Ajker Patrika

ছাত্রীদের ভিডিও ধারণে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
ছাত্রীদের ভিডিও ধারণে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

বগুড়ার শিবগঞ্জে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রীদের ভিডিও চিত্র ধারণে বাঁধা দেওয়ায় বখাটেদের হামলায় প্রধান শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও অফিস রুমে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে উথলী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আজ সোমবার এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, উপজেলার উথলী উচ্চবিদ্যালয়ে রোববার থেকে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীর সঙ্গে আসা বহিরাগত চার যুবক বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বহিরাগত ওই যুবকেরা তাদের মোবাইল ফোনে অনুমতি ছাড়াই ছাত্রীদের ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করতে শুরু করে। বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসলে যুবকদের ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। এ সময় শিক্ষকেরা বহিরাগতদের বিদ্যালয় ত্যাগ করতে বললে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

এদিকে ওই ছাত্রী বাগ্বিতন্ডার বিষয়টি পরিবারকে জানালে তাঁর পরিবারের লোকজনসহ আরও ৫০-৬০ জন বহিরাগতদের নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও অফিস রুমে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। 

হামলায় আহত হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুন উর রশিদ, শিক্ষক রুহুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম, ইউছুব আলী, শিক্ষার্থী ময়নুর রহমান, লিটন মিয়া, শাকিল আহম্মেদ, রবিউল ইসলাম, রাহাত, জিম, রাকিব, স্মরণ, তামিম ও বিপ্লব। 

প্রধান শিক্ষক হাবিবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বহিরাগত চার বখাটে শিক্ষার্থী ওই ছাত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রীদের ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে থাকে। এ বিষয়ে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বখাটেরা ও বাড়ির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে আমাদের ওপর হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমরা বাঁধা দিলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহত হয়।’ 

শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষকেরা। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত