Ajker Patrika

ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন তাঁরা নিজেদের কাজে ফিরে যান: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন, তাঁরা আগে যে কাজ করতেন সেই কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে আমীর খসরু বলেন, ‘জোর করে, আরেকটি দলের অথবা দুটি দলের বা তিনটি দলের মতামত বাকি দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, তারাও একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে তাদের দাবি আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে, জনগণের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। অথচ ঐকমত্য কমিশন করার উদ্দেশ্য ছিল, ঐকমত্য যতটুকু হবে, সেটা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব।’

খসরু বলেন, ‘ঐকমত্য হয়েছে, সই হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে এখন নতুন নতুন দাবি নিয়ে আসছে। তাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে এটা হবে, সেটা হবে...। আবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঐকমত্যের কিছু লোকজন। তাদেরও আবার মতামত আছে। রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা নিজস্ব মতামত আছে। ঐকমত্য কমিশনের মতামতের জন্য তো তাদের সেখানে রাখা হয়নি। এখন তাদেরও মতামত আছে এবং ওটা আমাদের মানতে হবে।’

দেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন, আপনাদের দাবি রাজনীতিবিদদের ওপর চাপাতে চান, জনগণের ওপর চাপাতে চান, তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ-আপনারা যে যেই কাজ করতেন আগে, ওই জায়গায় ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেন। আমি অনুরোধ করছি, আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দয়া করে তাদের ওপর ছেড়ে দেন। আপনাদের এই দায়িত্ব কেউ দেয় নাই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। যেসব দল তাদের দাবিদাওয়া চায়, তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে তো। জনগণের মতামত নিতে হবে তো। জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে তো। তার মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। আর ঐকমত্যে যারা তাদের মতামত বাংলাদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, এই দায়িত্ব তাদের কেউ দেয় নাই।’

নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আমাকে প্রতিনিয়ত বলছেন, ফেব্রুয়ারি নয়; পারলে এখনই নির্বাচন করে আমাদের একটু মুক্ত করেন। আমাদের ব্যবসা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। আমরা কোনো বিনিয়োগ করতে পারছি না। বিদেশিরা কোনো বিনিয়োগ করছে না। সুতরাং এই নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তাদের স্বার্থের জন্য, এখানে ব্যবসায়ীদের সোচ্চার হতে হবে। দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’

রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম এর আয়োজন করে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘পিছিয়ে পড়া’ সাতক্ষীরার ৮০ শতাংশ সড়কই কাঁচা

আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা 
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের অন্যান্য জেলা থেকে উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে রয়েছে সাতক্ষীরা। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরেও এই জেলায় এককভাবে কোনো বড় উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়নি। ভোমরা স্থলবন্দর, মধু, আম, চিংড়িসহ বিভিন্ন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হলেও জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ হতাশাজনক বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে ব্যাপক কাঁচা সড়ক ও যোগাযোগব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাতক্ষীরাবাসী।

আয়তনে সাতক্ষীরা দেশের ২৫তম বৃহত্তম জেলা হলেও এর যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল।

এলজিইডি সাতক্ষীরা সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৫ হাজার ৭৮৮টি সড়ক রয়েছে, যার দৈর্ঘ্য ১১ হাজার ২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭৭২ কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। অথচ এই জেলায় রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দর, স্থলপথে সুন্দরবন, আম, মধু, চিংড়িসহ রাজস্ব আহরণের বিভিন্ন খাত। তবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকারি খাতে দিলেও প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়াবঞ্চিত এই জেলা। নেই বিশ্ববিদ্যালয় ও রেললাইন। অধিকাংশ সড়ক কাঁচা হওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছে জেলাবাসী।

এ প্রসঙ্গে জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘পাশের দুটি জেলা যশোর ও খুলনা। সেখানে কী নেই? অথচ আমরা বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিলেও আমাদের এখানে কোনো উন্নয়ন নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও রেললাইন নির্মাণের কথা শুধু শুনেই থাকি। বাস্তবে আমরা দেখে যেতে পারব বলে মনে হয় না।’

কৃষি অর্থনীতির ভিত্তি হলো গ্রামীণ জনপদ। রাস্তা কাঁচা হওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে জনসাধারণ। এ ছাড়া পাকা রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ায় বিপাকে তারা।

এ বিষয়ে আশাশুনির প্রতাপনগর গ্রামের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করে আগে। তাতে রাস্তা বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু খারাপ রাস্তাঘাট সংস্কার হয় না। আমি মনে করি, দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে এখানে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। কোনো বড় বাজেট নেই। উপকূলীয় এলাকার লোকজন বাঁচাতে এই অঞ্চলে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার জরুরি।’

গর্তে জমে থাকে পানি, ঘটে দুর্ঘটনা। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গর্তে জমে থাকে পানি, ঘটে দুর্ঘটনা। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘নগরঘাটা গ্রামের রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। হাঁটুর ওপর জল ওঠে বর্ষাকালে। আমরা চলতে-ফিরতে পারি না। মা-বোনেরা চলতে-ফিরতে পারে না। আমাদের দাবি, এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।’

একই এলাকার শিমুল সরদার বলেন, ‘রাস্তা এত খারাপ যে ধান-চাল আনা যায় না। গরু-ছাগল পর্যন্ত আনা যায় না। এই রাস্তার পাশে আমাদের ঘের রয়েছে। ঘেরে খাদ্য-খাবার দিতে গেলে মাথায় বহন করে নিতে হয়। এ ছাড়া ধান-চাল বহন করতেও খুব কষ্ট হয়।’

‘সাতক্ষীরা গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প’ নামের একটি প্রকল্প পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে একনেক বৈঠকে। উন্নয়ন প্রকল্পটি পাস হলে জেলাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে মনে করেন এলজিইডির কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী তারিকুল হাসান খান বলেন, ‘সাতক্ষীরা এলজিইডির অধীনে ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৩০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা। সুতরাং আমাদের শতকরা ৮০ ভাগ রাস্তা এখনো কাঁচা। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে সাতক্ষীরার মানুষ উপকৃত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৃন্দাবন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের রজতজয়ন্তী: উন্মুক্ত মঞ্চে জুতা-বোতল নিক্ষেপ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে জুতা, বোতল নিক্ষেপসহ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান পরিবেশন করে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়।

্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে হট্টগোল শুরু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় পুরো অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিশৃঙ্খলার ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা যায়, শনিবার দিনব্যাপী বৃন্দাবন সরকারি কলেজে পুনর্মিলনী উপলক্ষে ক্যাম্পাস মুখর ছিল। সারা দিন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান চললেও সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জালাল স্টেডিয়ামে স্থানীয় সংগীতশিল্পী বাঁধন মোদক মঞ্চে ওঠার পর থেকে দর্শকেরা হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা মঞ্চের সামনের বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন এবং মঞ্চ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। ব্যান্ড দল লালন মঞ্চে উঠলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়তে থাকে। যার ফলে তাদের দুটি গান শেষে পরিবেশনা বন্ধ করতে হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দর্শক-শ্রোতারা দ্রুত দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, এতে পদদলিত হয়ে কয়েকজন আহত হন। এ সময় রাস্তায় বহু জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, এমন অব্যবস্থাপনার কারণে অনুষ্ঠানস্থলে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন। তাঁরা বলেন, একটি শিক্ষাঙ্গনের অনুষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অপ্রত্যাশিত।

ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান পরিবেশন করে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান পরিবেশন করে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন জানান, হবিগঞ্জের এক স্থানীয় শিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত রাখার পরামর্শ দেন। তবে তিনি (আয়োজক) মনে করেন, অনুষ্ঠানটি শুধু ব্যবস্থাপনা বিভাগ বা বড়জোর কলেজশিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত ছিল। এই অবস্থার জন্য ‘অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা’ও দায়ী বলে মন্তব্য করেন ওই আয়োজক।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ রিংগনের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানান, পরিবেশ শান্ত করতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দৌড়াদৌড়ির সময় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদকের বিনিময়ে সার পাচারকালে ৯ জন আটক

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সারসহ আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
সারসহ আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার থেকে মাদকের বিনিময়ে অবৈধভাবে সারসহ বাংলাদেশি পণ্য পাচারকালে ৯ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এ সময় পাচারের কাজে ব্যবহৃত তিনটি বোট এবং প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা মূল্যের রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, একটি চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, বিদেশি মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আনছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন সূর্যমুখী ঘাট-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে সন্দেহজনক তিনটি বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ১ হাজার ১৯৪ বস্তা রাসায়নিক সারসহ ৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জব্দ সারগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের পিত্তমখালী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫), সন্দ্বীপ উপজেলার উরিরচর এলাকার মুন্সি মাঝির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৮), চট্টগ্রাম খুলশী থানার দামপাড়া টাইগার পাস এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সোহেল (৩৫), নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সূর্যমুখী শূন্যের চর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. বাহার (৫৭), ঢাকা দোহার উপজেলার মেথুলা বাজার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. আক্তার হোসেন (২৮), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আঠিয়া তলি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৭), ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের সালেহ আহাম্মদের ছেলে মো. সাহেল (২৮), পিরোজপুর নেছারাবাদের (স্বরূপকাঠি) রাজাবাড়ী গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে মো. নেছার উদ্দিন (৩৭) ও তাঁর ছেলে মো. সম্রাট মিয়া (১৬)।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চোরাচালান, মাদক ও অবৈধ বাণিজ্য রোধে কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাঘায় শরীরে ডিজেল ঢেলে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী-ভাইয়ের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি    
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে মুন্নি খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মুন্নি খাতুন বাঘা পৌরসভার চক নারায়ণপুর গ্রামের সুরুজ আলীর স্ত্রী এবং একই পৌরসভার মিলিক বাঘা গ্রামের নাজিমুদ্দীনের মেয়ে। তাঁদের সাত বছরের এক ছেলে ও চার বছরের এক মেয়ে রয়েছে।

পারিবারিক কলহের জেরে মুন্নি খাতুন নিজের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর স্বামীর পরিবার দাবি করেছে।

অন্যদিকে মুন্নির ভাই আসলাম আলী এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার বোনের স্বামীই তার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি জানান, ১০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে তাঁদের বিয়ে হলেও সুরুজের পরিবার শুরু থেকেই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি।

মুন্নির স্বামী সুরুজ আলীর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁর ভাতিজা সাব্বির আলী জানান, শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মুন্নি ও সুরুজের মধ্যে ঝগড়া হয়। তাঁর দাবি, সুরুজ যখন ঘুমন্ত ছিল, তখন ভোররাতে মুন্নি নিজেই নিজের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। চিৎকার শুনে সুরুজ ঘুম থেকে উঠে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরপর মুন্নিকে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রামেকে ভর্তি করা হয়। মেশিনে ব্যবহারের জন্য বাড়িতে ডিজেল রাখা ছিল বলেও সাব্বির আলী দাবি করেন।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অখিল পাল জানান, স্বজনেরা মুন্নিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শঙ্কর বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোগীকে সকালে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বার্ন ইউনিট) ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে রোগীর স্বজনেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাঁকে আবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।’

শঙ্কর বিশ্বাস আরও জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুন্নির মরদেহ রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত