নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী আঞ্চলিক হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন এবং সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারে খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদার নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে খামার তিনটির পশুখাদ্য সরবরাহ। খামারের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজশে হাতে গোনা দুই-তিনজন ঠিকাদার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে ঘুরেফিরে তাঁরাই বারবার কার্যাদেশ পাচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা লোপাটে কর্মকর্তা-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাইকোর্টেও রিট করেছেন একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার। সর্বশেষ প্রায় অর্ধকোটি টাকার খাদ্য উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এ কাজটিও ওই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িতে অবস্থিত দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে খাদ্য উপকরণ সরবরাহে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কয়েকজন ঠিকাদার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে বারবার কাজ পাচ্ছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্য উপকরণ সরবরাহের জন্য দরপত্র (টেন্ডার নম্বর ৬৮২৯৯৮) আহ্বান করা হয়।
টেন্ডারে জিআর-১ গ্রুপে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল রজব অ্যান্ড ব্রাদার্স। প্রতিষ্ঠানটি দর দেয় ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬০ টাকা। অপর দিকে একই কাজের জন্য মেসার্স করিম ট্রেডার্স দর দিয়েছিল ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫ টাকা। কিন্তু সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি দেওয়া হয়নি। বরং সাড়ে ৭ লাখ টাকা বেশি দরদাতা করিম ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
জিআর-৩ টেন্ডার নম্বর ৮৫২১২২-এ খাদ্য উপকরণ হিসেবে ধানের খড়, ভুট্টা, ছোলা, ভিটামিন মিনারের প্রিমিক্স (ডিবি) এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তাতে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মেসার্স সদর অ্যান্ড ব্রাদার্স। প্রতিষ্ঠান দর দেয় ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৪ টাকা। অপর দিকে একই কাজের জন্য এইচএন এন্টারপ্রাইজ টেন্ডার মূল্য দেয় ৬৭ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৩ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে ২৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেশি দর দিয়েও কাজটি পায় এইচএন এন্টারপ্রাইজ। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এইচএন এন্টারপ্রাইজের দরের অনুমোদন দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান।
দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য উপকরণ হিসেবে গমের ভুসি ও টেক্সিন বাউন্ডার সরবরাহের টেন্ডারে (জিআর-১ টেন্ডার নম্বর ৮২৫৪০৬) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেটাগা ট্রেডার্স ১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ৬৮৩ টাকা দর দেয়। আর একই কাজের জন্য মেসার্স করিম ট্রেডার্স টেন্ডারে দর দেয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪০ টাকা। বেটাগার চেয়ে ৩০ লাখ ৬ হাজার ৯৫৬ টাকা বেশি দর দিলেও টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি করিম ট্রেডার্সকেই কার্যাদেশ প্রদানের সুপারিশ করে। ফলে তারাই কাজটি পায়। আইন–কানুন ও নিয়ম-নীতির নানা ফাঁক গলে টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেবল জিআর-১ ও জিআর-৩ এর খাদ্য সরবরাহেই অর্ধকোটি টাকার বেশি লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এ বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম ট্রেডার্সের মালিক রবিউল করিম বলেন, ‘আামি গরু খামারে খাদ্য সরবরাহের জন্য একটি, মুরগির খামারে একটি ও ছাগল খামারে দুটি কাজ পেয়েছি। শুধু টেন্ডারে ড্রপ করলেই তো হবে না। শর্ত অনুযায়ী সকল কাগজপত্র থাকতে হবে। আমি প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই কাজগুলো পেয়েছি। কোনো অনিয়ম হয়নি।’
এ বিষয়ে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগটি অনুসন্ধানে অনুমতির জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে মুরগির খামারে খাদ্য সরবরাহে কিছুদিন আগে তিনটি গ্রুপে প্রায় সোয়া কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কিন্তু টেন্ডারে নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে কথিত সিন্ডিকেটের বাইরের ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করতে পারেননি। কর্মকর্তাদের এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি সদর উদ্দিন নামের একজন ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন। আগামী ২৯ জুলাই রিটের শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেনের বেঞ্চ এই তারিখ ধার্য করেন।
রিটকারী ঠিকাদার সদর উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমি খাদ্য সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু এবার টেন্ডারে এমনভাবে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমার মতো ঠিকাদারেরা অংশগ্রহণ করতে না পারেন। ঢাকা থেকে ঠিকাদার এনে টেন্ডার ড্রপ করানো হয়েছে। সিস্টেমে ফেলে আর স্থানীয় ঠিকাদারদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এটা দুর্নীতি। আইনের বাইরে গিয়ে কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এ কারণে আমি হাইকোর্টে গিয়েছি।’
অপর দিকে ৯ জুন সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারে খাদ্য উপকরণ সরবরাহের জন্য প্রায় ৪৫ টাকা মূল্যের দরপত্র আহ্বান করা হয়। তাতে জিআর-১ গ্রুপে সয়াবিন খৈল, ছোলা, ভুট্টা ও ওষুধ প্রিমিক্স ডিবি এবং জিআর-২ গ্রুপে গমের ভুসি, খেসারির খোসা ও ওষুধ ডিপি সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। ২৪ জুন দরপত্র দাখিলের শেষদিন। কিন্তু ঠিকাদারদের অভিযোগ, এত দিন ওষুধ আলাদা টেন্ডারে কেনা হতো। কিন্তু এবার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে কতিপয় কর্মকর্তা খাদ্যের সঙ্গেই ওষুধ সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করেছেন। যাতে নির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদার ছাড়া বাকিরা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে না পারেন।
এ বিষয়ে মেসার্স রিফাত ট্রেডার্সের মালিক আবুল কাশেম বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই আলাদাভাবে খাদ্যের টেন্ডার করা হতো। কিন্তু এবার একসঙ্গে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কারণ, টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহে ওই সিন্ডিকেট ছাড়া বাকি ঠিকাদারদের যোগ্যতা নেই। টেন্ডারের নামে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিতে টেন্ডার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে কাজটি করেছেন। ফলে রানিং যাঁরা ঠিকাদার, তাঁরা টেন্ডার ড্রপ করতে পারছেন না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। এসব অনিয়মের প্রতিকার চাই আমরা।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাগল উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিয়মের বাইরে কোনো কিছুই করা হয় না। আমার একাই কিছু করার সুযোগও নেই। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বসে সিদ্ধান্ত দেয়। আর দুদকে অভিযোগ ও হাইকোর্টে রিটের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান বলেন, ‘ই-জিপি নীতিমালা অনুযায়ী টেন্ডারগুলো করা হয়ে থাকে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। আর হাইকোর্ট বা দুদক ডাকলে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জবাব দেবেন।’

রাজশাহী আঞ্চলিক হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন এবং সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারে খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদার নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে খামার তিনটির পশুখাদ্য সরবরাহ। খামারের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজশে হাতে গোনা দুই-তিনজন ঠিকাদার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে ঘুরেফিরে তাঁরাই বারবার কার্যাদেশ পাচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা লোপাটে কর্মকর্তা-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাইকোর্টেও রিট করেছেন একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার। সর্বশেষ প্রায় অর্ধকোটি টাকার খাদ্য উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এ কাজটিও ওই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িতে অবস্থিত দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে খাদ্য উপকরণ সরবরাহে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কয়েকজন ঠিকাদার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে বারবার কাজ পাচ্ছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্য উপকরণ সরবরাহের জন্য দরপত্র (টেন্ডার নম্বর ৬৮২৯৯৮) আহ্বান করা হয়।
টেন্ডারে জিআর-১ গ্রুপে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল রজব অ্যান্ড ব্রাদার্স। প্রতিষ্ঠানটি দর দেয় ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬০ টাকা। অপর দিকে একই কাজের জন্য মেসার্স করিম ট্রেডার্স দর দিয়েছিল ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫ টাকা। কিন্তু সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি দেওয়া হয়নি। বরং সাড়ে ৭ লাখ টাকা বেশি দরদাতা করিম ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
জিআর-৩ টেন্ডার নম্বর ৮৫২১২২-এ খাদ্য উপকরণ হিসেবে ধানের খড়, ভুট্টা, ছোলা, ভিটামিন মিনারের প্রিমিক্স (ডিবি) এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তাতে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মেসার্স সদর অ্যান্ড ব্রাদার্স। প্রতিষ্ঠান দর দেয় ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৪ টাকা। অপর দিকে একই কাজের জন্য এইচএন এন্টারপ্রাইজ টেন্ডার মূল্য দেয় ৬৭ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৩ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে ২৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেশি দর দিয়েও কাজটি পায় এইচএন এন্টারপ্রাইজ। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এইচএন এন্টারপ্রাইজের দরের অনুমোদন দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান।
দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য উপকরণ হিসেবে গমের ভুসি ও টেক্সিন বাউন্ডার সরবরাহের টেন্ডারে (জিআর-১ টেন্ডার নম্বর ৮২৫৪০৬) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেটাগা ট্রেডার্স ১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ৬৮৩ টাকা দর দেয়। আর একই কাজের জন্য মেসার্স করিম ট্রেডার্স টেন্ডারে দর দেয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪০ টাকা। বেটাগার চেয়ে ৩০ লাখ ৬ হাজার ৯৫৬ টাকা বেশি দর দিলেও টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি করিম ট্রেডার্সকেই কার্যাদেশ প্রদানের সুপারিশ করে। ফলে তারাই কাজটি পায়। আইন–কানুন ও নিয়ম-নীতির নানা ফাঁক গলে টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেবল জিআর-১ ও জিআর-৩ এর খাদ্য সরবরাহেই অর্ধকোটি টাকার বেশি লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এ বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম ট্রেডার্সের মালিক রবিউল করিম বলেন, ‘আামি গরু খামারে খাদ্য সরবরাহের জন্য একটি, মুরগির খামারে একটি ও ছাগল খামারে দুটি কাজ পেয়েছি। শুধু টেন্ডারে ড্রপ করলেই তো হবে না। শর্ত অনুযায়ী সকল কাগজপত্র থাকতে হবে। আমি প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই কাজগুলো পেয়েছি। কোনো অনিয়ম হয়নি।’
এ বিষয়ে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগটি অনুসন্ধানে অনুমতির জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে মুরগির খামারে খাদ্য সরবরাহে কিছুদিন আগে তিনটি গ্রুপে প্রায় সোয়া কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কিন্তু টেন্ডারে নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে কথিত সিন্ডিকেটের বাইরের ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করতে পারেননি। কর্মকর্তাদের এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি সদর উদ্দিন নামের একজন ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন। আগামী ২৯ জুলাই রিটের শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেনের বেঞ্চ এই তারিখ ধার্য করেন।
রিটকারী ঠিকাদার সদর উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমি খাদ্য সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু এবার টেন্ডারে এমনভাবে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমার মতো ঠিকাদারেরা অংশগ্রহণ করতে না পারেন। ঢাকা থেকে ঠিকাদার এনে টেন্ডার ড্রপ করানো হয়েছে। সিস্টেমে ফেলে আর স্থানীয় ঠিকাদারদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এটা দুর্নীতি। আইনের বাইরে গিয়ে কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এ কারণে আমি হাইকোর্টে গিয়েছি।’
অপর দিকে ৯ জুন সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারে খাদ্য উপকরণ সরবরাহের জন্য প্রায় ৪৫ টাকা মূল্যের দরপত্র আহ্বান করা হয়। তাতে জিআর-১ গ্রুপে সয়াবিন খৈল, ছোলা, ভুট্টা ও ওষুধ প্রিমিক্স ডিবি এবং জিআর-২ গ্রুপে গমের ভুসি, খেসারির খোসা ও ওষুধ ডিপি সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। ২৪ জুন দরপত্র দাখিলের শেষদিন। কিন্তু ঠিকাদারদের অভিযোগ, এত দিন ওষুধ আলাদা টেন্ডারে কেনা হতো। কিন্তু এবার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে কতিপয় কর্মকর্তা খাদ্যের সঙ্গেই ওষুধ সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করেছেন। যাতে নির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদার ছাড়া বাকিরা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে না পারেন।
এ বিষয়ে মেসার্স রিফাত ট্রেডার্সের মালিক আবুল কাশেম বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই আলাদাভাবে খাদ্যের টেন্ডার করা হতো। কিন্তু এবার একসঙ্গে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কারণ, টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহে ওই সিন্ডিকেট ছাড়া বাকি ঠিকাদারদের যোগ্যতা নেই। টেন্ডারের নামে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিতে টেন্ডার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে কাজটি করেছেন। ফলে রানিং যাঁরা ঠিকাদার, তাঁরা টেন্ডার ড্রপ করতে পারছেন না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। এসব অনিয়মের প্রতিকার চাই আমরা।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাগল উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিয়মের বাইরে কোনো কিছুই করা হয় না। আমার একাই কিছু করার সুযোগও নেই। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বসে সিদ্ধান্ত দেয়। আর দুদকে অভিযোগ ও হাইকোর্টে রিটের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান বলেন, ‘ই-জিপি নীতিমালা অনুযায়ী টেন্ডারগুলো করা হয়ে থাকে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। আর হাইকোর্ট বা দুদক ডাকলে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জবাব দেবেন।’

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার বাবলা (৪৩)। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা আটজনের মতো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পিতা আবদুল কাদের ও ভাই মো. আজিজ আহাজারি করে বলেন, ‘এভাবে গুলি করে বাবলাকে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। কার কাছে বিচার চাইব?’
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন জানান, গণসংযোগের প্রচারণা দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি এ কারণে।
এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। সবাইকে কাছাকাছি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বাবলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনজনের মধ্যে সরোয়ার বাবলা মারা গেছেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পরপর শুরু হওয়া নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার বাবলা (৪৩)। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা আটজনের মতো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পিতা আবদুল কাদের ও ভাই মো. আজিজ আহাজারি করে বলেন, ‘এভাবে গুলি করে বাবলাকে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। কার কাছে বিচার চাইব?’
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন জানান, গণসংযোগের প্রচারণা দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি এ কারণে।
এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। সবাইকে কাছাকাছি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বাবলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনজনের মধ্যে সরোয়ার বাবলা মারা গেছেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পরপর শুরু হওয়া নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে।

টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা লোপাটে কর্মকর্তা-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাইকোর্টেও রিট করেছেন একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার। সর্বশেষ প্রায় অর্ধকোটি টাকার খাদ্য উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহে টেন্ড
২২ জুন ২০২৪
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা বেগম (২৮) ও বিপুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল শামিমার মামাতো ভাই।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে হাজরাদীঘি গ্রামের একটি ধানখেতে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের পর নিহত যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা জহুরুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জহুরুল আর ফিরে আসেননি। কিন্তু পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিগত তদন্ত করে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা ও তাঁর মামাতো ভাই পার্শ্ববর্তী অন্তাহার গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে বিপুল হোসেনকে সন্দেহ করে। পরে আজ ভোরে নিহত জহুরুলের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শামিমা ও বিপুলকে আটক করে।
থানায় দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা পুলিশকে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আর জহুরুল ও বিপুল একে অপরের খালাতো ভাই। জহুরুল ইসলামের বাড়ি কাহালু উপজেলায় হলেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ি হাজরাদীঘি গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় বেকারি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ভ্যানচালক আর বিপুল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। জহুরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই বিপুলের সঙ্গে শামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরেও তাঁরা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপুল মাঝেমধ্যে শামিমার বাড়িতে আসতেন। শামিমার বাবা বিপুল ও জহুরুলের মামা হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতেন না। কিন্তু বিপুলের যাতায়াত পছন্দ করতেন না জহুরুল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে জহুরুলের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। শামিমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিপুল তাঁকে একটি ছোট মোবাইল ফোন কিনে দেন। সেই ফোনটি শামিমা লুকিয়ে রাখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার একপর্যায় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিপুলের সঙ্গে পরামর্শ করেন শামিমা। দুজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে শামিমা দুধের সঙ্গে কৌশলে তাঁর স্বামীকে ১৫টি ঘুমের বড়ি সেবন করান। কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বিপুল শামিমার বাড়ি আসেন। এরপর বিপুল কাঁধে করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের একটি মাঠে পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে শামিমাও সেখানে যান। এরপর জহুরুলের মাথা পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে কয়েকবার আঘাত করেন। একপর্যায়ে একটি পুরোনো স্যানিটারি প্যানের পরিত্যক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে জহুরুলের মাথায় একাধিক আঘাত করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে দুজন চলে যান।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, নিহত জহুরুলের মা-বাবার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শামিমার বাবা শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য।

বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা বেগম (২৮) ও বিপুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল শামিমার মামাতো ভাই।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে হাজরাদীঘি গ্রামের একটি ধানখেতে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের পর নিহত যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা জহুরুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জহুরুল আর ফিরে আসেননি। কিন্তু পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিগত তদন্ত করে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা ও তাঁর মামাতো ভাই পার্শ্ববর্তী অন্তাহার গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে বিপুল হোসেনকে সন্দেহ করে। পরে আজ ভোরে নিহত জহুরুলের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শামিমা ও বিপুলকে আটক করে।
থানায় দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা পুলিশকে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আর জহুরুল ও বিপুল একে অপরের খালাতো ভাই। জহুরুল ইসলামের বাড়ি কাহালু উপজেলায় হলেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ি হাজরাদীঘি গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় বেকারি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ভ্যানচালক আর বিপুল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। জহুরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই বিপুলের সঙ্গে শামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরেও তাঁরা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপুল মাঝেমধ্যে শামিমার বাড়িতে আসতেন। শামিমার বাবা বিপুল ও জহুরুলের মামা হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতেন না। কিন্তু বিপুলের যাতায়াত পছন্দ করতেন না জহুরুল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে জহুরুলের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। শামিমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিপুল তাঁকে একটি ছোট মোবাইল ফোন কিনে দেন। সেই ফোনটি শামিমা লুকিয়ে রাখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার একপর্যায় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিপুলের সঙ্গে পরামর্শ করেন শামিমা। দুজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে শামিমা দুধের সঙ্গে কৌশলে তাঁর স্বামীকে ১৫টি ঘুমের বড়ি সেবন করান। কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বিপুল শামিমার বাড়ি আসেন। এরপর বিপুল কাঁধে করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের একটি মাঠে পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে শামিমাও সেখানে যান। এরপর জহুরুলের মাথা পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে কয়েকবার আঘাত করেন। একপর্যায়ে একটি পুরোনো স্যানিটারি প্যানের পরিত্যক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে জহুরুলের মাথায় একাধিক আঘাত করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে দুজন চলে যান।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, নিহত জহুরুলের মা-বাবার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শামিমার বাবা শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য।

টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা লোপাটে কর্মকর্তা-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাইকোর্টেও রিট করেছেন একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার। সর্বশেষ প্রায় অর্ধকোটি টাকার খাদ্য উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহে টেন্ড
২২ জুন ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন নয়ন (২০), অপূর্ব (২০) ও দুর্জয় হালদার (২০)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিবেশী দুর্জয় হালদারের ঘরে মোবাইল চার্জার আনতে গেলে মুখে গামছা বেঁধে নয়ন, অপূর্ব ও দুর্জয় জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন নয়ন (২০), অপূর্ব (২০) ও দুর্জয় হালদার (২০)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিবেশী দুর্জয় হালদারের ঘরে মোবাইল চার্জার আনতে গেলে মুখে গামছা বেঁধে নয়ন, অপূর্ব ও দুর্জয় জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা লোপাটে কর্মকর্তা-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাইকোর্টেও রিট করেছেন একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার। সর্বশেষ প্রায় অর্ধকোটি টাকার খাদ্য উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহে টেন্ড
২২ জুন ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ইউনুস উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ইউনুস গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়ার বাড়িতে আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে সবুর মিয়া পলাতক।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, সেতুর নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় একজন পুরুষের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ওপরে তুলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ পাঠিয়েছে।
ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, লেনদেনসংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এই হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, ইউনুসকে কমিটির কথা বলে সবুর মিয়া আমন্ত্রণ জানান। মঙ্গলবার রাতে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ সেতুর নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর সবুর মিয়া পলাতক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঙ্গিখালী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউনুস প্রায়ই সবুর মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সবুর মিয়া, আবছার উদ্দিন, আনোয়ার হোসাইন ওরফে লেটাইয়্যা, মিজানুর রহমান ওরফে বাড়ু মিজানসহ কয়েকজন মিলে এলাকার দোকানে আড্ডাও দিতেন। কয়েক দিন ধরে ইয়াবাসংক্রান্ত পাওয়া টাকার বিরোধের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রকাশ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা শোনা গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সবুর মিয়ার বাড়িতে ইউনুসকে আটকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। এতে মারা যাওয়ার পর লাশ সেতুর নিচে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সবুরসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোনো প্রকার টাকার লেনদেন নেই। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
ওসি জানান, পাওয়া টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী লেনদেনের টাকা, জানা যায়নি। যাঁদের নাম বলা হচ্ছে, তাঁদের ধরতে চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ইউনুস উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ইউনুস গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়ার বাড়িতে আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে সবুর মিয়া পলাতক।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, সেতুর নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় একজন পুরুষের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ওপরে তুলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ পাঠিয়েছে।
ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, লেনদেনসংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এই হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, ইউনুসকে কমিটির কথা বলে সবুর মিয়া আমন্ত্রণ জানান। মঙ্গলবার রাতে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ সেতুর নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর সবুর মিয়া পলাতক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঙ্গিখালী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউনুস প্রায়ই সবুর মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সবুর মিয়া, আবছার উদ্দিন, আনোয়ার হোসাইন ওরফে লেটাইয়্যা, মিজানুর রহমান ওরফে বাড়ু মিজানসহ কয়েকজন মিলে এলাকার দোকানে আড্ডাও দিতেন। কয়েক দিন ধরে ইয়াবাসংক্রান্ত পাওয়া টাকার বিরোধের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রকাশ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা শোনা গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সবুর মিয়ার বাড়িতে ইউনুসকে আটকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। এতে মারা যাওয়ার পর লাশ সেতুর নিচে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সবুরসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোনো প্রকার টাকার লেনদেন নেই। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
ওসি জানান, পাওয়া টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী লেনদেনের টাকা, জানা যায়নি। যাঁদের নাম বলা হচ্ছে, তাঁদের ধরতে চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা লোপাটে কর্মকর্তা-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাইকোর্টেও রিট করেছেন একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার। সর্বশেষ প্রায় অর্ধকোটি টাকার খাদ্য উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহে টেন্ড
২২ জুন ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
২ ঘণ্টা আগে