রিমন রহমান, রাজশাহী
একজন জেলের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা। এই টাকায় কাউকে একটি রিকশাভ্যান, আবার কাউকে কিনে দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন। সহায়তাপ্রাপ্তরা বলছেন, যে ভ্যান তাঁরা পেয়েছেন, বাজারে তার দাম সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। আর সেলাই মেশিনের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তাহলে বাকি টাকা গেল কোথায়? এই প্রশ্নের স্বচ্ছ কোনো উত্তর মিলছে না ‘রাজশাহী বিভাগে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা প্রকল্পটির দায়িত্বে আছেন। প্রকল্পের আওতায় কয়েক ধরনের কাজের পাশাপাশি দুই হাজার জন জেলেকে বিকল্প আয়বর্ধক কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ৬৫টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর আওতায় ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন নিবন্ধিত জেলেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের নীতিমালায় বলা আছে, জেলেদের একটি রিকশা বা ভ্যান, চারটি ছাগল, ৮০টি হাঁস বা মুরগি, ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য নগদ টাকা বা অন্য কোনো খাতে একজন জেলের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। একজন জেলে যেকোনো একটি আইটেম পাবেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করা হচ্ছে ভ্যান ও সেলাই মেশিন। তবে দু-একটি উপজেলায় ছাগল বিতরণের কথাও জানা গেছে। চারটি ছাগলের জন্য প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও ভ্যান ও সেলাই মেশিনের দাম অনেক কম। অভিযোগ উঠেছে, বরাদ্দের অর্ধেক টাকায় জেলেদের রিকশা-ভ্যান কিংবা সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার টাঙ্গনের পূর্ব ঝিকড়া গ্রামের জেলে সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস সম্প্রতি একটি পায়ে টানা ভ্যান পেয়েছেন। তাঁর জেলে শ্রীপদ হালদার ভ্যানটি চালান। তিনি বলেন, ভ্যানটির দাম হতে পারে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আরও যাঁরা ভ্যান কিনে চালাচ্ছেন, তাঁদের কাছেই তিনি ভ্যানের এমন দাম শুনেছেন। তবে এই ভ্যানের জন্য মৎস্য বিভাগের বরাদ্দ কত, সেটি তিনি জানেন না।
চারঘাটের পলাশবাড়ি গ্রামের জেলে গোপাল চন্দ্র হালদারও একটি ভ্যান পেয়েছেন। তাঁর ছেলে হৃদয় কুমার বলেন, পায়ে টানা এ ভ্যানের দাম হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের জেলে মো. নেছারত পেয়েছেন সেলাই মেশিন। তিনি জানান, সেলাই মেশিনের সঙ্গে অল্প কিছু কাপড় আর সুতা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে দাম হতে পারে ৮ হাজার টাকা। বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা ছিল শুনে নেছারত বলেন, ‘অর্ধেক টাকাই তাহলে অফিসারদের পকেটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, বাজারে ভ্যানের দাম কত, তা তিনি জানেন না। তবে সেলাই মেশিনের সঙ্গে কাপড়ও দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে খরচ ২০ হাজার টাকার মতোই পড়েছে। তবে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের জেলে মো. মাহাবুল জানান, যে সেলাই মেশিন তিনি পেয়েছেন, বাজারে সেটির দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আর কাপড়গুলোর দাম ২ হাজার টাকাও হবে না।
যদিও বাঘা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের দাবি, ভ্যান এবং সেলাই মেশিন ও কাপড়-সুতা কিনে প্রত্যেক জেলের পেছনে ২০ হাজার টাকাই খরচ করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ৪০ জন জেলেকে চারটি করে ছাগল দেওয়া হয়েছে। সহায়তাপ্রাপ্ত কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের ধারণা এসব ছাগলের দাম ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা হতে পারে।
ভ্যান ও সেলাই মেশিনের অস্বাভাবিক মূল্য ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেছেন, প্রত্যেক জেলের বরাদ্দের ২০ হাজার টাকার বিপরীতে ভ্যাট বাবদ কিছু টাকা কাটা গেছে। বাকি টাকায় সেলাই মেশিন, ভ্যান বা ছাগল দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্পটি তদারকি করছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাঁরা বলছেন, এই বরাদ্দ বিতরণে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও মো. সানওয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা তো মৎস্য অফিসের কাজ। তারাই ভালো বলতে পারবে। আমি কিছু জানি না।’
একজন জেলের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা। এই টাকায় কাউকে একটি রিকশাভ্যান, আবার কাউকে কিনে দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন। সহায়তাপ্রাপ্তরা বলছেন, যে ভ্যান তাঁরা পেয়েছেন, বাজারে তার দাম সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। আর সেলাই মেশিনের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তাহলে বাকি টাকা গেল কোথায়? এই প্রশ্নের স্বচ্ছ কোনো উত্তর মিলছে না ‘রাজশাহী বিভাগে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা প্রকল্পটির দায়িত্বে আছেন। প্রকল্পের আওতায় কয়েক ধরনের কাজের পাশাপাশি দুই হাজার জন জেলেকে বিকল্প আয়বর্ধক কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ৬৫টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর আওতায় ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন নিবন্ধিত জেলেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের নীতিমালায় বলা আছে, জেলেদের একটি রিকশা বা ভ্যান, চারটি ছাগল, ৮০টি হাঁস বা মুরগি, ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য নগদ টাকা বা অন্য কোনো খাতে একজন জেলের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। একজন জেলে যেকোনো একটি আইটেম পাবেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করা হচ্ছে ভ্যান ও সেলাই মেশিন। তবে দু-একটি উপজেলায় ছাগল বিতরণের কথাও জানা গেছে। চারটি ছাগলের জন্য প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও ভ্যান ও সেলাই মেশিনের দাম অনেক কম। অভিযোগ উঠেছে, বরাদ্দের অর্ধেক টাকায় জেলেদের রিকশা-ভ্যান কিংবা সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার টাঙ্গনের পূর্ব ঝিকড়া গ্রামের জেলে সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস সম্প্রতি একটি পায়ে টানা ভ্যান পেয়েছেন। তাঁর জেলে শ্রীপদ হালদার ভ্যানটি চালান। তিনি বলেন, ভ্যানটির দাম হতে পারে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আরও যাঁরা ভ্যান কিনে চালাচ্ছেন, তাঁদের কাছেই তিনি ভ্যানের এমন দাম শুনেছেন। তবে এই ভ্যানের জন্য মৎস্য বিভাগের বরাদ্দ কত, সেটি তিনি জানেন না।
চারঘাটের পলাশবাড়ি গ্রামের জেলে গোপাল চন্দ্র হালদারও একটি ভ্যান পেয়েছেন। তাঁর ছেলে হৃদয় কুমার বলেন, পায়ে টানা এ ভ্যানের দাম হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের জেলে মো. নেছারত পেয়েছেন সেলাই মেশিন। তিনি জানান, সেলাই মেশিনের সঙ্গে অল্প কিছু কাপড় আর সুতা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে দাম হতে পারে ৮ হাজার টাকা। বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা ছিল শুনে নেছারত বলেন, ‘অর্ধেক টাকাই তাহলে অফিসারদের পকেটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, বাজারে ভ্যানের দাম কত, তা তিনি জানেন না। তবে সেলাই মেশিনের সঙ্গে কাপড়ও দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে খরচ ২০ হাজার টাকার মতোই পড়েছে। তবে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের জেলে মো. মাহাবুল জানান, যে সেলাই মেশিন তিনি পেয়েছেন, বাজারে সেটির দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আর কাপড়গুলোর দাম ২ হাজার টাকাও হবে না।
যদিও বাঘা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের দাবি, ভ্যান এবং সেলাই মেশিন ও কাপড়-সুতা কিনে প্রত্যেক জেলের পেছনে ২০ হাজার টাকাই খরচ করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ৪০ জন জেলেকে চারটি করে ছাগল দেওয়া হয়েছে। সহায়তাপ্রাপ্ত কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের ধারণা এসব ছাগলের দাম ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা হতে পারে।
ভ্যান ও সেলাই মেশিনের অস্বাভাবিক মূল্য ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেছেন, প্রত্যেক জেলের বরাদ্দের ২০ হাজার টাকার বিপরীতে ভ্যাট বাবদ কিছু টাকা কাটা গেছে। বাকি টাকায় সেলাই মেশিন, ভ্যান বা ছাগল দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্পটি তদারকি করছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাঁরা বলছেন, এই বরাদ্দ বিতরণে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও মো. সানওয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা তো মৎস্য অফিসের কাজ। তারাই ভালো বলতে পারবে। আমি কিছু জানি না।’
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষার্থীর। দুই বছর আগে বাবা মারা যান। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপত্তি বাধে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে ছুটতে হয়
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং কমলগঞ্জের ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সুনছড়া চা-বাগান। এর একটি টিলার ওপর টিনের জীর্ণ ঘর। বাইরে হেলে পড়া বাঁশে ঝুলে আছে জাতীয় পতাকা। ছোট্ট কক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে দুটি কক্ষ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। জীর্ণ ঘরের মত
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
৬ ঘণ্টা আগে