চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
পুরো জেলার মতো রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়ও ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমেও ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অতিমাত্রার এই বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে এখানকার মানুষ। তবে উপজেলায় বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাটের কারণ হিসেবে প্রতিদিন বিদ্যুৎ কম বরাদ্দ পাওয়াকে দায়ী করছে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চলতি বছরে আগের চেয়েও দ্বিগুণ বিদ্যুতের বিভ্রাট শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন উপজেলাবাসী। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া মুরগি ও গরুর খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২-এর চারঘাট জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, চারঘাটে বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭-৮ মেগাওয়াট। এ জন্যই বিদ্যুৎবিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার ফটোকপি ও স্টেশনারি সামগ্রীর ব্যবসায়ী সজীব ইসলাম জানান, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কিছুক্ষণের জন্য এলেও আবার চলে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানের ফটোকপি ও টাইপিং ব্যবসা বন্ধের পথে।
উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটে এই উপজেলার বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। মাসে মাসে বিল পরিশোধ করেও কেন আমাদের এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে? এর জন্য কারা দায়ী? বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় আমাদের সন্তানেরা ঠিকমতো পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় হিট স্ট্রোকে প্রায় ৬০০ মুরগি মারা গেছে।’
উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা অটো চার্জার গাড়ির চালক সান্টু আলী জানান, বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। এখন তো সেচপাম্প নেই, তাহলে বিদ্যুতের এমন করুণ অবস্থা কেন? গাড়ি চার্জ না হওয়ার কারণে রাস্তায় ভাড়া মারতে বের হতে পারছি না। বিদ্যুতের সমস্যায় বেকার হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর চারঘাট জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনের বিদ্যুতের যা চাহিদা, তার মাত্র ৪০-৫০ শতাংশ বরাদ্দ পাচ্ছি। এ ন্য বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে সেটা বলতে পারছি না।’
পুরো জেলার মতো রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়ও ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমেও ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অতিমাত্রার এই বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে এখানকার মানুষ। তবে উপজেলায় বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাটের কারণ হিসেবে প্রতিদিন বিদ্যুৎ কম বরাদ্দ পাওয়াকে দায়ী করছে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চলতি বছরে আগের চেয়েও দ্বিগুণ বিদ্যুতের বিভ্রাট শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন উপজেলাবাসী। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া মুরগি ও গরুর খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২-এর চারঘাট জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, চারঘাটে বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭-৮ মেগাওয়াট। এ জন্যই বিদ্যুৎবিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার ফটোকপি ও স্টেশনারি সামগ্রীর ব্যবসায়ী সজীব ইসলাম জানান, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কিছুক্ষণের জন্য এলেও আবার চলে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানের ফটোকপি ও টাইপিং ব্যবসা বন্ধের পথে।
উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটে এই উপজেলার বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। মাসে মাসে বিল পরিশোধ করেও কেন আমাদের এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে? এর জন্য কারা দায়ী? বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় আমাদের সন্তানেরা ঠিকমতো পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় হিট স্ট্রোকে প্রায় ৬০০ মুরগি মারা গেছে।’
উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা অটো চার্জার গাড়ির চালক সান্টু আলী জানান, বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। এখন তো সেচপাম্প নেই, তাহলে বিদ্যুতের এমন করুণ অবস্থা কেন? গাড়ি চার্জ না হওয়ার কারণে রাস্তায় ভাড়া মারতে বের হতে পারছি না। বিদ্যুতের সমস্যায় বেকার হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর চারঘাট জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনের বিদ্যুতের যা চাহিদা, তার মাত্র ৪০-৫০ শতাংশ বরাদ্দ পাচ্ছি। এ ন্য বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে সেটা বলতে পারছি না।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২২ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৭ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩২ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে