গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে নির্যাতন করে বাড়ি করে বের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বৃদ্ধার ছোট ছেলের নাম শমসের মন্ডল (৩৫)। তিনি নাজিরপুর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধা গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব মামুদপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর সহধর্মিণী। খালেক মন্ডল ও শমসের মন্ডল নামে তাঁর দুই ছেলে আছে। হালিমা, ছাহেলা ও শায়লা নামে তিন মেয়ে সন্তানও আছে। নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করায় বাড়ি ছাড়তে হয় বড় ছেলেকে। তিন মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে।
জানা যায়, ২০১৩ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর ছোট সন্তান শমসের মন্ডলকে নিয়ে তাঁর নিজ নামীয় ভিটায় তিন ঘর বিশিষ্ট বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধা সুফিয়া। সুখেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ ছোট সন্তান অর্থলোভী হয়ে ওঠেন। মায়ের নামীয় সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে তাঁর। নিজ নামে লিখে নিতে মায়ের ওপর চাপ দেন তিনি। একপর্যায়ে মা জমি লিখে না দেওয়ায় মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
ঘটনাটি প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরপর থেকে স্থানীয়দের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান পাননি ওই বৃদ্ধা। পরে থানায় যান তিনি। সেখানে পর পর তিনবার অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর তিনি আদালতে যান। সেখানেও চক্রান্তের শিকার হন সুফিয়া বেগম।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর আর কোনো খবর নেওয়া হয়নি তাঁর। কৌশলে বৃদ্ধা মায়ের লিচু বাগান ও বাড়ি ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে নেন ছেলে শমসের মন্ডল।
বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম আকুতি করে জানান, তাঁর জমি ও বাড়ি লিখে না দেওয়ায় ইউপি সদস্য ছেলে তাঁকে মারপিট করেছে। আট মাস পূর্বে একরাতে ওই ছেলে এবং তাঁর বউ গলায় হাসুয়া ঠেকিয়ে হত্যা করতে লেগেছিল। পরদিন জমি লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই জীবনের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বৃদ্ধা। এখন আরেক ছেলের শ্যালকের বাড়ি মামুদপুর দক্ষিণপাড়া এলাকাতে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই বৃদ্ধা।
অভিযুক্ত ছোট ছেলে সমশের ইউপি সদস্য বলেন, ‘মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। বাড়ি তাঁর। তবে তাঁর বাগান বাড়ি মর্টগেজ রেখে ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা ওঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমি গুরুদাসপুর থানায় বেলা ৫টার দিকে অভিযোগ করেছি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে। আমি আমার বাড়ি ও জমি ফেরত চাই।’
ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, কোর্ট থেকে জামিন করা হয়েছে। জমি ও বাগান বাড়ি ফিরিয়ে দিতে শমসেরকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগটি যেহেতু মা ও ছেলের ব্যাপার। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে নির্যাতন করে বাড়ি করে বের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বৃদ্ধার ছোট ছেলের নাম শমসের মন্ডল (৩৫)। তিনি নাজিরপুর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধা গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব মামুদপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর সহধর্মিণী। খালেক মন্ডল ও শমসের মন্ডল নামে তাঁর দুই ছেলে আছে। হালিমা, ছাহেলা ও শায়লা নামে তিন মেয়ে সন্তানও আছে। নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করায় বাড়ি ছাড়তে হয় বড় ছেলেকে। তিন মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে।
জানা যায়, ২০১৩ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর ছোট সন্তান শমসের মন্ডলকে নিয়ে তাঁর নিজ নামীয় ভিটায় তিন ঘর বিশিষ্ট বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধা সুফিয়া। সুখেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ ছোট সন্তান অর্থলোভী হয়ে ওঠেন। মায়ের নামীয় সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে তাঁর। নিজ নামে লিখে নিতে মায়ের ওপর চাপ দেন তিনি। একপর্যায়ে মা জমি লিখে না দেওয়ায় মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
ঘটনাটি প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরপর থেকে স্থানীয়দের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান পাননি ওই বৃদ্ধা। পরে থানায় যান তিনি। সেখানে পর পর তিনবার অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর তিনি আদালতে যান। সেখানেও চক্রান্তের শিকার হন সুফিয়া বেগম।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর আর কোনো খবর নেওয়া হয়নি তাঁর। কৌশলে বৃদ্ধা মায়ের লিচু বাগান ও বাড়ি ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে নেন ছেলে শমসের মন্ডল।
বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম আকুতি করে জানান, তাঁর জমি ও বাড়ি লিখে না দেওয়ায় ইউপি সদস্য ছেলে তাঁকে মারপিট করেছে। আট মাস পূর্বে একরাতে ওই ছেলে এবং তাঁর বউ গলায় হাসুয়া ঠেকিয়ে হত্যা করতে লেগেছিল। পরদিন জমি লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই জীবনের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বৃদ্ধা। এখন আরেক ছেলের শ্যালকের বাড়ি মামুদপুর দক্ষিণপাড়া এলাকাতে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই বৃদ্ধা।
অভিযুক্ত ছোট ছেলে সমশের ইউপি সদস্য বলেন, ‘মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। বাড়ি তাঁর। তবে তাঁর বাগান বাড়ি মর্টগেজ রেখে ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা ওঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমি গুরুদাসপুর থানায় বেলা ৫টার দিকে অভিযোগ করেছি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে। আমি আমার বাড়ি ও জমি ফেরত চাই।’
ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, কোর্ট থেকে জামিন করা হয়েছে। জমি ও বাগান বাড়ি ফিরিয়ে দিতে শমসেরকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগটি যেহেতু মা ও ছেলের ব্যাপার। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নান্দাইলে জমি সংক্রান্ত জেরে ভাতিজার হাতে চাচা দিলোয়ার হোসেন দিলু (৪৫) খুন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১লা মে) নান্দাইল উপজেলার মুসুল্লি ইউনিয়নের শুভখিলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক ভাতিজা এনামুলকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ‘ফেমডম সেশনের’ নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)।
৮ ঘণ্টা আগেশ্রম দেওয়া ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা বাংলাদেশের আইনে নেই। এ কারণে প্রচলিত আইনে শ্রমিকেরা মালিকের বা পুঁজিপতিদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে আছে। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর পরিবাগ ডিসিসি সুপার মার্কেট প্রাঙ্গনে যুব বাঙালি আয়োজিত ‘মহান মে দিবসে ‘শ্রম-কর্ম...
৯ ঘণ্টা আগেনীলফামারী ইপিজেডে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বেলাল হোসেন (২৩) নামের এক নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক বেলাল হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার ভদ্রঘাটের নুরুজ্জামানের ছেলে।
৯ ঘণ্টা আগে