রিমন রহমান, রাজশাহী
পানিপিয়া ইয়ুথ ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ফজলুল হক। এ বিষয়ে ক্যাম্পের প্রশাসক ক্যাপ্টেন আর কে শর্মা এবং ইনচার্জ মো. মুহসীন স্বাক্ষরিত তাঁর সনদপত্র রয়েছে। স্বাধীনতার পর মিলিশিয়া ক্যাম্পে যোগ দিয়ে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর সই করা সনদপত্রও পেয়েছেন। ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু এখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পাননি তিনি।
রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ আমবাগান মহল্লায় রেললাইনের পাশে ছোট এক বাড়িতে বাস করেন ফজলুল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে আবাসিক হল বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুরের বাড়ি ফিরে যান। এরপর যুদ্ধে অংশ নিতে সীমান্ত পেরিয়ে যান ভারতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিটারি সায়েন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি পড়ার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেক যুবককে তিনি প্রশিক্ষণ দেন। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, কিন্তু স্বীকৃতি পাননি তিনি। আদৌ স্বীকৃতি পাবেন কি না, তা জানেন না ৭৪ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।
সম্প্রতি আলাপকালে ফজলুল জানান, তিনি ১৯৭৫ সালে অগ্রণী ব্যাংকে যোগ দেন এবং ২০০৩ সালে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালের দিকে প্রথম যখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা শুরু হয়, তখন তিনি জানতেই পারেননি। দ্বিতীয় দফায় তিনি আবেদন করেন কিন্তু তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পরে চট্টগ্রামে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে আর এগোতে পারেননি। অবসরের পর তালিকাভুক্ত হতে কয়েক দফা আবেদন করেছেন। সবশেষ ২০১৭ সালে তাঁর ছেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ২০২২ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে আরেক দফা মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠান, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি এখনো তাঁর কাগজপত্র নিয়ে এর-ওর কাছে ঘুরে বেড়ান।
ফজলুল বলেন, ‘সব জায়গায় আমার নাম আছে। আমার কাছে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। তাঁরা খোঁজ নেন, সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমি এখনো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি। অবসর জীবনে আমি এখন চরম আর্থিক সংকটে আছি। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা পেলে পরিবার উপকৃত হবে। মৃত্যুর আগে আমি এই স্বীকৃতি পাব কি না, তা জানি না। এটাই আমার জীবনের শেষ চাওয়া।’
পানিপিয়া ইয়ুথ ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ফজলুল হক। এ বিষয়ে ক্যাম্পের প্রশাসক ক্যাপ্টেন আর কে শর্মা এবং ইনচার্জ মো. মুহসীন স্বাক্ষরিত তাঁর সনদপত্র রয়েছে। স্বাধীনতার পর মিলিশিয়া ক্যাম্পে যোগ দিয়ে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর সই করা সনদপত্রও পেয়েছেন। ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু এখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পাননি তিনি।
রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ আমবাগান মহল্লায় রেললাইনের পাশে ছোট এক বাড়িতে বাস করেন ফজলুল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে আবাসিক হল বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুরের বাড়ি ফিরে যান। এরপর যুদ্ধে অংশ নিতে সীমান্ত পেরিয়ে যান ভারতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিটারি সায়েন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি পড়ার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেক যুবককে তিনি প্রশিক্ষণ দেন। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, কিন্তু স্বীকৃতি পাননি তিনি। আদৌ স্বীকৃতি পাবেন কি না, তা জানেন না ৭৪ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।
সম্প্রতি আলাপকালে ফজলুল জানান, তিনি ১৯৭৫ সালে অগ্রণী ব্যাংকে যোগ দেন এবং ২০০৩ সালে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালের দিকে প্রথম যখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা শুরু হয়, তখন তিনি জানতেই পারেননি। দ্বিতীয় দফায় তিনি আবেদন করেন কিন্তু তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পরে চট্টগ্রামে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে আর এগোতে পারেননি। অবসরের পর তালিকাভুক্ত হতে কয়েক দফা আবেদন করেছেন। সবশেষ ২০১৭ সালে তাঁর ছেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ২০২২ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে আরেক দফা মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠান, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি এখনো তাঁর কাগজপত্র নিয়ে এর-ওর কাছে ঘুরে বেড়ান।
ফজলুল বলেন, ‘সব জায়গায় আমার নাম আছে। আমার কাছে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। তাঁরা খোঁজ নেন, সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমি এখনো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি। অবসর জীবনে আমি এখন চরম আর্থিক সংকটে আছি। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা পেলে পরিবার উপকৃত হবে। মৃত্যুর আগে আমি এই স্বীকৃতি পাব কি না, তা জানি না। এটাই আমার জীবনের শেষ চাওয়া।’
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
২৩ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
২৬ মিনিট আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
৪১ মিনিট আগে