Ajker Patrika

ভোটে জেতা আ.লীগের বিদ্রোহী নেতার বিরুদ্ধে যুবলীগ-ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুরের মামলা

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১: ০২
ভোটে জেতা আ.লীগের বিদ্রোহী নেতার বিরুদ্ধে যুবলীগ-ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুরের মামলা

রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জয়ী হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বতন্ত্র বিজয়ী পৌর মেয়র আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামি করে এই মামলা করেন কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন নিজেরাই বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে। এরপর মামলা এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও আমার সমর্থকদের আটক করছে।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাঘা টেলিফোন অফিসের সামনে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আক্কাছ আলীসহ ১৫-২০ জনের একটি দল যুবলীগ-ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুর করেছে। এ সময় ভাঙচুর করতে নিষেধ করায় তারা লোহার রড, পাইপ, চায়নিজ কুড়াল ও লাঠি নিয়ে তাড়া করেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া অফিসের সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫-২০ জনের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, আক্কাছ আলী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। গত ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌর নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেন। এরপর দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে নির্বাচনের পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর পরাজিত নৌকার প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টুর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, হুমকি ও বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আক্কাছ আলীর পাঁচজন সমর্থককে গ্রেপ্তারও করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে ৪৭/১১ ধারা মোতাবেক দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যদি ভোটে প্রার্থী হন, তবে এমনিতে বহিষ্কার। তারপরও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জগ প্রতীকে মেয়র হিসেবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।’

এ বিষয়ে মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, ‘সহিংসতাকে আড়াল করতে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আমার কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প ছিল না। নির্বাচনী প্রচারণার করতে গিয়ে নৌকার সমর্থকেরা প্রতিটি ধাপে প্রতিবন্ধকতা করেছে। কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন করে আমি বিজয়ী হয়েছি। পরাজিত হওয়ার পরে নৌকার লোকজন আমার সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। তারা নিজেরাই বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে মামলা দিচ্ছে এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও আটক করানো হচ্ছে আমার সমর্থকদের।’ নির্বাচনের পরে ১২ দিনের ব্যবধানে মিথ্যা দুটি মামলা করেছে তারা। তবে মামলা দুটিতে জামিন নিয়েছি।’

এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত