রিমন রহমান, রাজশাহী

কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।
কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’
কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’

কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।
কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’
কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।
কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’
কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’

কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।
কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’
কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ বাড়লেও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সফরসূচি পরিবর্তনের কারণে শীতবস্ত্র বিতরণ স্থগিত রয়েছে। সফরসূচি অনুযায়ী উপদেষ্টা নিজে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করবেন বলে নির্দেশনা থাকলেও সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি সফর অসমাপ্ত রেখে ঢাকা ফেরেন। এতে রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ বাড়লেও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সফরসূচি পরিবর্তনের কারণে শীতবস্ত্র বিতরণ স্থগিত রয়েছে। সফরসূচি অনুযায়ী উপদেষ্টা নিজে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করবেন বলে নির্দেশনা থাকলেও সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি সফর অসমাপ্ত রেখে ঢাকা ফেরেন। এতে রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ বাড়লেও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সফরসূচি পরিবর্তনের কারণে শীতবস্ত্র বিতরণ স্থগিত রয়েছে। সফরসূচি অনুযায়ী উপদেষ্টা নিজে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করবেন বলে নির্দেশনা থাকলেও সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি সফর অসমাপ্ত রেখে ঢাকা ফেরেন। এতে রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ বাড়লেও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সফরসূচি পরিবর্তনের কারণে শীতবস্ত্র বিতরণ স্থগিত রয়েছে। সফরসূচি অনুযায়ী উপদেষ্টা নিজে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করবেন বলে নির্দেশনা থাকলেও সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি সফর অসমাপ্ত রেখে ঢাকা ফেরেন। এতে রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে