মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজারে আমের দাম ঠিক থাকলেও কারসাজি চলছে ওজনে। প্রতিমণ আম ৫২ কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে স্থানীয় বাগানি ও ব্যবসায়ীদের। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অন্য জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা জানান, আম কিনে কয়েক দিন রাখতে হয়। এতে অনেক আম পচে যাওয়ার কারণে ৫২ কেজিতে মণ ধরে কিনছেন তাঁরা।
আজ সোমবার সকালে কানসাট আম বাজারে কথা হয় শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামের বাগান মালিক ইউসুফ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছি। কানসাট বাজারে আম বিক্রি করতে হল প্রতি মণে ৫২ কেজিতে। কাঁচা ফল হিসেবে সাধারণত ৪৫ কেজিতে হিসেবে এক মণ ওজন নেওয়ার কথা, সেখানে বাধ্য হয়ে আরও সাত কেজি বেশি দিতে হল।’
৪৫ কেজিতে এক মণ ধরে প্রায় এক শ মণ বিভিন্ন জাতের আম কিনেছেন শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। তিনি বাধ্য হয়ে ৫২ কেজিতে আম বিক্রি করছেন বলে জানান। সাইফুল বলেন, ‘এতে আম উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে অর্ধেক উঠে আসবে না। লোকসান হতে থাকলে ব্যবসা পরিবর্তন করতে হবে।’
গ্রাম ঘুরে আম সংগ্রহ করেন শিবগঞ্জের শ্যামপুর এলাকার লিয়াকত আলী। তিনি জানান, গ্রামে ৪৫-৪৬ কেজির উপরে কেউ আম দিতে চান না। ওই হিসেবে আম কিনে কানসাট বাজারে তাঁকে বিক্রি করতে হলো মণে ৫২ কেজি হিসেবে। এতে পুঁজি হারিয়ে গেছে তাঁর।
উপজেলার ধোবড়া এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি কানসাট বাজারে এক ভ্যান আম আনি। এক মণ আম ৪৫ কেজির বেশি দিতে রাজি না হওয়ায় সারাদিন বসে থেকেও আম বিক্রি করতে পারিনি। ফলে বাধ্য হয়ে ৫২ কেজিতে ওজন দিতে হয়েছে।’
ফেনীর ব্যবসায়ী শুকুর মৃধা বলেন, ‘আম কিনে কয়েক দিন রাখতে হয়। এতে বেশ কিছু আম পচে নষ্ট হয়। আমাদের ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় সবার সিদ্ধান্তে ৫২ কেজিতে আম কেনা হচ্ছে। কাউকে বাধ্য করা হয়নি।’
কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, ‘৫২ কেজিতে ওজন নেওয়া এক ধরনের নৈরাজ্য। এখানে বাইরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। রাজশাহী বিভাগের সব আম বাজারে একই মাপে আম ওজন দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবেই নিয়ন্ত্রণ আসবে ওজন নিয়ে নৈরাজ্য। তা না হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ আম ব্যবসায়ীরা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেটিং অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘৪৫ কেজিতে আম কেনাবেচার জন্য একাধিকবার সভা করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের বারবার বলার পরেও কেউ নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। এখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজারে আমের দাম ঠিক থাকলেও কারসাজি চলছে ওজনে। প্রতিমণ আম ৫২ কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে স্থানীয় বাগানি ও ব্যবসায়ীদের। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অন্য জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা জানান, আম কিনে কয়েক দিন রাখতে হয়। এতে অনেক আম পচে যাওয়ার কারণে ৫২ কেজিতে মণ ধরে কিনছেন তাঁরা।
আজ সোমবার সকালে কানসাট আম বাজারে কথা হয় শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামের বাগান মালিক ইউসুফ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছি। কানসাট বাজারে আম বিক্রি করতে হল প্রতি মণে ৫২ কেজিতে। কাঁচা ফল হিসেবে সাধারণত ৪৫ কেজিতে হিসেবে এক মণ ওজন নেওয়ার কথা, সেখানে বাধ্য হয়ে আরও সাত কেজি বেশি দিতে হল।’
৪৫ কেজিতে এক মণ ধরে প্রায় এক শ মণ বিভিন্ন জাতের আম কিনেছেন শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। তিনি বাধ্য হয়ে ৫২ কেজিতে আম বিক্রি করছেন বলে জানান। সাইফুল বলেন, ‘এতে আম উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে অর্ধেক উঠে আসবে না। লোকসান হতে থাকলে ব্যবসা পরিবর্তন করতে হবে।’
গ্রাম ঘুরে আম সংগ্রহ করেন শিবগঞ্জের শ্যামপুর এলাকার লিয়াকত আলী। তিনি জানান, গ্রামে ৪৫-৪৬ কেজির উপরে কেউ আম দিতে চান না। ওই হিসেবে আম কিনে কানসাট বাজারে তাঁকে বিক্রি করতে হলো মণে ৫২ কেজি হিসেবে। এতে পুঁজি হারিয়ে গেছে তাঁর।
উপজেলার ধোবড়া এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি কানসাট বাজারে এক ভ্যান আম আনি। এক মণ আম ৪৫ কেজির বেশি দিতে রাজি না হওয়ায় সারাদিন বসে থেকেও আম বিক্রি করতে পারিনি। ফলে বাধ্য হয়ে ৫২ কেজিতে ওজন দিতে হয়েছে।’
ফেনীর ব্যবসায়ী শুকুর মৃধা বলেন, ‘আম কিনে কয়েক দিন রাখতে হয়। এতে বেশ কিছু আম পচে নষ্ট হয়। আমাদের ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় সবার সিদ্ধান্তে ৫২ কেজিতে আম কেনা হচ্ছে। কাউকে বাধ্য করা হয়নি।’
কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, ‘৫২ কেজিতে ওজন নেওয়া এক ধরনের নৈরাজ্য। এখানে বাইরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। রাজশাহী বিভাগের সব আম বাজারে একই মাপে আম ওজন দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবেই নিয়ন্ত্রণ আসবে ওজন নিয়ে নৈরাজ্য। তা না হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ আম ব্যবসায়ীরা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেটিং অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘৪৫ কেজিতে আম কেনাবেচার জন্য একাধিকবার সভা করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের বারবার বলার পরেও কেউ নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। এখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৪ ঘণ্টা আগে