Ajker Patrika

গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন ইউএনও

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৯
গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন ইউএনও

গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে প্রায় কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। এর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি বাড়িই নির্মাণ করাচ্ছেন ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে। এ ছাড়া ডরমিটরি ও শিল্পকলা একাডেমি অফিস সংস্কারের কাজও করছেন ইউএনওর চাচাতো ভাই রাজীব রনক। এদিকে ঘরগুলো নির্মাণের ইট একটি ভাটায় পুকুর কাটতে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘর নির্মাণ দরপত্র প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে হয় না। একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনই কাজটি বাস্তবায়ন করে। এই কমিটির আহ্বায়ক ইউএনও। আর সদস্যসচিব থাকেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। এ ছাড়া কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের থাকার কথা। কিন্তু কমিটির অংশগ্রহণ ছাড়াই চাচাতো ভাইকে এনে কাজ করাচ্ছেন ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। নির্মাণ শেষ হতে চললেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কোনো সভাও হয়নি। 

পবা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অনেক আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি বাড়ি নির্মাণ হয়েছিল। ঘরগুলো ছিল টিন দিয়ে তৈরি। এগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় ইট দিয়ে বাড়ি তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের অর্থ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রতিটি বাড়ির জন্য বরাদ্দ তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের এই কাজ শুরু হয়েছে জুন মাসে। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষের দিকে। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, পিলারের ওপরের অংশে শুধু একটি করে রড দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পিলারের নিচে পুটিং ঢালাই দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটিও করা হয়নি। নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই এসব পিলার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, নিম্নমানের কাজ তাঁরা দেখছেন। ঘরগুলো নির্মাণে বরাদ্দের অন্তত অর্ধেক টাকা লুটপাট হচ্ছে। কিন্তু ইউএনওর চাচাতো ভাই রাজীব রনক কাজ করছেন বলে তাঁরা প্রতিবাদ করার সাহস পান না। 

উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। প্রায় এক বছর আগে তিনি পবার ইউএনও হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন পরই তিনি গ্রাম থেকে চাচাতো ভাই রাজীব রনককে নিয়ে আসেন। রনক এখন উপজেলা ক্যাম্পাসে ইউএনওর সরকারি বাসভবনেই থাকেন। এখন ইউএনও সব নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ তাঁর চাচাতো ভাইকে দিয়েই করান। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, কাশিয়াডাঙ্গার ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণের জন্য ইটও ঘুষ নেওয়া হয়েছে পবার হরিয়ান এলাকার একটি ইটভাটা থেকে। ওই ইটভাটার ভেতর মালিক এবং অন্য এক ব্যক্তিকে তিনটি পুকুর খনন করতে দেওয়ার বিনিময়ে ওই ইট ঘুষ নেওয়া হয়। ইট ঘুষ দিয়ে ইতিমধ্যে ওই ভাটার ভেতরে আইন লঙ্ঘন করে একটি পুকুর কাটা শেষ হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে ইটভাটার মালিক মো. রুনু মোবাইল ফোনে কথা বলতে রাজি হননি। 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণের ব্যাপারে মোবাইল ফোনে প্রথমে ছদ্মবেশে কথা হয় ইউএনওর চাচাতো ভাই রনকের সঙ্গে। তিনি তখন স্বীকার করেন, ঘরগুলো নির্মাণের কাজ তিনি একাই করাচ্ছেন। এ সময় রড লাগবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন আর রড লাগবে না। পরে পরিচয় দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রনক বলেন, চাচাতো ভাইয়ের কাছে বেড়াতে এসে তিনি শুধু কাজটি দেখাশোনা করছেন। নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কর্মকর্তারা দেখবেন। 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ৩০টি ঘর নির্মাণের বিষয়ে কোনো সভা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বাশির কোনো মন্তব্য করতে চাননি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি হয়েছে কি না সে বিষয়েও তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি হলে এই কর্মকর্তারই সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালনের কথা। 

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বাদ দিয়ে চাচাতো ভাইকে দিয়ে কাজ করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘এটা সত্য নয়। কাজ কমিটির মাধ্যমেই করা হচ্ছে। আমার চাচাতো ভাই কাজ করবে কেন? ও কিছুদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। কাজ করছে মিস্ত্রি।’ ডরমিটরি ও শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার চাচাতো ভাইকে দিয়ে করানোর অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘এটাও সত্য না। কে বলেছে এসব কথা?’ 

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কাজটা যদি ঠিকাদারের মাধ্যমে হতো এবং ইউএনওর চাচাতো ভাই যদি যোগ্যতাসম্পন্ন বৈধ ঠিকাদার হতেন, তাহলে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু যেহেতু কাজটা দরপত্র প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে হচ্ছে না, সেহেতু তিনি চাচাতো ভাইকে দিয়ে কাজ করাতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের বাসায় দুর্বৃত্তের আগুন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল, পাপোশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ওপরে থাকা বিদ্যুতের কার্ড মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানান।’

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘ধারণা করছি, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। যারা রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে উঠছে না। তবে এসবে আমি ভীত নই। যারা এই হীন কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।’

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ভিডিও করে প্রীতম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজস্ব আইডিতে আজ সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করেন। এতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এনসিপি নেতার বাড়ির গেটে আগুন দিয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনদুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে তাঁদের হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১২
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত