Ajker Patrika

গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র হতে চান ৯ জন

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ০০
গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র হতে চান ৯ জন

এক মাস পর রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই ভোটের মাঠে আসতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন স্থানীয় অন্তত ৯ জন নেতা। এর মধ্যে সাতজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। আর একজন করে আছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতা।

এখানে আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যে যাঁর মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির এক নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি দলীয় প্রতীক নেবেন না বলে জানিয়েছেন। আর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানোর কারণে জামায়াতের নেতাকে নির্বাচন করতে হবে স্বতন্ত্রভাবেই।

তবে এখানে নির্বাচন করতে চান সাবেক মেয়র ও জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম। আর এ কারণে গত রোববার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেছে জেলা (পশ্চিম) জামায়াতের শুরা সংগঠন। আমিনুল জেলা পশ্চিম জামায়াতের রোকন ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গোদাগাড়ী পৌর জামায়াতের অফিস সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ আল মারুফকেও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা আমিনুল ইসলামের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সমর্থন করছেন।

জানতে চাইলে বহিষ্কারের সুপারিশের বিষয়টি স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেননি জেলা (পশ্চিম) জামায়াতের আমির আবদুল খালেক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এখনো বলার মতো পর্যায়ে নেই। তবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই না। কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাঁকে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নইলে বহিষ্কার করা হবে।’

এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলাম। গোদাগাড়ীর মানুষ চাইছে আমি আবার নির্বাচন করি। এ কারণেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে কারণে আমাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তার পরও আমি নির্বাচন করতে চাই।’

জামায়াতের এই নেতাকে সরিয়ে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো মেয়র হন আওয়ামী লীগের নেতা মনিরুল ইসলাম বাবু। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচন করে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হন। গত এপ্রিলে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে মারা যান বাবু। আর তাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপনির্বাচন।

সর্বশেষ নির্বাচনে নৌকা পেয়েও বাবুর কাছে হেরেছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। এবার তিনি আবারও মনোনয়ন চাইছেন। সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন চান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য রবিউল আলম, সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, পৌর যুবলীগের সভাপতি আকবর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মুক্তি, প্রয়াত মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস এবং পৌর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহানাজ আক্তার।

গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া রুলু সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবারও তিনি নির্বাচন করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতে চাই। তবে সেটা দলীয় প্রতীকে নয়।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, উপনির্বাচনের জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। যাচাই-বাছাই হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রচার-প্রচারণা শেষে ভোট গ্রহণ করা হবে ৭ অক্টোবর। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত