রিমন রহমান, রাজশাহী
কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।
কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’
কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’
কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।
কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’
কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৩ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে