Ajker Patrika

সব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ, সাবেক ও বর্তমান এমপিতে বিভক্ত পুঠিয়া আ. লীগ

প্রতিনিধি, পুঠিয়া (রাজশাহী)
সব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ, সাবেক ও বর্তমান এমপিতে বিভক্ত পুঠিয়া আ. লীগ

সাবেক ও বর্তমান এমপিতে বিভক্ত রাজশাহীর পুঠিয়া আওয়ামী লীগ। দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচির বিভিন্ন আয়োজনও করা হয় আলাদা স্থানে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে আগে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা দরকার। এরপর নিয়ম অনুসারে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি করতে পারলে দলের সবাই আবার এক কাতারে আসবেন।

উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হোন সাবেক সংসদ সদ্য ও বর্তমান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তবে সাবেক এমপির ‘একলা চল রে’ নীতি ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নই বিভক্তির কারণ বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আব্দুল ওয়াদুদ দারা এর আগে এমপি থাকাকালীন ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি আরও বাড়ে। সে সময় দলীয় কাউন্সিল করতে গিয়ে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর থেকে দলের নেতাকর্মীরা প্রধান দুই ভাগে বিভক্ত। যার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে দল থেকে আর মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন পান ডা. মনসুর রহমান। ভোটে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরোধী একটি অংশ বর্তমান এমপি মনসুর রহমানের গ্রুপে যুক্ত হয়েছে। 

আমজাদ হোসেন নামের একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সাবেক এমপি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘদিন নির্বাচনী এলাকায় আসেননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় আসা-যাওয়া শুরু করেছেন। এর মধ্যে দলের বড় একটি অংশের নেতাকর্মীরা বর্তমান এমপি ডা. মনসুর রহমান ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারার অনুসারী হিসেবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। দুটি গ্রুপই দলীয় ও জাতীয় একই অনুষ্ঠান আলাদা স্থানে আয়োজন করেন। সাবেক এমপি সমর্থিতরা বানেশ্বর ও বর্তমান এমপির পক্ষে পুঠিয়া সদর এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

এ বিষয়ে সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, কয়েক বছর আগেই উপজেলার সব কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। চলতি বছরের ৬ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এখন পরিস্থিতি বুঝে সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। আশা করছি, স্বচ্ছতার মাধ্যমে দলে নতুন নেতৃত্ব এলে সবাই বিভেদ ভুলে এক কাতারে আসবেন। 

একই কথা বলেন বর্তমান এমপি ডা. মনসুর রহমান। তিনিও সংকট নিরসনে দ্রুত সম্মেলন আয়োজনই একমাত্র পথ বলে মনে করেন। এমপি বলেন, কমিটিগুলোর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন নতুন সম্মেলনের কাজ চলছে। দলের মধ্যে বিভক্তি নিরসন করতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব দরকার। আর সম্মেলনের বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তদারক করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত