Ajker Patrika

খড়ের গাদার মধ্যে মানুষের পা দেখে তুলকালাম কাণ্ড

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ৩১
খড়ের গাদার মধ্যে মানুষের পা দেখে তুলকালাম কাণ্ড

খড়ের গাদার ভেতরে দুই পায়ে দড়ি বাঁধা মানুষের পা দেখে মরদেহ ভেবে জড়ো হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে পৌরসভার কাউন্সিলর, পুলিশ ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত হয়। ওই খড়ের গাদার আঁটি সরিয়ে দেখা গেল এক ব্যক্তি শুয়ে রয়েছেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর এমন কাণ্ডে এলাকায় তুলকালাম শুরু হয়ে যায়।

এক কৃষকের বাড়ির পাশে খড়ের গাদার ভেতরে দুই পায়ে দড়ি বাঁধা মানুষের পা দেখে লাশ ভেবে জড়ো হয় স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে সেখানে পৌরসভার কাউন্সিলর, থানা-পুলিশ ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই খড়ের গাদার আঁটি সরিয়ে দেখা গেল এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি শীত নিবারণের জন্য ওই খড়ের গাদার মধ্যে রাতে শুয়ে ছিলেন।

আজ সোমবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার পশ্চিম মানিকপাড়া মহল্লায় এক কৃষকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম মানিকপাড়া মহল্লায় কৃষক আনোয়ার হোসেন ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বের হন। পরে বাড়ির পাশে রাখা খড়ের গাদার আঁটি এলোমেলো দেখে ভাবেন খড় চুরি হয়েছে। পরে তিনি পায়ে দড়ি বাঁধা মানুষের দুটি পা দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা ভাবেন কেউ হত্যা করে মরদেহ এখানে ফেলে রেখেছেন। এ খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে খরের আঁটি সরিয়ে দেখেন এক ব্যক্তি শুয়ে রয়েছেন। তখন তিনি নড়ে ওঠেন। 

কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, খড়ের গাদার দড়ি বাঁধা মানুষের পা দেখে মনে করেছিলাম এখানে লাশ রয়েছে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হন। পুলিশ ও প্রশাসন আসে। খড় সরিয়ে দেখা গেল এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে। শীত নিবারণের জন্য রাতে খড়ের গাদার ওপর শুয়ে খড়ের আঁটি দিয়ে নিজের পুরো শরীর ঢেকে রেখেছিলেন তিনি। 

স্থানীয় কাউন্সিলর মেজবাউল সরদার গবু বলেন, সকালে খবর আসে খড়ের পালার মধ্যে লাশ বের হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি মানুষের দুটি পা দেখা যাচ্ছে। ধারণা করেছিলাম মৃত মানুষের পা। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। পরে জানা গেল এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি সেখানে শুয়েছিল। সে তাঁর নাম পরিচয় কিছুই বলতে পারছিলেন না। 

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘স্থানীয়রা মনে করেছিলেন কেউ মানুষকে মেরে সেখানে ঢেকে রেখেছে। আমরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। তাঁকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত