চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটের ফসলি মাঠ যেন সবুজের নকশিকাঁথা। নয়নাভিরাম বোরো ধানগাছে আন্দোলিত হচ্ছে কৃষকের হৃদয়। সেচ ও সারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও বুকভরা আশা নিয়ে কৃষকেরা ধানের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। তবে সেই স্বপ্নে হানা দিয়েছে ইঁদুর। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধানগাছ ইঁদুর কেটে নষ্ট করে দিচ্ছে। ইঁদুর নিধনে বিভিন্ন ফাঁদ পাতলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কিছু ধানগাছে শিষ বেরিয়েছে। এমন সময় গাছগুলো ইঁদুরে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে চারঘাট উপজেলায় ২ হাজার ৪৯০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। উচ্চফলনশীল (উফশি) ও হাইব্রিড জাতের চারা রোপণ করা হয়েছে। এদিকে বোরো আবাদ বাড়াতে সরকারিভাবে কৃষকদের বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার নিমপাড়া, সরদহ ও শলুয়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে গিয়ে ইঁদুরে কাটা ধানগাছগুলো মনে হচ্ছে কেউ যেন ধারালো কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছে। ইঁদুর নিধনেও হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। ইঁদুর নিধনে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি কেউ কেউ সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশ ও কাঠের তৈরি ইঁদুর মারার ফাঁদ ব্যবহার করছেন। আবার অনেকে ইঁদুর তাড়াতে খেতে নিষিদ্ধ পলিথিনও টাঙিয়ে রাখছেন।
এ বিষয়ে সরদহ ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, ‘জলাবদ্ধতার কারণে আমনের ভালো ফলন না হওয়ায় বাড়তি খরচে বোরো আবাদ করেছিলাম। কিন্তু বোরো ধানগাছও ইঁদুর কেটে ফেলছে। ইঁদুরের উৎপাতে এখন আমার মাথা কাজ করছে না। ইঁদুর যেভাবে উৎপাত শুরু করেছে, তাতে শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, ইঁদুর নিধনে ওষুধের পাশাপাশি ইঁদুর মারার কল ব্যবহার করেও ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। একপ্রকার বাধ্য হয়ে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছি। বাতাসে কাগজ উড়লে শব্দ হয়, সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাঁরা প্রতিদিন মাঠে গিয়ে কৃষকদের ইঁদুর মারার পদ্ধতি দেখিয়ে দিচ্ছেন। ধানগাছ রক্ষা করতে জমির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
রাজশাহীর চারঘাটের ফসলি মাঠ যেন সবুজের নকশিকাঁথা। নয়নাভিরাম বোরো ধানগাছে আন্দোলিত হচ্ছে কৃষকের হৃদয়। সেচ ও সারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও বুকভরা আশা নিয়ে কৃষকেরা ধানের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। তবে সেই স্বপ্নে হানা দিয়েছে ইঁদুর। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধানগাছ ইঁদুর কেটে নষ্ট করে দিচ্ছে। ইঁদুর নিধনে বিভিন্ন ফাঁদ পাতলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কিছু ধানগাছে শিষ বেরিয়েছে। এমন সময় গাছগুলো ইঁদুরে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে চারঘাট উপজেলায় ২ হাজার ৪৯০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। উচ্চফলনশীল (উফশি) ও হাইব্রিড জাতের চারা রোপণ করা হয়েছে। এদিকে বোরো আবাদ বাড়াতে সরকারিভাবে কৃষকদের বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার নিমপাড়া, সরদহ ও শলুয়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে গিয়ে ইঁদুরে কাটা ধানগাছগুলো মনে হচ্ছে কেউ যেন ধারালো কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছে। ইঁদুর নিধনেও হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। ইঁদুর নিধনে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি কেউ কেউ সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশ ও কাঠের তৈরি ইঁদুর মারার ফাঁদ ব্যবহার করছেন। আবার অনেকে ইঁদুর তাড়াতে খেতে নিষিদ্ধ পলিথিনও টাঙিয়ে রাখছেন।
এ বিষয়ে সরদহ ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, ‘জলাবদ্ধতার কারণে আমনের ভালো ফলন না হওয়ায় বাড়তি খরচে বোরো আবাদ করেছিলাম। কিন্তু বোরো ধানগাছও ইঁদুর কেটে ফেলছে। ইঁদুরের উৎপাতে এখন আমার মাথা কাজ করছে না। ইঁদুর যেভাবে উৎপাত শুরু করেছে, তাতে শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, ইঁদুর নিধনে ওষুধের পাশাপাশি ইঁদুর মারার কল ব্যবহার করেও ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। একপ্রকার বাধ্য হয়ে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছি। বাতাসে কাগজ উড়লে শব্দ হয়, সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাঁরা প্রতিদিন মাঠে গিয়ে কৃষকদের ইঁদুর মারার পদ্ধতি দেখিয়ে দিচ্ছেন। ধানগাছ রক্ষা করতে জমির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে