Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সহকারী শিক্ষকের প্রতি পদে লড়বেন ৬০ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সহকারী শিক্ষকের প্রতি পদে লড়বেন ৬০ জন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৭ হাজার ৯৬২ জন অংশ নিচ্ছেন। এ জেলায় এই পদে ২৯৫ জনের চাহিদা রয়েছে। এ হিসাবে প্রতিটি পদের জন্য লড়াই করবেন ৬০ জনের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৯টি কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত ৫ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০-এর লিখিত পরীক্ষা ২২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের পরীক্ষায় জেলার ১৭ হাজার ৯৬২ জন চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নিচ্ছে। জেলার ১৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৯৫ জন সহকারী শিক্ষকের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে এ ধাপে ২৯৫ জন শিক্ষক নেওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন করে পদ শূন্য হয়েছে। এ জন্য নিয়োগের সংখ্যাটা কম-বেশি হতে পারে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-সংক্রান্ত একটি প্রচারপত্র পাঠায় জেলা প্রশাসন। প্রচারপত্রে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে প্রার্থীকে আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করা যাবে না। পরীক্ষার্থী অবশ্যই তাঁর নির্ধারিত আসনে বসবেন। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজানো হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এর পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা কেন্দ্র থেকে বের হতে দেওয়া হবে না। এ সময়ের পর ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত কাউকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতে দেওয়া হবে না। 

নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিকস হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখতে দেওয়া যাবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তাঁকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত