Ajker Patrika

হাতে টান পড়লেই হিন্দুপাড়ায় চাঁদা তুলতেন তাঁতী দল নেতা

  • থানা ঘেরাওয়ের পর গ্রেপ্তার।
  • দল থেকে বহিষ্কার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
তাঁতী দল নেতা নবাবের হামলার পর বিচারের দাবি নিয়ে বাগমারা থানায় যান হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত
তাঁতী দল নেতা নবাবের হামলার পর বিচারের দাবি নিয়ে বাগমারা থানায় যান হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় হাতে টান পড়লেই হিন্দুপাড়ার বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন স্থানীয় এক তাঁতী দল নেতা। ধরে নিয়ে যেতেন পুকুরের মাছ, হাঁস, গাছের কলার কাঁদি। কেউ বাধা দিতে গেলেই হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে যেতেন। বের করতেন ছোরা। সবশেষ চাঁদা দিতে না চাইলে একজনকে মারধরের পর হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করেন।

এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর নাম নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চু (৩০)। তিনি উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্যসচিব হাজি মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নবাব হোসেনকে দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

নবাব হোসেনের বাড়ি চাঁইসাড়া গ্রামে। এ গ্রামের একপাশে প্রায় ১০০টি হিন্দু পরিবারের বাস। এলাকাটি হিন্দুপাড়া নামে পরিচিত। বছর দু-এক আগে হিন্দুপাড়ার পাশে ৩ শতক জায়গা কিনে বাড়ি করেন নবাব। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নবাব এ পাড়ার বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় শুরু করেছিলেন। তা না হলে পাড়ায় থাকতে দেবেন না বলে হুমকি দিতেন। বাধ্য হয়ে সবাই নবাবকে চাঁদা দিয়ে আসছিলেন।

পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে নারায়ণ ভবানী (৬০) নামের এক ব্যক্তির কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন নবাব। নবাব হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, গ্রামে থাকতে হলে তাঁকে টাকা দিতে হবে। তা না হলে সমস্যায় পড়তে হবে। তবে নারায়ণ ভবানী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণ ভবানীকে দেখতে পেয়ে নবাব তাঁর পথরোধ করেন। তিনি টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে চান। নারায়ণ টাকা দেবেন না বলতেই ক্ষুব্ধ হয়ে নবাব হোসেন তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান নবাব। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে চাঁইসাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বাগমারা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নবাব হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং নিজেদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান। পরে পুলিশ মামলা নেওয়া, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে বেলা আড়াইটার দিকে তাঁরা থানা চত্বর ত্যাগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নবাব পালিয়ে যান। পরে রাতেই নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবাবকে গ্রেপ্তার করে বাগমারা থানা-পুলিশের একটি দল। এর আগে রাতেই নবাব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারায়ণ ভবানী।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েই নবাবকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। পাড়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে অনেক দিন ধরে নবাব চাঁদা নিচ্ছিলেন। টাকা না পেলে মাছ, হাঁস ও মুরগি ধরে নিয়ে যেতেন। তবে তাঁরা আগে আমাদের জানাননি। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

অতিষ্ঠ ছিল সংখ্যালঘুরা

তাঁতী দল নেতা নবাবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন চাঁইসাড়া হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা। নবাব গ্রেপ্তার হলেও আতঙ্ক রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে নবাব তাঁদের ‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ দিয়ে বলতেন—পাড়ায় থাকতে হলে তাঁকে টাকা দিয়ে থাকতে হবে।

গ্রামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবাব নিয়মিত চাঁদা নিয়ে যেতেন। কারও হয়তো পুকুরে মাছ আছে, সে মাছ ধরে নিয়ে যেতেন। পুকুরপাড় থেকে হাঁস নিয়ে যেতেন। গাছের কলার কাঁদি কেটে নিয়ে যেতেন। ধান মাড়াই করলে ধান দিতে হতো। কারও কিছু বলার সাহস ছিল না। কেউ কিছু বললে হাঁসুয়া নিয়ে এসে ভয় দেখাতেন। তাঁর কাছে সব সময় একটা ছোট ছোরা থাকত। টিপ দিলেই ছোরা বড় হয়ে যেত। এভাবে তিনি ভয় দেখাতেন।

ওই স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই নবাবকে টাকা দিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার ছিল, টাকা দিতে না চাইলে নবাব বাড়ির বয়স্ক মায়েদের গিয়ে ভয় দেখাত। বলত—আপনার ছেলেকে টাকা দিয়ে দিতে বলবেন। তা না হলে সমস্যা হবে। মায়েরা ভয়ে থাকতেন। রাস্তাঘাটে দেখা হলে ছেলেদের কাছে টাকা চাইত। দিলে ভালো, না দিলে পকেটে হাত দিয়ে যা পেত, সবই জোর করে নিয়ে নিত। বলত—এখন আমরা খাব। এটাই ছিল তার কথা।’

এ নিয়ে দলীয় স্থানীয় নেতাদের জানিয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পাড়ার বাসিন্দারা। গ্রামের আরও এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি উপেন্দ্রনাথ সরকার নামের এক ব্যক্তি নবাবের এমন উৎপাতের কথা দলের লোকজনকে জানিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর উপেন্দ্রনাথের সঙ্গে নবাবের দেখা হলে তিনি তাঁকে লক্ষ্য করে হাঁসুয়ার আঘাত করার চেষ্টা করেন। তবে উপেন্দ্রনাথ কোনো রকমে হাঁসুয়াটি ধরে ফেলেন। হাঁসুয়াটি লাগে হাতে থাকা বাজারের ব্যাগে। সম্প্রতি দামনাশ উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়েও হাঙ্গামা করেন নবাব। সেদিন তাঁকে ধরে ধারালো অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি ছাড়া পেয়ে যান।

গোবিন্দাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর তার এত অত্যাচার শুরু হয়েছিল, তা বলার মতো না। মুসলমানদেরও যারা দুর্বল মানুষ, তারাও চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছিল। গতকাল তার হাতে আহত নারায়ণ ভবানীর সঙ্গে আমি দেখা করেছি। আমাকে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁকে মারধর করে নবাব ১৫ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে। এভাবে তো দলের নাম ভাঙিয়ে চলতে পারে না।’

তাঁতী দল নেতা নবাব হোসেনের হামলায় আহত নারায়ণ ভবানী এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত
তাঁতী দল নেতা নবাব হোসেনের হামলায় আহত নারায়ণ ভবানী এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত

‘হাফ ম্যাড’ বলছে বিএনপি

গত ৩১ জুলাই গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের কর্মিসভা শেষে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সেদিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান নবাব হোসেন। এই কমিটি নিয়ে সেদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেদিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নবাবেরও নাম প্রকাশ হয়।

তবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান দাবি করেছেন, নবাব ‘হাফ ম্যাড’। তিনি বলেন, ‘যখন যে দলের মিছিল হয়, নবাব সে দলের মিছিলেই যোগ দেয়। সে আসলে হাফ ম্যাড। তাঁতী দলের কর্মিসভার দিন সে এসে বলে তাকে সভাপতির পদ দিতে হবে, সাধারণ সম্পাদকের পদ দিতে হবে। তখন নেতারা বলেন—ঠিক আছে, তুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এভাবে সে এই পদ পেয়ে যায়। এখন কোনো বিতর্ক উঠলে দল কিছু শুনছে না। দায় এড়াতে সরাসরি বহিষ্কার করছে। নবাবকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।’

জিয়াউর রহমান দাবি করেন, নবাব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সংখ্যালঘুদেরই যে টার্গেট করে তিনি টাকা নিতেন, এমনটি নয়। তাই হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিতে চেয়েছেন। তাঁরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেবেন যে—এটা দলীয় কোনো ইস্যু নয়, সংখ্যালঘু ইস্যুও নয়।

নবাব আসলেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কি না—জানতে চাইলে হিন্দুপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘জাতে মাতাল তালে ঠিক। এমন হলে সে কীভাবে বলে যে আপনারা বহুদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেছেন, এখন আমাদের টাকা দিয়ে থাকতে হবে। এটা তো সম্ভব না। তার কিছু গুরু আছে। তারাই নবাবকে এ রকম বেপরোয়া করে তুলেছিল। এখনো আমরা ভয়ে।’

তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নবাবের এমন কর্মকাণ্ড দলীয় সুনাম ও ভাবমূর্তি গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ন করেছে, যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের পরিপন্থী। তাই কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাঁর সঙ্গে দলীয় কোনো নেতা-কর্মীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ না রাখার জন্য এবং তাঁকে দেখামাত্রই আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নবাবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং ঘটনা উদ্‌ঘাটনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে। এ তদন্ত টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে স্থায়ী ও চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে বুক অলিম্পিয়াড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।

অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।

এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত