Ajker Patrika

আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরই পবার ইউএনও বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪৬
আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরই পবার ইউএনও বদলি

রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতকে বদলি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ইউএনও হিসেবে বদলি করা হয়।

প্রায় এক বছর আগে পবার ইউএনও হিসেবে যোগ দেন আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে। এর মধ্যে, গত জুনে পবার কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ছাড়াই ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন তিনি। নওগাঁর আত্রাই থেকে নিজের চাচাতো ভাই রাজীব রনককে এনে তাঁকে দিয়েই কাজ করাচ্ছিলেন তিনি। রাজীব রনক পবায় ইউএনওর সরকারি বাসভবনেই থাকতেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণে ইটভাটা থেকে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ আছে ইউএনওর বিরুদ্ধে। পবার হরিয়ানে পুকুর কাটতে দেওয়ার বিনিময়ে ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে ওই ঘুষ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এসব নিয়ে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকা’র অনলাইনে ‘গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন ইউএনও’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায়ও খবরটি স্থান পায়। এরপর আজই ইউএনওকে পবা থেকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

পবা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবায় ঘুষের চুক্তি করে পুকুর খনন করতে দিতেন ইউএনও। কোথাও পুকুর খননের কথা শুনলে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের ফোন করে দেখা করতে বলতেন।

চেয়ারম্যানরা পুকুর খননকারীর সঙ্গে মধ্যস্থতা করে টাকা এনে দিতেন। বিঘাপ্রতি চুক্তি হতো ২০ হাজার টাকা। সম্প্রতি এক ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে পুকুর খননের ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে ইউএনওর বিরুদ্ধে। গত এক বছরে পবায় অন্তত ২০০ পুকুর কাটা হয়েছে। প্রতিটি পুকুরের আয়তন ১০ থেকে ৪০ বিঘা পর্যন্ত। আইন লঙ্ঘন করে ফসলি জমিতে এসব পুকুর খনন করতে গিয়ে কোটি টাকা কামাইয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পবার খড়খড়ি হাটের ইজারা বাতিল করেন ইউএনও। নিয়ম অনুযায়ী, সেখানে ভূমি অফিসের তহশিলদার খাস আদায় করবেন। কিন্তু খাস আদায় করছেন পারিলার ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদের লোকজন। হাটে সব খরচ বাদ দিয়েও রোজ অন্তত ৫০ হাজার টাকা আদায় হয়। আদায় করা টাকার বড় অংশ ইউএনও এবং চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ইউএনও হাসনাতের সব অনিয়মের সঙ্গী অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক সাদ্দাম হোসেন। সম্প্রতি সাদ্দামকে অন্য উপজেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু তারপরও সাদ্দামকে সন্ধ্যার পর অফিসে এনে কাজ করাতেন ইউএনও। সরকারি গাড়ির অপব্যবহার এবং উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে ইউএনও হাসনাতের বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে আজ ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। আগের দিন বুধবার তিনি চাচাতো ভাইকে দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ করানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে পরে তা স্বীকার করেছিলেন রাজীব রনক।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় গির্জার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীতে সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাঁকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ডিএমপি এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে। রাজধানীর সব গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আন্তধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ধর্মীয় সহাবস্থানে কোনোরূপ বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা হলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলা, কর্মকর্তাসহ আহত ৩

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খবর পেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ও পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান নির্বাচন কার্যালয়ে যান। এ সময় নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা এক কর্মী আমজাদ হোসেনের গায়ে আঘাত করেন। তখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এসে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এসে নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এ সময় তিনজন আহত হন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আজ সকালে হঠাৎ করে বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন অফিসারের ওপর হামলা করেন। তাঁরা স্টাফদের মারধর করেন। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। এ সময় নির্বাচন অফিসের বাইরেও শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সম্প্রতি অফিসের কিছু দালাল চক্র সুবিধা করতে পারছিল না। এ জন্য হামলা হতে পারে।

হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, ‘নির্বাচন অফিসার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমাদের কাছে অনেক ভুক্তভোগী বহুবার অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম স্থানীয় বাসিন্দাদের না ভোগানোর জন্য। অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম সেখানে। আমরা ভুক্তভোগীদের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। আমাদের কেউ তাঁদের ওপর হামলা করেনি।’

উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন অফিসের আমজাদ হোসেন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আমরা তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি।’

ইউএনও তুহিন হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের কাচের দরজা ভেঙেছে। একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার গায়ে আঘাত করার কারণে একটি মামলা করা হবে, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম, সরকারি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। যদি নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকত, তাহলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারত। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা বলেন, ‘আহত একজনকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উখিয়ায় বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সদরে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। ইতিমধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৫টা) আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা।

স্থানীয়দের বরাতে ডলার ত্রিপুরা বলেন, বিকেলে উখিয়া সদর স্টেশনের একরাম মার্কেটে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ২টি এবং কক্সবাজার স্টেশন থেকে ১টি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতিসহ ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে বলে জানান ডলার ত্রিপুরা।

এদিকে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাজেদুল ইমরান শাওন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুন্দরবনের দুবলার চরে বনদস্যুদের হাতে জেলে অপহৃত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুন্দরবনের দুবলার চরের লইট্রাখালী এলাকা থেকে হাফিজুল (৩৫) নামের এক জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু সুমন বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে তাঁকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুবলার চরের জেলেপল্লিতে বনদস্যু আতঙ্ক বেড়েছে।

অপহৃত জেলে হাফিজুল বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আফজাল হাওলাদারের ছেলে।

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ আজ দুপুরে জানান, হাফিজুলসহ অন্য জেলেরা গতকাল রোববার রাতে দুবলার চরের কাছে লইট্রাখালী খালে মাছ ধরতে যান। গতকাল দিবাগত ভোররাত ৩টার দিকে বনদস্যু সুমন বাহিনী একটি ট্রলারে করে এসে জেলে হাফিজুলকে তাদের ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বনদস্যুরা হাফিজুলের ট্রলারের মাঝি শাহিনকে বনদস্যুদের সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে যায়। সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যুদের অপতৎপরতায় দুবলার চরের জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে কামাল উদ্দিন জানান।

জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মিল্টন রায় বলেন, বনদস্যুদের হাতে অপহৃত জেলে হাফিজুল দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি থেকে মাছ ধরার পাস নিয়ে সুন্দরবনের খালে গিয়ে দস্যুদের কবলে পড়েছেন। বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে। অচিরেই বনদস্যু দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে ফরেস্ট রেঞ্জার জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত