পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বিটকয়েন ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে নিযুক্ত এক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমুর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ওই শিক্ষক তাঁদের বিটকয়েন ব্যবসা অনেক লাভজনক বলে প্রলোভন দেন। এতে বেশির ভাগ নারী প্রশিক্ষণার্থী তাঁকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
বিটকয়েন হলো একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। শুধু অনলাইনেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এই মুদ্রার ব্যাপক পতন হয়। অনেকেই এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ দুস্থ ও অসহায় নারীদের দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে সেলাই, হাতের কাজ, বিউটিপার্লারসহ বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকজন নারী প্রশিক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। আর প্রতিটি গ্রুপে ৩০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
পীরগাছা গ্রামের প্রশিক্ষণার্থী শিউলি বেগম বলেন, ‘দুই মাস আগে আমাদের গ্রুপে সেলাইয়ের কাজ শিখতে ৩০ জন নারী যুক্ত হন। আর আমাদের কাজ শেখান প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমু। কাজ শুরুর পর ওই ম্যাডাম আমাদের বলেন, আধুনিক ও প্রযুক্তির যুগে দু-এক বছরের মধ্যে টাকা থাকবে না। এখন থেকে যারা বিটকয়েন কিনে রাখবেন, সরকার তাদের পরিবারকে প্রতি মাসে ফ্রিতে রেশন দেবে। আর বিটকয়েন কিনতে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে। আমরা তাঁর কথায় না বুঝে টাকা দিয়েছি। এখন তিনি আর আমাদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।’
শিল্পী বেগম ও কামরুন নাহার বেগম নামের অপর দুই নারী প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘ওই প্রশিক্ষক মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি বিভিন্ন গ্রুপের মহিলাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখন আমাদের টাকা চাইলে তিনি নানাভাবে হয়রানি করছেন, যার কারণে আমরা গত সপ্তাহে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। বিটকয়েনের ব্যবসার নামে প্রশিক্ষণার্থীদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করব না।’ এই বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ডালিয়া পারভিন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের নিজস্ব বিষয়। টাকা লেনদেনের এ বিষয়ে আগে কেউ আমাকে কিছুই জানায়নি। যদ্দুর শুনেছি, প্রশিক্ষণার্থীরা লোভে পড়ে টাকাগুলো দিয়েছিলেন। এখন আর ফেরত পাচ্ছেন না, যার কারণে ভুক্তভোগীরা গত সপ্তাহে ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’
বিটকয়েন ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে নিযুক্ত এক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমুর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ওই শিক্ষক তাঁদের বিটকয়েন ব্যবসা অনেক লাভজনক বলে প্রলোভন দেন। এতে বেশির ভাগ নারী প্রশিক্ষণার্থী তাঁকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
বিটকয়েন হলো একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। শুধু অনলাইনেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এই মুদ্রার ব্যাপক পতন হয়। অনেকেই এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ দুস্থ ও অসহায় নারীদের দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে সেলাই, হাতের কাজ, বিউটিপার্লারসহ বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকজন নারী প্রশিক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। আর প্রতিটি গ্রুপে ৩০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
পীরগাছা গ্রামের প্রশিক্ষণার্থী শিউলি বেগম বলেন, ‘দুই মাস আগে আমাদের গ্রুপে সেলাইয়ের কাজ শিখতে ৩০ জন নারী যুক্ত হন। আর আমাদের কাজ শেখান প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমু। কাজ শুরুর পর ওই ম্যাডাম আমাদের বলেন, আধুনিক ও প্রযুক্তির যুগে দু-এক বছরের মধ্যে টাকা থাকবে না। এখন থেকে যারা বিটকয়েন কিনে রাখবেন, সরকার তাদের পরিবারকে প্রতি মাসে ফ্রিতে রেশন দেবে। আর বিটকয়েন কিনতে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে। আমরা তাঁর কথায় না বুঝে টাকা দিয়েছি। এখন তিনি আর আমাদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।’
শিল্পী বেগম ও কামরুন নাহার বেগম নামের অপর দুই নারী প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘ওই প্রশিক্ষক মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি বিভিন্ন গ্রুপের মহিলাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখন আমাদের টাকা চাইলে তিনি নানাভাবে হয়রানি করছেন, যার কারণে আমরা গত সপ্তাহে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। বিটকয়েনের ব্যবসার নামে প্রশিক্ষণার্থীদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করব না।’ এই বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ডালিয়া পারভিন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের নিজস্ব বিষয়। টাকা লেনদেনের এ বিষয়ে আগে কেউ আমাকে কিছুই জানায়নি। যদ্দুর শুনেছি, প্রশিক্ষণার্থীরা লোভে পড়ে টাকাগুলো দিয়েছিলেন। এখন আর ফেরত পাচ্ছেন না, যার কারণে ভুক্তভোগীরা গত সপ্তাহে ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
১৬ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২১ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
২৬ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে