ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে জন্য ক্ষতিকর ‘অবরোধ, হরতাল ও জ্বালাও পোড়াও’ কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি’র ব্যানারে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য লাউ শসা, পেয়ারা, মুলা ইত্যাদি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় তারা উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক, খামারি ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার চাষি ও প্রান্তিক কৃষকেরা সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে কৃষকেরা জানান, বর্তমান বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের খাবার জোগানোর কাজে নিবেদিত কৃষকেরা আজ বিভিন্ন কারণে চরমভাবে উপেক্ষিত ও অবহেলিত। বিগত সময়ে করোনা, বন্যা, খরা, হরতাল, অবরোধ, আম্ফান, ঘূর্ণিঝড়সহ জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি, পরিবহন ধর্মঘট, বাজার দরে ধসসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ছিল কৃষকেরা। পরিস্থিতি কিছুটা মোকাবিলা করে কৃষকেরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তারা হরতাল অবরোধের মতো অমানবিক কর্মসূচি মুখোমুখি হয়েছেন। এ অবস্থায় তারা কৃষির উৎপাদন বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিয়ে মহাসংকটে পড়েছেন।
কৃষক আবুল হাসান জানান, ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার ওপরে কৃষিপণ্য বেচাকেনা ও দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। অবরোধের কারণে তারা কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।
বর্তমান সরকারি দল, বিএনপি জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলের না। একটাই পরিচয় আমরা কৃষক, দেশের ১৮ হাজার মানুষের জন্য আমরা ফসল ফলাই। তাই আপনারা এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না; যাতে কৃষকদের আবারও নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হয়। আমাদের বিশ্বাস, কৃষি ও কৃষকদের এই মর্মবেদনা আপনারা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবেন।’
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজ বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দলের কাছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দাবি জানাই—দেশ থেকে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও তুলে নিতে হবে। কৃষক ও কৃষির ক্ষতি করে এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে এ দাবি না মানলে, আমরা অচিরেই দেশের সকল কৃষকদের কাঁধে লাঙল, জোয়াল ও কাস্তে হাতে নিয়ে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করব।’
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় সংবাদ উপস্থিত ছিলেন—নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষক মিজানুর রহমান ওরফে মালটা মিজান, পদকপ্রাপ্ত কৃষাণী বেলি বেগম, মৎস্য খামারি হাবিবুর রহমান হাবিব ওরফে মাছ হাবিব, পদকপ্রাপ্ত কৃষক জাহিদুল ইসলাম ওরফে গাজর জাহিদ, পদকপ্রাপ্ত কৃষক শাহিনুজ্জামান, কৃষক ওয়াজ উদ্দিন, সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে জন্য ক্ষতিকর ‘অবরোধ, হরতাল ও জ্বালাও পোড়াও’ কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি’র ব্যানারে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য লাউ শসা, পেয়ারা, মুলা ইত্যাদি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় তারা উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক, খামারি ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার চাষি ও প্রান্তিক কৃষকেরা সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে কৃষকেরা জানান, বর্তমান বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের খাবার জোগানোর কাজে নিবেদিত কৃষকেরা আজ বিভিন্ন কারণে চরমভাবে উপেক্ষিত ও অবহেলিত। বিগত সময়ে করোনা, বন্যা, খরা, হরতাল, অবরোধ, আম্ফান, ঘূর্ণিঝড়সহ জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি, পরিবহন ধর্মঘট, বাজার দরে ধসসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ছিল কৃষকেরা। পরিস্থিতি কিছুটা মোকাবিলা করে কৃষকেরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তারা হরতাল অবরোধের মতো অমানবিক কর্মসূচি মুখোমুখি হয়েছেন। এ অবস্থায় তারা কৃষির উৎপাদন বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিয়ে মহাসংকটে পড়েছেন।
কৃষক আবুল হাসান জানান, ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার ওপরে কৃষিপণ্য বেচাকেনা ও দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। অবরোধের কারণে তারা কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।
বর্তমান সরকারি দল, বিএনপি জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলের না। একটাই পরিচয় আমরা কৃষক, দেশের ১৮ হাজার মানুষের জন্য আমরা ফসল ফলাই। তাই আপনারা এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না; যাতে কৃষকদের আবারও নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হয়। আমাদের বিশ্বাস, কৃষি ও কৃষকদের এই মর্মবেদনা আপনারা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবেন।’
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজ বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দলের কাছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দাবি জানাই—দেশ থেকে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও তুলে নিতে হবে। কৃষক ও কৃষির ক্ষতি করে এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে এ দাবি না মানলে, আমরা অচিরেই দেশের সকল কৃষকদের কাঁধে লাঙল, জোয়াল ও কাস্তে হাতে নিয়ে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করব।’
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় সংবাদ উপস্থিত ছিলেন—নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষক মিজানুর রহমান ওরফে মালটা মিজান, পদকপ্রাপ্ত কৃষাণী বেলি বেগম, মৎস্য খামারি হাবিবুর রহমান হাবিব ওরফে মাছ হাবিব, পদকপ্রাপ্ত কৃষক জাহিদুল ইসলাম ওরফে গাজর জাহিদ, পদকপ্রাপ্ত কৃষক শাহিনুজ্জামান, কৃষক ওয়াজ উদ্দিন, সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টরদের পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর আদাবরে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং নবদিগন্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সড়কে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগেফেনী পুলিশ লাইনসে সহকর্মীর বঁটির কোপে মো. রহমত আলী (৫৪) নামের বিশেষ আনসারের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আনসার সদস্য আলী মনোয়ার হোসেনকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ লাইনসের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের বিরুদ্ধে নিজ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এবং সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জায়গা পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দিয়েছেন। ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অস্থায়ী ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে সরকারি এই জায়গা দেওয়া হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে