খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
মুলা শীতকালীন সবজি হিসেবেই দেশে পরিচিত। ধারণা ছিল, শীতকালীন সবজি অন্য মৌসুমে চাষ করা অসম্ভব। কিন্তু স্থানীয় কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের কৃষকেরা। এই উপজেলার কৃষকদের কাছে মুলা এখন তিন মৌসুমে সফলভাবে চাষযোগ্য সবজি।
শিবগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে মুলা। সাধারণত বেলে দোআঁশ মাটি মুলা চাষের জন্য উপযোগী। বীজ রোপণের ৪০-৪২ দিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয় এই সবজি।
সরেজমিনে মোকামতলা, বাঘমারা, তালিবপুর, কৃষ্ণপুর, মধুপুর, আঁচলাইসহ শিবগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকায় গেলে মুলা খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কৃষকদের। এ সময় তাঁরা বলেন, বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ মুলা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। বর্তমান বাজারে এক বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ১ লাখ টাকার মুলা বিক্রি করা যায়। বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে অধিক টাকা ঘরে আনতে মুলা চাষ লাভজনক।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মাজেদ জানান, ‘আমরা বারোমাসই মুলা চাষ করি। বছরে তিন থেকে চারবার এই ফসল করা যায়। আমি তিন বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছি। পাইকারেরা ৩ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন। আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আমি বিক্রি করতে রাজি হইনি।’
কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে মুলা বাজারে তুলব। এখন দাম ভালো হওয়ায় ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি।’
রহবল পশ্চিমপাড়ার কৃষক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বারোমাসই যে মুলা চাষ করা যায় আগে কখনো ভাবিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি এবার ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই মুলা তোলা যাবে। ৫০ শতক জমিতে কমপক্ষে ১৩০ মণ ফলনের আশা করছি।’
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘মুলাসহ অন্যান্য সবজি বারোমাস যেন চাষ করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলে ১০-১৫ হেক্টর জমিতে সারা বছরই কৃষকেরা মুলা চাষ করছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মুজাহিদ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবজি উৎপাদনে দেশের অন্যতম একটি উপজেলা শিবগঞ্জ। এই অঞ্চলের কৃষকেরা সারা বছরই বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করে থাকেন। অসময়ের ফসল চাষেও দক্ষ তাঁরা। তাঁদের চাহিদামতো মাঝে মাঝে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ (বীজ, সার, কীটনাশক) বিতরণ করে থাকি। এ ছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নিরাপদ ফসল চাষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
মুলা শীতকালীন সবজি হিসেবেই দেশে পরিচিত। ধারণা ছিল, শীতকালীন সবজি অন্য মৌসুমে চাষ করা অসম্ভব। কিন্তু স্থানীয় কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের কৃষকেরা। এই উপজেলার কৃষকদের কাছে মুলা এখন তিন মৌসুমে সফলভাবে চাষযোগ্য সবজি।
শিবগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে মুলা। সাধারণত বেলে দোআঁশ মাটি মুলা চাষের জন্য উপযোগী। বীজ রোপণের ৪০-৪২ দিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয় এই সবজি।
সরেজমিনে মোকামতলা, বাঘমারা, তালিবপুর, কৃষ্ণপুর, মধুপুর, আঁচলাইসহ শিবগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকায় গেলে মুলা খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কৃষকদের। এ সময় তাঁরা বলেন, বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ মুলা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। বর্তমান বাজারে এক বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ১ লাখ টাকার মুলা বিক্রি করা যায়। বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে অধিক টাকা ঘরে আনতে মুলা চাষ লাভজনক।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মাজেদ জানান, ‘আমরা বারোমাসই মুলা চাষ করি। বছরে তিন থেকে চারবার এই ফসল করা যায়। আমি তিন বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছি। পাইকারেরা ৩ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন। আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আমি বিক্রি করতে রাজি হইনি।’
কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে মুলা বাজারে তুলব। এখন দাম ভালো হওয়ায় ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি।’
রহবল পশ্চিমপাড়ার কৃষক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বারোমাসই যে মুলা চাষ করা যায় আগে কখনো ভাবিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি এবার ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই মুলা তোলা যাবে। ৫০ শতক জমিতে কমপক্ষে ১৩০ মণ ফলনের আশা করছি।’
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘মুলাসহ অন্যান্য সবজি বারোমাস যেন চাষ করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলে ১০-১৫ হেক্টর জমিতে সারা বছরই কৃষকেরা মুলা চাষ করছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মুজাহিদ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবজি উৎপাদনে দেশের অন্যতম একটি উপজেলা শিবগঞ্জ। এই অঞ্চলের কৃষকেরা সারা বছরই বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করে থাকেন। অসময়ের ফসল চাষেও দক্ষ তাঁরা। তাঁদের চাহিদামতো মাঝে মাঝে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ (বীজ, সার, কীটনাশক) বিতরণ করে থাকি। এ ছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নিরাপদ ফসল চাষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৪ ঘণ্টা আগে