Ajker Patrika

কুয়াকাটায় ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রবারণা উৎসব

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ৩১
কুয়াকাটায় ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রবারণা উৎসব

আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার আকাশে শতাধিক ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা।

জানা গেছে, কুয়াকাটা ছাড়াও মহিপুরের অমখোলাপাড়া, মিশ্রিপাড়া, কলাচানপাড়া, নড়াপাড়াসহ উপজেলার সব রাখাইনপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ফানুস উৎসব। উৎসব উপলক্ষে গতকাল সকালে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা এবং দিনভর বিভিন্ন মন্দিরে ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বুদ্ধের স্মরণে ফল ও হরেকরকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধভিক্ষুদের প্রদান করেন বয়স্ক নারী-পুরুষেরা। বৌদ্ধবিহারগুলোতে বৌদ্ধভিক্ষুসহ হাজারো রাখাইন নারী-পুরুষের সমাবেশ ঘটে।

ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসা রাকিব-মিমি দম্পতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে এসে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি এই ফানুস উৎসব দেখে। আমাদের বাচ্চারা ফানুস ওড়ানো অনেক উপভোগ করেছে।’ 

কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহারের উত্তম ভিক্ষু বলেন, ‘আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে প্রবারণা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রবারণা উৎসব পালন করেছি। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে কঠিন চীবরদান উৎসব।’

উত্তম ভিক্ষু আরও বলেন, ‘এই দিনে বুদ্ধের কাছে আমাদের একটাই চাওয়া দেশ থেকে যেন সকল অশুভ শক্তি বিনাশ হয়ে যায়। পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন কল্যাণময় হোক।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেঘমুক্ত আকাশে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, তিস্তার তীরে দর্শনার্থীর ভিড়

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও সানিয়াজান নদীর তীর থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আজ সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও সানিয়াজান নদীর তীর থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আজ সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকা থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। আজ বুধবার সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ও সানিয়াজান নদীর তীর থেকে মেঘমুক্ত আকাশে এই পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। টানা কয়েক দিনের মেঘলা আবহাওয়ার পর তিন দিন ধরে কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ধরা দিচ্ছে।

আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তজোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার সাদা রুপালি চূড়া নতুন দিনের সৌন্দর্যে এক অন্যরকম আবেশ যোগ করেছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকা থেকে বিনা পাসপোর্টে ভারত বা নেপালে না গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এই দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করছেন।

ভূগোলবিদদের মতে, কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয়ের পূর্বাংশে নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার (২৮ হাজার ১৬৯ ফুট), যা এভারেস্ট ও কে-টুর পর বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। তিস্তা ব্যারাজ থেকে এই শৃঙ্গের দূরত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে প্রায়ই ধরা দেয় এর অপরূপ সৌন্দর্য।

সানিয়াজান নদীর তীর থেকে আজ সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সানিয়াজান নদীর তীর থেকে আজ সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে দূর আকাশে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিনা পাসপোর্টে ভারত বা নেপালে না গিয়ে তিস্তা ব্যারাজ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা।

মেহেদী হাসান শুভ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেয়েছি, মনে হয় যেন সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড়। এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত।’

আরএম রিমন নামের এক প্রকৃতিপ্রেমী মনে করেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তিস্তার তীরের সৌন্দর্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারাজকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেছে মাইক্রোবাস, নিহত ৫

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বুধবার সকালে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বুধবার সকালে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাসের চাপায় দুমড়েমুচড়ে গেছে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস। এতে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার জানান, ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাজাহানপুরে অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত মোফাজ্জল হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দি পণ্ডিতপাড়া গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মেহেদী হাসান জানান, মোফাজ্জল প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, কিন্তু রাতে আর ফেরেননি। বুধবার সকালে বনানী বিশ্বরোড এলাকায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেহেদী হাসানের ধারণা, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা তাঁর চাচাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ড। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন বা কাটা দাগ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি, যা ছিনতাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আজ সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমরা সবাইকে নিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব, দেরি হলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ বুধবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে তৃতীয়বারের মতো দলটির আমির নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সিলেট সফরে এসে নেতা-কর্মীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হন শফিকুর রহমান।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’

গণভোট নিয়ে আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘গণতন্ত্রের ফর্মুলা হচ্ছে একাধিক মত। তাই আমরা জনগণকে নিয়ে পিআর পদ্ধতির দাবি আদায় করে নেব। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আমাদের শ্রেষ্ঠ দাবি। আশা করি, জনগণ সেটায় সমর্থন দেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত