নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে টানা ১৮ দিন দাবদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। এই বৃষ্টিতে আম ও ধানের খুব উপকার হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রাজশাহীতে ৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তারপর আর বৃষ্টির হয়নি। ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। মৃদু, মাঝারি, তীব্র হয়ে অতি তীব্র পর্যন্ত ওঠে তাপপ্রবাহ। গত ১৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর পরের দুই দিনও তাপমাত্রা থাকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। এই অতি তীব্র তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে ওঠেন রাজশাহীর মানুষ। ঝরে পড়তে শুরু করে গাছের আম আর লিচু। পুড়তে শুরু করে মাঠের ধানগাছ। এক পশলা বৃষ্টির জন্য গত বুধবার রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন তারা।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ দিন রাজশাহীর তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। অর্থাৎ টানা ১৮ দিন রাজশাহীতে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
গত রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে হয় ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার সামান্য বেড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এ দিনই আকাশ থেকে নামল স্বস্তির বৃষ্টি। খরতাপে পোড়ার পর বৃষ্টির কারণে শীতল হয়েছে রাজশাহীর আবহাওয়া। বয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা বাতাস। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর পথঘাটের ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে গেছে। প্রকৃতিতে ফিরেছে সতেজতা।
বিকেলে এই বৃষ্টি শুরুর আগে দুপুর থেকেই রাজশাহীর আকাশ ছিল মেঘলা। কালো মেঘে ঢেকে ছিল পশ্চিম আকাশ। বিরাজ করছিল একটা গুমোট পরিবেশ। বিকেলে শুরু হয় দমকা হাওয়া। ধুলোবালিতে ঢেকে যায় শহরের পথঘাট। তবে এর কিছুক্ষণ পরই বিদ্যুৎ চমকে নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টি শুরুর আগে বিকেলে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার। এরপর ৫টা ৪৫ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত ৯টার সময় আবার বৃষ্টির পরিমাপ রেকর্ড করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই বৃষ্টি কৃষির জন্য খুব উপকার হলো। জেলার ৯ উপজেলা ও মহানগরের মধ্যে শুধু চারঘাটে সামান্য শিলা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে ক্ষতি খুব একটা হবে না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তারা চাষিদের সকাল-বিকেল আমগাছে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বিকেলে গাছের ওপরেও পানি স্প্রে করতে বলা হচ্ছিল। এখন বৃষ্টির কারণে আগামী এক সপ্তাহ গাছে সেচ দেওয়া লাগবে না। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে গাছের পাতার ধুলোবালি ধুয়ে গেছে। এতে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হবে। শাক-সবজি দ্রুত বেড়ে উঠবে। মাঠে মাঠে বোরো ধানের জমিতে নিয়মিত সেচের পানি পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। এখন সব জমিতেই সেচ হয়ে গেল। আগামী কয়েক দিন ধানের জমিতেও সেচ লাগবে না। এতে চাষিরা উপকৃত হলেন।
রাজশাহীতে টানা ১৮ দিন দাবদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। এই বৃষ্টিতে আম ও ধানের খুব উপকার হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রাজশাহীতে ৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তারপর আর বৃষ্টির হয়নি। ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। মৃদু, মাঝারি, তীব্র হয়ে অতি তীব্র পর্যন্ত ওঠে তাপপ্রবাহ। গত ১৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর পরের দুই দিনও তাপমাত্রা থাকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। এই অতি তীব্র তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে ওঠেন রাজশাহীর মানুষ। ঝরে পড়তে শুরু করে গাছের আম আর লিচু। পুড়তে শুরু করে মাঠের ধানগাছ। এক পশলা বৃষ্টির জন্য গত বুধবার রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন তারা।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ দিন রাজশাহীর তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। অর্থাৎ টানা ১৮ দিন রাজশাহীতে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
গত রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে হয় ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার সামান্য বেড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এ দিনই আকাশ থেকে নামল স্বস্তির বৃষ্টি। খরতাপে পোড়ার পর বৃষ্টির কারণে শীতল হয়েছে রাজশাহীর আবহাওয়া। বয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা বাতাস। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর পথঘাটের ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে গেছে। প্রকৃতিতে ফিরেছে সতেজতা।
বিকেলে এই বৃষ্টি শুরুর আগে দুপুর থেকেই রাজশাহীর আকাশ ছিল মেঘলা। কালো মেঘে ঢেকে ছিল পশ্চিম আকাশ। বিরাজ করছিল একটা গুমোট পরিবেশ। বিকেলে শুরু হয় দমকা হাওয়া। ধুলোবালিতে ঢেকে যায় শহরের পথঘাট। তবে এর কিছুক্ষণ পরই বিদ্যুৎ চমকে নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টি শুরুর আগে বিকেলে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার। এরপর ৫টা ৪৫ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত ৯টার সময় আবার বৃষ্টির পরিমাপ রেকর্ড করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই বৃষ্টি কৃষির জন্য খুব উপকার হলো। জেলার ৯ উপজেলা ও মহানগরের মধ্যে শুধু চারঘাটে সামান্য শিলা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে ক্ষতি খুব একটা হবে না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তারা চাষিদের সকাল-বিকেল আমগাছে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বিকেলে গাছের ওপরেও পানি স্প্রে করতে বলা হচ্ছিল। এখন বৃষ্টির কারণে আগামী এক সপ্তাহ গাছে সেচ দেওয়া লাগবে না। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে গাছের পাতার ধুলোবালি ধুয়ে গেছে। এতে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হবে। শাক-সবজি দ্রুত বেড়ে উঠবে। মাঠে মাঠে বোরো ধানের জমিতে নিয়মিত সেচের পানি পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। এখন সব জমিতেই সেচ হয়ে গেল। আগামী কয়েক দিন ধানের জমিতেও সেচ লাগবে না। এতে চাষিরা উপকৃত হলেন।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
২ ঘণ্টা আগে