিত কারণে ছুটিতে আছেন। ছুটিতে থাকায় তিনি এখনো পবার দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি ফাতেমার হাতে। কিন্তু ফাতেমা দুর্গাপুরের দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই পবায় থাকছেন। এ নিয়ে ১১ দিন ধরে দুর্গাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নেই। ফলে সুনশান অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে।

আজ রোববার দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, একেবারে সুনশান অবস্থা। ভেতরে তিনজন কর্মচারী ছাড়া আর কেউ নেই। এমন সময় সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সেবা নিতে আসা পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আরমান আলী।

আরমান আলী জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন তিনি।

সেবা গ্রহীতা আরমান আরও বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর তিন দিন এই কার্যালয়ে আসলাম। একদিনও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে পারলাম না। অফিসের লোকজনও বলতে পারে না কবে কখন তারা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পাবেন।’

এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেলী বেগম বলেন, ‘১১ দিন ধরে ম্যাডাম নেই। শুনেছি নতুন ম্যাডাম এখানে বদলি দিয়েছেন। তিনিও এখনো যোগদান করেননি। তাই দাপ্তরিক কাজে বিড়ম্বনা হচ্ছে। অফিসের অনলাইনের কাজ কিছুটা আমরা করলেও অনেক কাজে ম্যাডামের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। সেগুলো আর হচ্ছে না। তাই ভুক্তভোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।’

সোহেলী আরও বলেন, ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমের আওতায় এ উপজেলা প্রতি মাসে ১ হাজার ৯৪৬ জন অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া চাল ওঠানো সম্ভব না। যেহেতু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নেই। কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। এ মাসের চাল কীভাবে দেওয়া হবে এ নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।’

অভিযোগে দুর্গাপুর ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আমি বদলির আদেশ নিয়েই পবায় এসেছি। কিন্তু কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকায় বাইরে অফিস করছি।’

দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই অন্য উপজেলায় চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন কল কেটে দেন।

পবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বলেন, ‘আমি অসুস্থ। মেডিকেল সনদ নিয়ে আবেদন করে বৈধ পন্থায় ছুটিতে আছি। আমি এখনো পবার দায়িত্বে আছি। সেখানে ফাতেমা খাতুন দুর্গাপুরের দায়িত্ব হস্তান্তর না করে অবৈধভাবে পবায় এসে বারান্দায় বসে সময় কাটাচ্ছে। অথচ দুর্গাপুরে কাজ বুঝিয়ে দেননি তিনি।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমার ছুটি শেষ হলে আমি কাজ বুঝিয়ে দিয়ে তারপর পবা থেকে যাব।’

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা দ্রুত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পাব।’

রাজশাহী জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। সেখানে এটার সমাধান হবে। পবার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন।’

দুর্গাপুরের কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে ফাতেমা পবায় গেছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে শবনম শিরীন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সব জায়গায় কাজ বুঝিয়ে দিয়ে তাকে অন্যত্র যেতে হবে। তবে তিনি কী কারণে তা করেননি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সমাধান দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মামার বদলে আদালতে হাজিরা ভাগনের, কারাফটকে ধরা

­যশোর প্রতিনিধি
শামীম আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত
শামীম আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আসামি হাসানের পক্ষে কারাগারে যাওয়া ভাগনে মো. শামীম আহম্মেদ (২৭) যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। আর হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন আদালতের নির্দেশে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করা ও মূল আসামি হাসানের নামে পরোয়ানা জারি হবে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে এর বেশি জানাতে চাননি তিনি।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর সদরের ভেকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলামের বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে আসেন স্থানীয় নিশানুর রহমান অন্তরের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন। এ সময় রাকিবুলের কাছে পাঁচ লাখ চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর হামলা ও রাকিবুলের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটে। এ সময় তাঁরা নগদ ও বিকাশে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

পরদিন ভুক্তভোগী রাকিবুল চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও হামলার অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি হাসান। বিভিন্ন সময়ে আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনে রয়েছেন।

গতকাল দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামিরা হাজিরা দিতে আসেন। আসামি হাসানের পক্ষে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দেন ভাগনে শামীম। এদিন (২১ অক্টোবর) শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমকে।

প্রিজন ভ্যানে আসামি কারাগারে যাওয়ার পর আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা যাচাইয়ের সময় শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ফলে কারাগারের সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্টে প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ শনাক্ত হয়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে যাওয়া শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন হাসান তাঁর আপন ছোট মামা। মামার পরিবর্তে তিনি তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে আদালতে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাবেরুল হক সাবুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ ফোস্তফা রাজা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। অনেক সময় মুহুরিদের ম্যানেজ করে আসামির পক্ষে কেউ হাজিরা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। কীভাবে এটি হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাচার ঠেকাতে সিলেট সীমান্তে বিজিবির অভিযান, যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চারিকাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বালিদাড়া কান্দির মুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমাস উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে জানিয়ে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

তবে বিজিবি তাদের ওপর হামলা ও একজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার কথা জানালেও ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, আজ সকাল ১০টার দিকে বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধীন সুইরঘাট বিওপির চারজন সদস্য দুটি মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী বালিদাড়া কান্দিরমুখ মসজিদের দক্ষিণে তাজ উদ্দিনের বাড়ির পাশে চতুল-লালাখাল সড়কের ওপর পিকআপে করে দেশীয় সুপারি নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমাস উদ্দিন নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কান্দিরমুখে মসজিদের কাছে এলে বিজিবিকে দেখতে পেয়ে গাড়ি (পিকআপ) ঘুরিয়ে বাজারের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন আলমাসসহ অন্যরা। তখন বিজিবি তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান সেলিমের জিম্মায় জব্দ সুপারি রেখে গেছে বিজিবি।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সুরাইঘাট বিওপির একটি টহল দল জৈন্তাপুরের চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্তিখলা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যায়। অভিযানের সময় টহল দল একটি অবৈধ পণ্যবাহী পিকআপ আটক করলে অজ্ঞাতনামা একদল সশস্ত্র চোরাকারবারি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটাসহ টহল দলের ওপর আকস্মিক হামলা করে জব্দ করা মালপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সরকারি সম্পদ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং টহল দলের সদস্যদের জানমাল রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলাকারীদের আক্রমণে বিজিবির এক সদস্য মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

তবে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি পিকআপে দেশি সুপারি ছিল। বিডিআর (বিজিবি) ধাওয়া দিয়ে পিকআপে বেশ কয়েকটি গুলি করে। পিকআপের ওপরে থাকা একটা ছেলেকে ডিরেক্ট (সরাসরি) গুলি করে। গুলির আঘাতে ছেলেটা মারা গেছে। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, নিহত ছেলেটি পিকআপশ্রমিক মানে চালকের সহকারী, চোরাকারবারি নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের হেডকোয়ার্টার্সে তথ্য পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে মেসেজ এলে আপনাদের জানানো হবে। এর বাইরে এখন কিছু বলতে পারব না।’

জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে।’

বিজিবির গুলিতে নিহতের অভিযোগ প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দাবি করেছেন, বিজিবির গুলিতে আলমাস মিয়া মারা গেছেন।’

তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ তাঁদের কাছে কোনো অভিযোগ করতে আসেনি বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে মর্গে মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ডোম আবু সাঈদ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ডোম আবু সাঈদ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাটি গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক ও পুলিশ। বিষয়টি জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ওই তরুণীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়। পরদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করার সময় অস্বাভাবিক কিছু বিষয় লক্ষ করেন।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরে জানান, ময়নাতদন্তের সময় তিনি নিশ্চিত হন, মৃতদেহটি মর্গে আসার পর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে জানান।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহবশত মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম আবু সাঈদকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ডোমের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ডোম সাঈদের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায়।

মেডিকেল কলেজের মর্গের মতো একটি সুরক্ষিত ও সংবেদনশীল স্থানে এমন ঘটনায় হাসপাতালের কর্মী মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে বিবেচিত স্থানে এমন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় হালুয়াঘাট থেকে তরুণীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পর আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক অপরাধ। আমরা দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব, যাতে এমন বর্বরতা কেউ আর কখনো করার সাহস না পায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়ক দিবস: চট্টগ্রামে ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ বিতরণ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে সার্কিট হাউসে গিয়ে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলায় সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের (৯ জন) পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয় এবং ১৫ জন মোটরসাইকেল লাইসেন্সধারী চালকের মধ্যে বিনা মূল্যে মানসম্মত হেলমেট বিতরণ করা হয়।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়া উদ্দিন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, বিআরটিএর বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহদ্দীন চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা, ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আবছা রহিম, প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোরশেদুল আলম কাদেরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে নগরীর জিইসি মোড়ে সড়ক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক রোড ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পথচারী, চালক ও যাত্রীদের মাঝে লিফলেট, স্টিকার ও ব্রোশিয়ার বিতরণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত