Ajker Patrika

রাজশাহী বিএনপি: সক্রিয় ৫ প্রবাসী, চান মনোনয়ন

  • সরকার পতনের পর এলাকায় আসছেন তাঁরা। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে এলাকা
  • কেউ কেউ নিজের টাকায় রাস্তা সংস্কারে নেমে পড়েছেন, কেউ খাবার বিতরণ করছেন
 রিমন রহমান, রাজশাহী
জাহিদ দেওয়ান শামীম, আরিফুল ইসলাম বিলাত, রেজাউল করিম, আমিনুল ইসলাম মিঠু ও শাহাদাত হোসেন শাহীন
জাহিদ দেওয়ান শামীম, আরিফুল ইসলাম বিলাত, রেজাউল করিম, আমিনুল ইসলাম মিঠু ও শাহাদাত হোসেন শাহীন

দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে থাকেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের বাসিন্দা রেজাউল করিম। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাঁর নাম এসেছে আলোচনায়। নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার ভাঙাচোরা কয়েকটি সড়ক সংস্কার করছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান তিনি।

শুধু রেজাউল করিম নন, রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে এমন আরও চারজন প্রবাসী বিএনপির মনোনয়ন চান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আমিনুল ইসলাম মিঠু। তিনি রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান। এ ছাড়া মালয়েশিয়াপ্রবাসী আরিফুল ইসলাম বিলাতও এই আসনে মনোনয়ন চান। দুই উপজেলার সবখানেই তাঁদের ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। দুজনেরই বাড়ি বাঘা উপজেলায়। এ ছাড়া রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন চান যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন শাহীন এবং রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়ন চান যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চিকিৎসক জাহিদ দেওয়ান শামীম। এই নেতাদের পক্ষে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। তাঁদের অর্থায়নে জনহিতকর কার্যক্রম চলছে। কেউ কেউ এলাকায় আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন। কেউ আবার প্রবাসে থাকলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এলাকায় সক্রিয় হয়েছেন।

তবে দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকা এই নেতাদের এলাকায় এসে নির্বাচন করতে চাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপির স্থানীয় নেতারা। তাঁরা বলছেন, প্রবাসীরা দলের জন্য অবশ্যই কাজ করতে পারেন। তাঁরাও দলের অংশ। কিন্তু তাঁদের এলাকার এমপি করা ঠিক হবে না। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁদের সেভাবে সম্পর্ক নেই।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘তাঁরা দলের জন্য কাজ করবেন; কিন্তু এমপি বানিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা তাঁদের ক্ষেত্রে থাকে না। কারণ, তাঁরা দীর্ঘ সময় বাইরে। দলের নেতা-কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক নেই। তাঁরা তো দলের জন্য মামলা, হামলা, জেল-জুলুম সহ্য করেননি। এখন এমপি হতে চাইলে তো হবে না।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে থাকেন। সেখানে ব্যবসা করেন। তিনি জিয়া পরিষদের লন্ডন শাখার সহসভাপতি। বিগত সময়ে এলাকায় তেমন কার্যক্রম না থাকলেও তাঁর অর্থায়নে এখন এলাকায় নানা কিছু হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকঢোল পিটিয়ে তিনি এলাকায়ও এসেছিলেন। সম্প্রতি তিনি রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (র.) বিমানবন্দরে অনুসারীদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিয়েছেন।

পরে ২৬ আগস্ট তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। রেজাউল করিমের ছোট ভাই সারোয়ার আহমেদ বলেন, ‘দল যদি ভাইয়াকে নির্বাচন করার জন্য বলে, তিনি অবশ্যই করবেন।’

রাজশাহী-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহিদ দেওয়ান শামীম রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভিপি ছিলেন। তাঁর বাড়ি বাগমারা উপজেলার জামালপুর গ্রামে। বাঘার আরিফুল ইসলামের বাড়ি আড়ানী। সম্প্রতি নিজ এলাকায় এসেছিলেন। কথা বলার জন্য জাহিদ দেওয়ান শামীমকে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এদিকে রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহাদাত হোসেন শাহীন রাজশাহী কলেজে ছাত্রদল করতেন। তাঁর বাড়ি তানোর উপজেলার মুন্ডুমালায়। শাহীনের বাবা মোজাম্মেল হক তানোরের মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মনোনয়ন চায়। আমরা পুরো এলাকায় ফেস্টুন দিয়েছি। পূজার সময় মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি।’ তিনি জানান, ২০০৬ সালে তাঁর ছেলে কলেজের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে ডিবি লটারিতে আমেরিকায় গেছেন। সেখানে ব্যবসা করেন। এখন তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সহসভাপতি। মনোনয়নের ব্যাপারে তথ্য নিয়ে তাঁর ছেলে দেশে ফিরবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এলাকায় প্রচার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আরিফুল ইসলাম বিলাত বলেন, ‘আমি ছাত্রদল করার কারণে বিগত ১৫ বছর আমার পরিবারকে ভুগতে হয়েছে। অনেক মামলা হয়েছে। জমি দখল হয়ে গেছে। তারপরও আমি মানুষের পাশে থেকেছি। সর্বশেষ শেখ হাসিনার পতনের আগে আমরা প্রবাসীরাও ভালো ভূমিকা রেখেছি। তাই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করি।’

এই প্রবাসীদের মনোনয়ন চাওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দলের নেতৃত্বে আছেন। তিনি বলেছেন, যাঁরা ত্যাগী এবং নির্যাতিত, তাঁরা মনোনয়ন পাবেন। আমরা মনে করছি, সেটাই হবে। তবে অনেকে আসছে। এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। শোডাউন দিচ্ছে। যখন মনোনয়ন দেওয়া হবে, তখন এসব হাইব্রিড থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।

গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: নিহত শান্তিরক্ষী শামীমের বাড়িতে কান্নার রোল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।

নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।

শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’

বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’

স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত