আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আষাঢ় শেষ হয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র রোদে বীজতলায় শুকিয়ে যাচ্ছে আমন ধানের চারা। পানির অভাবে চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি করা যাচ্ছে না। যেসব জমি ইতিমধ্যে আবাদ করা হয়েছে, তা ফেটে চৌচির।
বড়াইগ্রাম (নাটোর): অনাবৃষ্টি আর খরতাপে চারা উৎপাদনের জন্য বীজ বপন করা যাচ্ছে না। যেখানে ইতিমধ্যে চারা গজিয়েছে, সেগুলো শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মখলেছুর রহমান জানান, ‘অনাবৃষ্টির ফলে আমনের বীজ বপনই করতে পারছেন না।
কামারদহ গ্রামের এসকেন্দার আলী বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে আমন চাষ করব বলে বীজ বপন করেছিলাম। কিন্তু খরায় মাটি শুকিয়ে চারা মারা যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, বর্ষা মৌসুমে এমন অনাবৃষ্টি কল্পনাও করা যায় না। এ সময় বৃষ্টি না হলে আমন উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ): সর্বত্র চলছে পানির জন্য হাহাকার। পতিত রয়েছে অনেক জমি। কেউ কেউ বিকল্প সেচের মাধ্যমে আমনের চারা রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকি জমি শুকিয়ে আছে।
দামপুরা গ্রামের কৃষক আব্দুর হাই জানান, সেচসংকটে তাঁর সাত বিঘা আউশের খেত ফেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে তিনি এখন পর্যন্ত আমনের মাঠ প্রস্তুত করতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অনাবৃষ্টি চললেও আমন চাষে এখনো যথেষ্ট সময় আছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে কৃষকেরা চারা রোপণ করে ফেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী): বৃষ্টির অভাবে অনেক আমনখেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কোথাও কৃষকেরা শ্যালো মেশিন বসিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন।
উত্তর দুরাকুটি হাড়িবেচাপাড়া গ্রামের শাহেদুল বলেন, আগাম বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় এখন আর বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এতে তাঁর পাঁচ বিঘা জমির আমন ধান নষ্টের উপক্রম হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ফসল রক্ষায় সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে। দাবদাহ মোকাবিলা করে আমন চাষে কৃষকদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): পানির অভাবে খাঁখাঁ করছে মাঠঘাট। আমন রোপণের সময় বিলম্ব হয়ে পড়ছে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে নলকূপের পানি দিয়ে চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সুজাপুর গ্রামের কৃষক দুলাল রায় বলেন, বীজতলা প্রস্তুত কিন্তু পানির অভাবে জমিতে চারা রোপণ করতে পারছেন না তিনি। আমন রোপণে দেরি হলে ফলন কম হবে। তাই হয়তো বিকল্প সেচ দিয়ে চারা লাগাতে হবে। তাতে খরচ বেশি পড়বে। আরেক কৃষক আশিস রঞ্জন দাস বলেন, তিনি শ্যালো মেশিন প্রস্তুত করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে আমন ধানের জমি তৈরি এবং রোপণ শুরু করবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সোহানুর রহমান বলেন, অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে কৃষকদের সামান্য অসুবিধা হলেও তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এখনো সময় আছে। যদি দু-এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হয়, তবে প্রয়োজনে গভীর নলকূপগুলো চালু করার জন্য বলা হবে।
আষাঢ় শেষ হয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র রোদে বীজতলায় শুকিয়ে যাচ্ছে আমন ধানের চারা। পানির অভাবে চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি করা যাচ্ছে না। যেসব জমি ইতিমধ্যে আবাদ করা হয়েছে, তা ফেটে চৌচির।
বড়াইগ্রাম (নাটোর): অনাবৃষ্টি আর খরতাপে চারা উৎপাদনের জন্য বীজ বপন করা যাচ্ছে না। যেখানে ইতিমধ্যে চারা গজিয়েছে, সেগুলো শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মখলেছুর রহমান জানান, ‘অনাবৃষ্টির ফলে আমনের বীজ বপনই করতে পারছেন না।
কামারদহ গ্রামের এসকেন্দার আলী বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে আমন চাষ করব বলে বীজ বপন করেছিলাম। কিন্তু খরায় মাটি শুকিয়ে চারা মারা যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, বর্ষা মৌসুমে এমন অনাবৃষ্টি কল্পনাও করা যায় না। এ সময় বৃষ্টি না হলে আমন উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ): সর্বত্র চলছে পানির জন্য হাহাকার। পতিত রয়েছে অনেক জমি। কেউ কেউ বিকল্প সেচের মাধ্যমে আমনের চারা রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকি জমি শুকিয়ে আছে।
দামপুরা গ্রামের কৃষক আব্দুর হাই জানান, সেচসংকটে তাঁর সাত বিঘা আউশের খেত ফেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে তিনি এখন পর্যন্ত আমনের মাঠ প্রস্তুত করতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অনাবৃষ্টি চললেও আমন চাষে এখনো যথেষ্ট সময় আছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে কৃষকেরা চারা রোপণ করে ফেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী): বৃষ্টির অভাবে অনেক আমনখেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কোথাও কৃষকেরা শ্যালো মেশিন বসিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন।
উত্তর দুরাকুটি হাড়িবেচাপাড়া গ্রামের শাহেদুল বলেন, আগাম বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় এখন আর বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এতে তাঁর পাঁচ বিঘা জমির আমন ধান নষ্টের উপক্রম হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ফসল রক্ষায় সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে। দাবদাহ মোকাবিলা করে আমন চাষে কৃষকদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): পানির অভাবে খাঁখাঁ করছে মাঠঘাট। আমন রোপণের সময় বিলম্ব হয়ে পড়ছে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে নলকূপের পানি দিয়ে চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সুজাপুর গ্রামের কৃষক দুলাল রায় বলেন, বীজতলা প্রস্তুত কিন্তু পানির অভাবে জমিতে চারা রোপণ করতে পারছেন না তিনি। আমন রোপণে দেরি হলে ফলন কম হবে। তাই হয়তো বিকল্প সেচ দিয়ে চারা লাগাতে হবে। তাতে খরচ বেশি পড়বে। আরেক কৃষক আশিস রঞ্জন দাস বলেন, তিনি শ্যালো মেশিন প্রস্তুত করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে আমন ধানের জমি তৈরি এবং রোপণ শুরু করবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সোহানুর রহমান বলেন, অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে কৃষকদের সামান্য অসুবিধা হলেও তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এখনো সময় আছে। যদি দু-এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হয়, তবে প্রয়োজনে গভীর নলকূপগুলো চালু করার জন্য বলা হবে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে