নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর তিনটি উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে দুটি করে ভেড়া। বিতরণের পর থেকে তিন উপজেলাতেই উপকারভোগীদের বাড়ি গিয়ে ভেড়াগুলো মারা যেতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
তবে কী রোগে ভেড়াগুলো মারা যাচ্ছে তা জানেন না সংশ্লিষ্ট কেউই। মৃত্যুর কারণ জানতে মৃত ভেড়ার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
উপকারভোগীদের অভিযোগ—খুবই রুগ্ণ ও হাড্ডিসার ভেড়া দেওয়া হয়েছিল তাদের। অসুস্থ এসব ভেড়া বাড়ি নেওয়ার পরই মারা যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের ‘সমতল ভূমিতে বসবাস করা অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় গত মাসে ভেড়াগুলো বিতরণ করা হয়েছিল।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ৪০০ করে ৮০০টি পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৬০০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগমারার ১১৬টি পরিবারের মাঝে ২৩২টি ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গোদাগাড়ীর ২৬৬টি এবং তানোরের ১৭০টি পরিবারের মাঝে একটি করে বকনা গরুও বিতরণ করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর বাগমারায় ভেড়া বিতরণ করা হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর গোদাগাড়ীতে এবং ৭ ডিসেম্বর তানোরে ভেড়া বিতরণ করা হয়।
বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর এলাকার বলাই চন্দ্র সরকার দুটি ভেড়া পেয়েছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ভেড়া বিতরণ করেন। সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরদিনই একটি ভেড়া মারা গেছে। আরেকটি ভেড়াও অসুস্থ। ভেড়ার মুখ থেকে লালা ঝরছে। পাতলা পায়খানা করছে। আনার পর থেকে ভেড়া জ্বরেও ভুগছে।
বাগমারার মহব্বতপুর গ্রামের কড়ি রায়ও একটি ভেড়া বাঁচাতে পারেননি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাড্ডিসার ও অসুস্থ দুটি ভেড়া দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে নেওয়ার চিকিৎসা করেও একটিকে বাঁচানো যায়নি। চার দিন পর ভেড়াটি মারা যায়।’
উপকারভোগী সবিতা রানী ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব অসুস্থ ও হাড্ডিসার ভেড়া দিয়ে গরিবের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।’
রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাগমারায় প্রায় ৪০টা এবং তানোর ও গোদাগাড়ীতে ১০ থেকে ১৫টি করে ভেড়া মারা গেছে। কী রোগে মারা গেছে তা আমরা নিশ্চিত নই। সেটি নিশ্চিত হতে একটা মৃত ভেড়া ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাটে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি মৃত ভেড়ার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।’
অসুস্থ ও হাড্ডিসার ভেড়া বিতরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দু–একটা ওরকম থাকতে পারে। এই ভেড়া কেনার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত নই। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে প্রকল্প চলছে। প্রকল্প শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে। ঢাকা থেকে প্রকল্পের ঠিকাদার ভেড়া সরবরাহ করেছেন। ভেড়া যে মারা যাচ্ছে সেটা প্রকল্প পরিচালককে জানানো হয়েছে।’
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেনটেচ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীতে ভেড়া সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া আরও দুটি প্রতিষ্ঠান গরু ও ভেড়া সরবরাহ করেছে। জেনটেচ যেদিন রাজশাহীতে ভেড়াগুলো আনে, সেদিনই বিতরণ করা হয়।
ভেড়া মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে প্রতিষ্ঠানটির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির ডেলিভারি চালানে থাকা ফোন নম্বরে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ভেড়ার মরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ড. অসীম কুমার দাস বলেন, ‘ঠান্ডার সময় এ রকম একটু হবেই। সব এলাকাতেই অল্প কিছু ভেড়া মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বিতরণ করা ২২টা গরুও মারা গেছে। গরু ও ভেড়ার ঠিকাদারের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড ১৪ দিন। তাও আমি সেটি বাড়িয়ে এক মাস করেছি। এক মাসের মধ্যে মারা গেলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছবি তুলে পাঠাবেন। যে উপকারভোগীর গরু বা ভেড়া মারা যাবে, তাঁকে আবারও নতুন করে দেওয়া হবে।’
রাজশাহীর তিনটি উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে দুটি করে ভেড়া। বিতরণের পর থেকে তিন উপজেলাতেই উপকারভোগীদের বাড়ি গিয়ে ভেড়াগুলো মারা যেতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
তবে কী রোগে ভেড়াগুলো মারা যাচ্ছে তা জানেন না সংশ্লিষ্ট কেউই। মৃত্যুর কারণ জানতে মৃত ভেড়ার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
উপকারভোগীদের অভিযোগ—খুবই রুগ্ণ ও হাড্ডিসার ভেড়া দেওয়া হয়েছিল তাদের। অসুস্থ এসব ভেড়া বাড়ি নেওয়ার পরই মারা যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের ‘সমতল ভূমিতে বসবাস করা অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় গত মাসে ভেড়াগুলো বিতরণ করা হয়েছিল।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ৪০০ করে ৮০০টি পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৬০০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগমারার ১১৬টি পরিবারের মাঝে ২৩২টি ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গোদাগাড়ীর ২৬৬টি এবং তানোরের ১৭০টি পরিবারের মাঝে একটি করে বকনা গরুও বিতরণ করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর বাগমারায় ভেড়া বিতরণ করা হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর গোদাগাড়ীতে এবং ৭ ডিসেম্বর তানোরে ভেড়া বিতরণ করা হয়।
বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর এলাকার বলাই চন্দ্র সরকার দুটি ভেড়া পেয়েছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ভেড়া বিতরণ করেন। সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরদিনই একটি ভেড়া মারা গেছে। আরেকটি ভেড়াও অসুস্থ। ভেড়ার মুখ থেকে লালা ঝরছে। পাতলা পায়খানা করছে। আনার পর থেকে ভেড়া জ্বরেও ভুগছে।
বাগমারার মহব্বতপুর গ্রামের কড়ি রায়ও একটি ভেড়া বাঁচাতে পারেননি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাড্ডিসার ও অসুস্থ দুটি ভেড়া দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে নেওয়ার চিকিৎসা করেও একটিকে বাঁচানো যায়নি। চার দিন পর ভেড়াটি মারা যায়।’
উপকারভোগী সবিতা রানী ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব অসুস্থ ও হাড্ডিসার ভেড়া দিয়ে গরিবের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।’
রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাগমারায় প্রায় ৪০টা এবং তানোর ও গোদাগাড়ীতে ১০ থেকে ১৫টি করে ভেড়া মারা গেছে। কী রোগে মারা গেছে তা আমরা নিশ্চিত নই। সেটি নিশ্চিত হতে একটা মৃত ভেড়া ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাটে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি মৃত ভেড়ার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।’
অসুস্থ ও হাড্ডিসার ভেড়া বিতরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দু–একটা ওরকম থাকতে পারে। এই ভেড়া কেনার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত নই। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে প্রকল্প চলছে। প্রকল্প শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে। ঢাকা থেকে প্রকল্পের ঠিকাদার ভেড়া সরবরাহ করেছেন। ভেড়া যে মারা যাচ্ছে সেটা প্রকল্প পরিচালককে জানানো হয়েছে।’
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেনটেচ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীতে ভেড়া সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া আরও দুটি প্রতিষ্ঠান গরু ও ভেড়া সরবরাহ করেছে। জেনটেচ যেদিন রাজশাহীতে ভেড়াগুলো আনে, সেদিনই বিতরণ করা হয়।
ভেড়া মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে প্রতিষ্ঠানটির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির ডেলিভারি চালানে থাকা ফোন নম্বরে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ভেড়ার মরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ড. অসীম কুমার দাস বলেন, ‘ঠান্ডার সময় এ রকম একটু হবেই। সব এলাকাতেই অল্প কিছু ভেড়া মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বিতরণ করা ২২টা গরুও মারা গেছে। গরু ও ভেড়ার ঠিকাদারের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড ১৪ দিন। তাও আমি সেটি বাড়িয়ে এক মাস করেছি। এক মাসের মধ্যে মারা গেলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছবি তুলে পাঠাবেন। যে উপকারভোগীর গরু বা ভেড়া মারা যাবে, তাঁকে আবারও নতুন করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে