Ajker Patrika

দুর্নীতি আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী 

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
দুর্নীতি আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘দেশ হিসেবে অনেক আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দুর্নীতির প্রকারভেদ আছে। তবে সুশিক্ষায় আলোকিত মানুষ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতিকে মেনে নিতে পারে না।’ 

আজ শুক্রবার সকালে বাঘা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ ও বেগম রোকেয়া দিবস শীর্ষক পৃথক দুটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, এমপি। 

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত। উন্নত শিক্ষার প্রসার বৃদ্ধি, সমাজ থেকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা দূরীকরণ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও নারীর ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে গেছেন তিনি। এ আন্দোলনকে সার্থক করতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়।’ 

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আরও বলেন, ‘এ কারণে সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতিবছর বেগম রোকেয়া দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী নানা বিষয়ের ওপরে জয়িতা অন্বেষণ করে সম্মাননা পুরস্কার দিয়ে থাকেন। এটি সারা বিশ্বের কাছে এখন একটি আলোচিত বিষয়।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে, পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলীর সঞ্চালনায় পৃথক দুটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন—উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, উপজেলা দুর্নীতি বিরোধী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হাসান ঝুন্টু এবং উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মজিবুল আলম, বাঘা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সুবীর কুমার, আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহামুদুল হক ও উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মিলন কুমার দাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা। 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে স্বাবলম্বী হওয়া নারী ফাতেমা আক্তারী, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী মর্জিনা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাবিনা ইয়াসমিন এবং সমাজ উন্নয়নে সীমা বেগমের হাতে সম্মাননা পদক ও ফুলের তোড়া তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত নারী আনোয়ারা বেগম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত