নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছীতে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ফোনে হুমকি দিয়ে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবির একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার কল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকায় বিষয়টি আলোচনা চলছে।
চাঁদা দাবি করা কণ্ঠটিকে উপজেলা বিএনপির সহযুববিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিন হিসেবে শনাক্ত করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। তবে ফেসবুকে ছড়ানো অডিওটি তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন সৌখিন।
অডিওতে অপর প্রান্তে যাঁর কণ্ঠ, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও বদলগাছীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান। তিনি অভিযোগ করেছেন, বেলাল হোসেন সৌখিন মামলা থেকে নাম বাদ দিতে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫ নভেম্বর উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৌখিন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া রেকর্ডে ফোন কলদাতা নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন ‘ভাই আমি সৌখিন।’ এরপর সৌখিন বলেন, ‘আপনি মাইনকাক দুই লাখ টাকা দিছেন? সেকি আপনাকে বাঁচাতে পারবে?’
জবাবে অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, ‘মোর টাকা-পয়সা আছে ভাই? এলা কুটে গুজব শোনেন, কউ। আর বাঁচা-মরা তো আল্লাহর হাত ভাই। আল্লাহ কী ভাগ্যে রাখবে।’
উত্তরে সৌখিন বলেন, ‘আল্লাহর হাত ঠিক আছে। কিন্তু আল্লাহ যে আমার হাতে লিখে রেখেছে আপনার মৃত্যু। এটার কী হবে কন?’ আপনি মাইনকার সাথে যোগাযোগ করবেন আর আমি কি...। আমরা ভাগ মিলতেছে না!’
কল দেওয়া নম্বরে বিকাশ ও নগদ আছে জানিয়ে সৌখিন বলেন, ‘আপনি এখানে টাকা পাঠায়ে দেন। আপনি মাইনকাক টাকা দিবেন মানে! সে দলের কে?’
এ কথার উত্তরে সামছুল আলম বলেন, ‘না ভাই না। এসব মিথ্যা কথা ভাই।’ এরপর রাগান্বিত কণ্ঠে সৌখিন বলেন, ‘আপনি কই আছেন কন তো।’
ছড়িয়ে পড়া ওই কল রেকর্ডে বিএনপি নেতা সৌখিনকে বারবার ‘মাইনকা’ নামের যে ব্যক্তির নাম বলতে শোনা গেছে, তিনি বদলগাছী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আওরঙ্গদেব চৌধুরী মানিক।
জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আওরঙ্গদেব চৌধুরী মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সৌখিনের এটি স্পষ্ট। এখানে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বেলাল হোসেন সৌখিন বলেন, ‘ফেসবুকে যে অডিও ছড়িয়েছে, সেটি আমার না। ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বাদী হওয়ায় আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত।’
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা সৌখিন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়ে তিনি থানায় একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এরপর মামলা থেকে নাম বাদ দিতে আবারো ফোন করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটির সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। শিগগিরই তাঁর (বেলাল হোসেন সৌখিন) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি জানিয়ে বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, ‘তবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আসামি সামছুল আলম খানকে এখনো গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি।’
নওগাঁর বদলগাছীতে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ফোনে হুমকি দিয়ে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবির একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার কল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকায় বিষয়টি আলোচনা চলছে।
চাঁদা দাবি করা কণ্ঠটিকে উপজেলা বিএনপির সহযুববিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিন হিসেবে শনাক্ত করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। তবে ফেসবুকে ছড়ানো অডিওটি তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন সৌখিন।
অডিওতে অপর প্রান্তে যাঁর কণ্ঠ, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও বদলগাছীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান। তিনি অভিযোগ করেছেন, বেলাল হোসেন সৌখিন মামলা থেকে নাম বাদ দিতে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫ নভেম্বর উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৌখিন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া রেকর্ডে ফোন কলদাতা নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন ‘ভাই আমি সৌখিন।’ এরপর সৌখিন বলেন, ‘আপনি মাইনকাক দুই লাখ টাকা দিছেন? সেকি আপনাকে বাঁচাতে পারবে?’
জবাবে অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, ‘মোর টাকা-পয়সা আছে ভাই? এলা কুটে গুজব শোনেন, কউ। আর বাঁচা-মরা তো আল্লাহর হাত ভাই। আল্লাহ কী ভাগ্যে রাখবে।’
উত্তরে সৌখিন বলেন, ‘আল্লাহর হাত ঠিক আছে। কিন্তু আল্লাহ যে আমার হাতে লিখে রেখেছে আপনার মৃত্যু। এটার কী হবে কন?’ আপনি মাইনকার সাথে যোগাযোগ করবেন আর আমি কি...। আমরা ভাগ মিলতেছে না!’
কল দেওয়া নম্বরে বিকাশ ও নগদ আছে জানিয়ে সৌখিন বলেন, ‘আপনি এখানে টাকা পাঠায়ে দেন। আপনি মাইনকাক টাকা দিবেন মানে! সে দলের কে?’
এ কথার উত্তরে সামছুল আলম বলেন, ‘না ভাই না। এসব মিথ্যা কথা ভাই।’ এরপর রাগান্বিত কণ্ঠে সৌখিন বলেন, ‘আপনি কই আছেন কন তো।’
ছড়িয়ে পড়া ওই কল রেকর্ডে বিএনপি নেতা সৌখিনকে বারবার ‘মাইনকা’ নামের যে ব্যক্তির নাম বলতে শোনা গেছে, তিনি বদলগাছী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আওরঙ্গদেব চৌধুরী মানিক।
জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আওরঙ্গদেব চৌধুরী মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সৌখিনের এটি স্পষ্ট। এখানে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বেলাল হোসেন সৌখিন বলেন, ‘ফেসবুকে যে অডিও ছড়িয়েছে, সেটি আমার না। ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বাদী হওয়ায় আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত।’
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা সৌখিন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়ে তিনি থানায় একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এরপর মামলা থেকে নাম বাদ দিতে আবারো ফোন করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটির সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। শিগগিরই তাঁর (বেলাল হোসেন সৌখিন) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি জানিয়ে বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, ‘তবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আসামি সামছুল আলম খানকে এখনো গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী ধরলা নদীতে শঙ্খদ্বীপ (৭) নামের এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে লাশটি পাওয়া যায়। জানা গেছে, শিশুটি ভারতীয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানার সাপটিবাড়ী সুস্থিরহাট বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল সে।
১ সেকেন্ড আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, কর্মজীবী হিসেবে আমি চাকরি জীবনে যাদের মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মী হিসেবে পাই, তাদের ধরে নিতে পারেন ৮০ থেকে ৯০ ভাগই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
১১ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সেলিম রেজা (২৭) নামের এক যুবককে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
১১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা।
১৪ মিনিট আগে