Ajker Patrika

আটঘরিয়ায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: ৫ দিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা

পাবনা প্রতিনিধি
আটঘরিয়া দেবোত্তর বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষে ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল। ফাইল ছবি
আটঘরিয়া দেবোত্তর বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষে ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল। ফাইল ছবি

পাঁচ দিন পর পাবনার আটঘরিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে উভয় পক্ষ এজাহার দুটি দায়ের করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, আজ (মঙ্গলবার) রাতে উভয় পক্ষ পৃথক এজাহার দিয়েছে। তারপর মামলা করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে মামলা দুটির আসামিদের নাম জানাতে অপারগতা জানান ওসি।

তার মধ্যে বিএনপির করা মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আছিম উদ্দিন। মামলায় জামায়াতের নামীয় ১২৪ জন এবং অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৭। এই মামলায় উপজেলা বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।

অপর দিকে, জামায়াতের পক্ষ থেকে করা মামলার বাদী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. নকিবুল্লাহ। মামলায় বিএনপির নামীয় ৩৬ জন এবং অজ্ঞাত ১২০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৮। এই মামলায় উপজেলা জামায়াতের অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।

ওসি মো. শফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা দুটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়, জামায়াতের এমন বক্তব্যের জবাবে ওসি বলেন, ‘আমরা চাকরি করতে এসেছি। এখন কোনো দলই ক্ষমতায় নেই। আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করব। আমাদের যে কাজ, আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সে কাজ করব।’

এর আগে ১৫ মে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

এ সময় উভয় দলের কার্যালয় এবং ২৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনা উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। জামায়াতের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়।

এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

এ বিষয়ে আজ (মঙ্গলবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক।

এ সময় ইউএনও বলেন, ‘সেদিন মনোনয়ন ফরম তুলতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ প্রথমে জানান। আমি থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনিও সেখানে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রথমে মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়। পরে তারা লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। সেদিনই বিকেলে দুই পক্ষকে ডেকেছি। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।’

মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর কলেজের কমিটির সদস্যদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। এখনো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। বিধি ও নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন কি না এবং সেখানে কী অবস্থায় দেখেছিলেন, জানতে চাইলে তিনি সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাজার জামে মসজিদে শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজ হয়নি কেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জেনেছি নামাজের আগ মুহূর্তে। জুমার নামাজের পর বিষয়টি বসে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আর ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে পাওয়াও যাচ্ছিল না। পরে সেটি সমাধান হয়ে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান

১৭ বছর খাইনি, এবার খাব—টেন্ডার জমা দেওয়া ঠিকাদারকে বললেন বিএনপি নেতা

দেশে এল স্টারলিংক: কতগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে, কীভাবে করবেন

যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব

মধ্যরাতে হাক্কানীর মালিকের বাসায় মবের হানা, আটক তিন সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে নিলেন হান্নান মাসউদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত