চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বোরো মৌসুমে কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত কৃষকদের পরিবর্তে বহিরাগত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম (এলএসডি) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনলাইনে আবেদন করে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার কথা থাকলেও এই উপজেলায় হয়েছে উল্টো। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বোরো মৌসুমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির জন্য ‘কৃষকের অ্যাপ (নতুন অ্যাপ)’-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করেন কৃষকেরা। অনলাইন থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়। গোমস্তাপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা থেকে ১ হাজার ৮৩৩ জন কৃষকের আবেদনের বিপরীতে ৩৬২ জন কৃষক নির্বাচিত হন। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে তিন টন হিসাবে ১ হাজার ৮৫ টন ধান ক্রয়ের কথা খাদ্যগুদামের। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গত ২৫ মে থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়; যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩১ আগস্ট। কিন্তু সেটা না করে সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ধান ক্রয় করেছেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা।
এমনকি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ২২ জুন থেকে উন্মুক্ত করে ধান ক্রয় করেন ৩০ জুনের মধ্যে।
অভিযোগ রয়েছে, গোমস্তাপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুনায়েদ কবীর বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অবৈধ সুযোগ নিয়ে ধান ক্রয় করেছেন। প্রতিটি কার্ডের বিনিময়ে দুই হাজার টাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছেন এলএসডি কর্মকর্তা। সেই সিন্ডিকেটে ছিলেন ধান-চাল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ওরফে কোয়েল, সেরাজুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম ওরফে বকুল। এদিকে তালিকাভুক্ত কয়েকজন কৃষক গুদামে একাধিকবার ধান বিক্রি করতে গেলে বরাদ্দের ধান কেনা শেষ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
লটারিতে নাম ওঠা গোমস্তাপুর ইউনিয়নের কৃষক জুলমাত আলী বলেন, ‘আমরা চারজন বন্ধু ধান দেওয়ার জন্য অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম। সময়ও ছিল। কিন্তু ধান দিতে গিয়ে শুনি, ধান নেবে না। গুদাম কর্মকর্তা বলেন, আগে কেন আসোনি। এখন ধান নিতে পারব না, ধান নেওয়া শেষ হয়ে গেছে।’
কৃষাণী কুবেরা বেগম বলেন, ‘সরকারি শর্ত পূরণ করে ধান রেডি করে গুদামে বিক্রি করতে গেলে বলে, ধান কেনা শেষের পথে। খুব অনুরোধ করে তিন টনের মধ্যে ২৫ বস্তা ধান কম নিয়েছে। শুনেছি, সিন্ডিকেটের ধান ঘুষের বিনিময়ে গুদাম কর্মকর্তা কিনে নিয়েছেন। এতে আমার মতো আরও বহু প্রান্তিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর এমন ঘটনা আশা করিনি।’
আলীনগর এলাকার কৃষক মনজুর রহমান জানান, তিনি নিজে খাদ্যগুদামে ধান দেননি। টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে কার্ড বিক্রি করেছেন। তবে কত টাকায় বিক্রি করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি কৃষক মনজুর।
একই এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার কার্ড নিয়ে ধান দিয়েছে এলাকার এক চাচাতো ভাই। আমি নিজের ধান দিইনি।’
গোমস্তাপুর এলাকার কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ‘দেড় মাস আগে ধান দিয়েছি। সরকারি গুদামে ধান দিতে গিয়ে আমি অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কৃষক জানান, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে গুদামের লোকজন অনেক অজুহাত দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোমস্তাপুর এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুনায়েদ কবীরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি তিনি।
এ বিষয়ে কথা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ উপজেলায় ৩ হাজার ৮২০ টন ধান নেওয়ার কথা ছিল। সেটা ১৫ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অফিশিয়াল নির্দেশনা ছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩০ জুনের মধ্যে ধান কেনা শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়।’ নির্বাচিত কৃষকের বাইরে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহন আহমেদ বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি লিখিত অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। গুদাম পরিদর্শন করে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বোরো মৌসুমে কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত কৃষকদের পরিবর্তে বহিরাগত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম (এলএসডি) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনলাইনে আবেদন করে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার কথা থাকলেও এই উপজেলায় হয়েছে উল্টো। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বোরো মৌসুমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির জন্য ‘কৃষকের অ্যাপ (নতুন অ্যাপ)’-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করেন কৃষকেরা। অনলাইন থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়। গোমস্তাপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা থেকে ১ হাজার ৮৩৩ জন কৃষকের আবেদনের বিপরীতে ৩৬২ জন কৃষক নির্বাচিত হন। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে তিন টন হিসাবে ১ হাজার ৮৫ টন ধান ক্রয়ের কথা খাদ্যগুদামের। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গত ২৫ মে থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়; যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩১ আগস্ট। কিন্তু সেটা না করে সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ধান ক্রয় করেছেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা।
এমনকি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ২২ জুন থেকে উন্মুক্ত করে ধান ক্রয় করেন ৩০ জুনের মধ্যে।
অভিযোগ রয়েছে, গোমস্তাপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুনায়েদ কবীর বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অবৈধ সুযোগ নিয়ে ধান ক্রয় করেছেন। প্রতিটি কার্ডের বিনিময়ে দুই হাজার টাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছেন এলএসডি কর্মকর্তা। সেই সিন্ডিকেটে ছিলেন ধান-চাল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ওরফে কোয়েল, সেরাজুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম ওরফে বকুল। এদিকে তালিকাভুক্ত কয়েকজন কৃষক গুদামে একাধিকবার ধান বিক্রি করতে গেলে বরাদ্দের ধান কেনা শেষ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
লটারিতে নাম ওঠা গোমস্তাপুর ইউনিয়নের কৃষক জুলমাত আলী বলেন, ‘আমরা চারজন বন্ধু ধান দেওয়ার জন্য অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম। সময়ও ছিল। কিন্তু ধান দিতে গিয়ে শুনি, ধান নেবে না। গুদাম কর্মকর্তা বলেন, আগে কেন আসোনি। এখন ধান নিতে পারব না, ধান নেওয়া শেষ হয়ে গেছে।’
কৃষাণী কুবেরা বেগম বলেন, ‘সরকারি শর্ত পূরণ করে ধান রেডি করে গুদামে বিক্রি করতে গেলে বলে, ধান কেনা শেষের পথে। খুব অনুরোধ করে তিন টনের মধ্যে ২৫ বস্তা ধান কম নিয়েছে। শুনেছি, সিন্ডিকেটের ধান ঘুষের বিনিময়ে গুদাম কর্মকর্তা কিনে নিয়েছেন। এতে আমার মতো আরও বহু প্রান্তিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর এমন ঘটনা আশা করিনি।’
আলীনগর এলাকার কৃষক মনজুর রহমান জানান, তিনি নিজে খাদ্যগুদামে ধান দেননি। টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে কার্ড বিক্রি করেছেন। তবে কত টাকায় বিক্রি করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি কৃষক মনজুর।
একই এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার কার্ড নিয়ে ধান দিয়েছে এলাকার এক চাচাতো ভাই। আমি নিজের ধান দিইনি।’
গোমস্তাপুর এলাকার কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ‘দেড় মাস আগে ধান দিয়েছি। সরকারি গুদামে ধান দিতে গিয়ে আমি অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কৃষক জানান, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে গুদামের লোকজন অনেক অজুহাত দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোমস্তাপুর এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুনায়েদ কবীরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি তিনি।
এ বিষয়ে কথা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ উপজেলায় ৩ হাজার ৮২০ টন ধান নেওয়ার কথা ছিল। সেটা ১৫ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অফিশিয়াল নির্দেশনা ছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩০ জুনের মধ্যে ধান কেনা শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়।’ নির্বাচিত কৃষকের বাইরে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহন আহমেদ বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি লিখিত অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। গুদাম পরিদর্শন করে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে