চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহীদ সাটু হল অডিটরিয়ামে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকায় আন্দোলনে শহীদ তারেক হোসেন ও মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। এ ছাড়া সভায় আন্দোলনে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা ও আহতরা বিভীষিকাময় দিনগুলো স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন।
শহীদ তারেক হোসেনের বাবা আসাদুল ইসলাম এবং শহীদ মতিউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা বেগম বিভীষিকাময় সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন। দেশের জন্য শহীদ হওয়া মানুষদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তাঁরা বলেন, এই সোনার বাংলা যেন কোনো অপশক্তি কেড়ে নিতে না পারে। সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমাম হোসেন নামে এক যুবক। তিনি বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে ৫ আগস্ট সকালে রামপুরা হয়ে শাহবাগের দিকে রওনা দেন তিনি। এরপর রামপুরা এলাকায় হঠাৎ পুলিশ গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় গলায় ও বাঁ চোখে মোট তিনটি গুলিবিদ্ধ হয়।
অঝোরে কেঁদে কেঁদে ইমাম বলেন, ‘কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, এক চোখ পুরো অন্ধকার। জানি না অন্ধকার চোখে আলো আসবে কি না। তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন দেশে ইতিহাস রচিত হয়েছে, সে ইতিহাস যেন ধরে রাখা যায়। এ জন্য রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
ইমাম হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়। প্রতিবন্ধী বাবার সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকায় একটি চাকরির জন্য গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রাহিম বলেন, ‘এই আন্দোলন জেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়। এই দেশের নেতৃত্বদানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদ উল্লেখ করেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার কারণে আহতরা সময়মতো চিকিৎসা পাননি। ফলে অনেকেই চিরতরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে দায়ের হওয়া মামলাগুলো সঠিক তদন্ত ও ন্যায়ের স্বার্থে মনিটরিং করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ রক্ষা এবং শহীদ ও আহতদের পাশে থাকার জন্য জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।’
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ তারেক হোসেন ও মতিউর রহমানের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা এবং উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়া আহত ১১ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ও উপহার দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহীদ সাটু হল অডিটরিয়ামে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকায় আন্দোলনে শহীদ তারেক হোসেন ও মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। এ ছাড়া সভায় আন্দোলনে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা ও আহতরা বিভীষিকাময় দিনগুলো স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন।
শহীদ তারেক হোসেনের বাবা আসাদুল ইসলাম এবং শহীদ মতিউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা বেগম বিভীষিকাময় সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন। দেশের জন্য শহীদ হওয়া মানুষদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তাঁরা বলেন, এই সোনার বাংলা যেন কোনো অপশক্তি কেড়ে নিতে না পারে। সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমাম হোসেন নামে এক যুবক। তিনি বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে ৫ আগস্ট সকালে রামপুরা হয়ে শাহবাগের দিকে রওনা দেন তিনি। এরপর রামপুরা এলাকায় হঠাৎ পুলিশ গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় গলায় ও বাঁ চোখে মোট তিনটি গুলিবিদ্ধ হয়।
অঝোরে কেঁদে কেঁদে ইমাম বলেন, ‘কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, এক চোখ পুরো অন্ধকার। জানি না অন্ধকার চোখে আলো আসবে কি না। তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন দেশে ইতিহাস রচিত হয়েছে, সে ইতিহাস যেন ধরে রাখা যায়। এ জন্য রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
ইমাম হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়। প্রতিবন্ধী বাবার সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকায় একটি চাকরির জন্য গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রাহিম বলেন, ‘এই আন্দোলন জেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়। এই দেশের নেতৃত্বদানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদ উল্লেখ করেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার কারণে আহতরা সময়মতো চিকিৎসা পাননি। ফলে অনেকেই চিরতরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে দায়ের হওয়া মামলাগুলো সঠিক তদন্ত ও ন্যায়ের স্বার্থে মনিটরিং করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ রক্ষা এবং শহীদ ও আহতদের পাশে থাকার জন্য জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।’
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ তারেক হোসেন ও মতিউর রহমানের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা এবং উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়া আহত ১১ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ও উপহার দেওয়া হয়।
রাজধানীর ফকিরাপুলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মতিন মিয়া (৩৫) নামে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মারীখালী নদী থেকে অজ্ঞাত এক নারীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় মারীখালি নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
১ ঘণ্টা আগে