মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
কথাগুলো বলেছিলেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিঁপড়াখালী গ্রামের পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা মো. হারুন সিকদার। গত ৭ মে পায়রা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের খোঁজ খবর নিতে গেলে কথা হয় ওই এলাকার হারুন শিকদারসহ অনেক বাসিন্দাদের সঙ্গে।
প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলেই আতঙ্কে দিন পার করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার হাজারো পরিবার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড় আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব এলাকার ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবার। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে আগামী ১৩-১৫ মে এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। পূর্বাভাসের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন উপকূলের হাজারো পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, পটুয়াখালী জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলের অধীনে ৮২২ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া উপজেলা সার্কেলের অধীনে রয়েছে ৫১৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া পোল্ডার রয়েছে ৩৬টি। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯টি এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৭ টি।
এ ছাড়া জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৫ কিলোমিটার। জেলার সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে মির্জাগঞ্জ উপজেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, গরু ভাঙা, চরমোন্তাজ, চর আন্ডা, এবং কলাপাড়া উপজেলার, নিজামপুর, লালুয়ার ইউনিয়নের চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, মুন্সীপাড়া চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর, ধানখালী ইউনিয়ন, গলাচিপার ডাকুয়া, চর কাজল, পানপট্টি, বাউফলের ধূলিয়া, মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালীকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরাসহ এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার না ফলে প্রতিবছরই বিধ্বস্ত হয় এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে উপকূলের কৃষকরা। যাতে করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা তাঁরা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে।
রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের মো. ফাহিম হোসেন বলেন, ‘ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত: ৫টি গ্রাম তলিয়ে যায় এবং পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িসহ পুকুর, ধান খেতে। অর্থাৎ জোয়ারে ডুবে থাকে এবং ভাটায় জেগে ওঠে এ ইউনিয়নটি। এভাবে চলে দিনে-রাইতে দুই বার। এ ছাড়া যখন ঝড়ের পূর্বাভাস পাই তখন ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে আমাদের।’
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ, কে সামশুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ‘চরমোন্তাজ ইউনিয়নে প্রায় ৪৫ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একেবারে কাছে হলেও অনেক স্থানে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। যার ফলে ঝড় বন্যা হলে আমরা এ এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকি।’
মির্জাগঞ্জের ইউনিয়নের মিলন মিয়া বলেন, ‘এই নদীতে আমার বাবা ও মায়ের কবর নিয়ে গেছে তাদের কোথায় কবর দিয়েছি সেই জায়গাটা পর্যন্ত এখন বলতে পারি না। আবার জোয়ার আইলে আমরা আর বাঁচতে পারমু না।’
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো নাসির হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি তবে তাদের যদি দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পূর্ব প্রস্তুতি শুরু করব।’
কলাপাড়ার লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ‘ভাই দুঃখের কথা আর কত বলবো। শুনলাম ঘূর্ণিঝড় মোখা আসতেছে। ঝড় বন্যা হলেই ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে থাকি আমরা। আজ ১৪-১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় চলছে এ ইউনিয়নটির মানুষজন। তারপরও আমাদের এ দুর্ভোগ-দুর্দশা লাঘবের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ জেলায় বেড়িবাঁধের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এখানে ৩৬টি পোল্ডার ও ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এখানে যেহেতু সংখ্যা বেশি লেন্থ ও বেশি কাজের ঝুঁকি ও বেশি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংরক্ষণ করা হবে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের ৭০৩ টির বেশি ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলায় ৫১টি মুজিব কেল্লার বরাদ্দ ছিল। ইতিমধ্যে ২৬টি মুজিব কেল্লা উদ্বোধন হয়ে গেছে বাকিগুলোর কাজ চলছে।’

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
কথাগুলো বলেছিলেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিঁপড়াখালী গ্রামের পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা মো. হারুন সিকদার। গত ৭ মে পায়রা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের খোঁজ খবর নিতে গেলে কথা হয় ওই এলাকার হারুন শিকদারসহ অনেক বাসিন্দাদের সঙ্গে।
প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলেই আতঙ্কে দিন পার করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার হাজারো পরিবার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড় আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব এলাকার ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবার। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে আগামী ১৩-১৫ মে এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। পূর্বাভাসের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন উপকূলের হাজারো পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, পটুয়াখালী জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলের অধীনে ৮২২ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া উপজেলা সার্কেলের অধীনে রয়েছে ৫১৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া পোল্ডার রয়েছে ৩৬টি। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯টি এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৭ টি।
এ ছাড়া জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৫ কিলোমিটার। জেলার সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে মির্জাগঞ্জ উপজেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, গরু ভাঙা, চরমোন্তাজ, চর আন্ডা, এবং কলাপাড়া উপজেলার, নিজামপুর, লালুয়ার ইউনিয়নের চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, মুন্সীপাড়া চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর, ধানখালী ইউনিয়ন, গলাচিপার ডাকুয়া, চর কাজল, পানপট্টি, বাউফলের ধূলিয়া, মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালীকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরাসহ এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার না ফলে প্রতিবছরই বিধ্বস্ত হয় এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে উপকূলের কৃষকরা। যাতে করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা তাঁরা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে।
রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের মো. ফাহিম হোসেন বলেন, ‘ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত: ৫টি গ্রাম তলিয়ে যায় এবং পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িসহ পুকুর, ধান খেতে। অর্থাৎ জোয়ারে ডুবে থাকে এবং ভাটায় জেগে ওঠে এ ইউনিয়নটি। এভাবে চলে দিনে-রাইতে দুই বার। এ ছাড়া যখন ঝড়ের পূর্বাভাস পাই তখন ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে আমাদের।’
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ, কে সামশুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ‘চরমোন্তাজ ইউনিয়নে প্রায় ৪৫ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একেবারে কাছে হলেও অনেক স্থানে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। যার ফলে ঝড় বন্যা হলে আমরা এ এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকি।’
মির্জাগঞ্জের ইউনিয়নের মিলন মিয়া বলেন, ‘এই নদীতে আমার বাবা ও মায়ের কবর নিয়ে গেছে তাদের কোথায় কবর দিয়েছি সেই জায়গাটা পর্যন্ত এখন বলতে পারি না। আবার জোয়ার আইলে আমরা আর বাঁচতে পারমু না।’
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো নাসির হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি তবে তাদের যদি দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পূর্ব প্রস্তুতি শুরু করব।’
কলাপাড়ার লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ‘ভাই দুঃখের কথা আর কত বলবো। শুনলাম ঘূর্ণিঝড় মোখা আসতেছে। ঝড় বন্যা হলেই ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে থাকি আমরা। আজ ১৪-১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় চলছে এ ইউনিয়নটির মানুষজন। তারপরও আমাদের এ দুর্ভোগ-দুর্দশা লাঘবের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ জেলায় বেড়িবাঁধের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এখানে ৩৬টি পোল্ডার ও ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এখানে যেহেতু সংখ্যা বেশি লেন্থ ও বেশি কাজের ঝুঁকি ও বেশি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংরক্ষণ করা হবে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের ৭০৩ টির বেশি ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলায় ৫১টি মুজিব কেল্লার বরাদ্দ ছিল। ইতিমধ্যে ২৬টি মুজিব কেল্লা উদ্বোধন হয়ে গেছে বাকিগুলোর কাজ চলছে।’
মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
কথাগুলো বলেছিলেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিঁপড়াখালী গ্রামের পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা মো. হারুন সিকদার। গত ৭ মে পায়রা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের খোঁজ খবর নিতে গেলে কথা হয় ওই এলাকার হারুন শিকদারসহ অনেক বাসিন্দাদের সঙ্গে।
প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলেই আতঙ্কে দিন পার করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার হাজারো পরিবার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড় আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব এলাকার ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবার। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে আগামী ১৩-১৫ মে এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। পূর্বাভাসের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন উপকূলের হাজারো পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, পটুয়াখালী জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলের অধীনে ৮২২ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া উপজেলা সার্কেলের অধীনে রয়েছে ৫১৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া পোল্ডার রয়েছে ৩৬টি। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯টি এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৭ টি।
এ ছাড়া জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৫ কিলোমিটার। জেলার সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে মির্জাগঞ্জ উপজেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, গরু ভাঙা, চরমোন্তাজ, চর আন্ডা, এবং কলাপাড়া উপজেলার, নিজামপুর, লালুয়ার ইউনিয়নের চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, মুন্সীপাড়া চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর, ধানখালী ইউনিয়ন, গলাচিপার ডাকুয়া, চর কাজল, পানপট্টি, বাউফলের ধূলিয়া, মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালীকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরাসহ এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার না ফলে প্রতিবছরই বিধ্বস্ত হয় এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে উপকূলের কৃষকরা। যাতে করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা তাঁরা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে।
রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের মো. ফাহিম হোসেন বলেন, ‘ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত: ৫টি গ্রাম তলিয়ে যায় এবং পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িসহ পুকুর, ধান খেতে। অর্থাৎ জোয়ারে ডুবে থাকে এবং ভাটায় জেগে ওঠে এ ইউনিয়নটি। এভাবে চলে দিনে-রাইতে দুই বার। এ ছাড়া যখন ঝড়ের পূর্বাভাস পাই তখন ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে আমাদের।’
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ, কে সামশুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ‘চরমোন্তাজ ইউনিয়নে প্রায় ৪৫ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একেবারে কাছে হলেও অনেক স্থানে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। যার ফলে ঝড় বন্যা হলে আমরা এ এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকি।’
মির্জাগঞ্জের ইউনিয়নের মিলন মিয়া বলেন, ‘এই নদীতে আমার বাবা ও মায়ের কবর নিয়ে গেছে তাদের কোথায় কবর দিয়েছি সেই জায়গাটা পর্যন্ত এখন বলতে পারি না। আবার জোয়ার আইলে আমরা আর বাঁচতে পারমু না।’
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো নাসির হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি তবে তাদের যদি দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পূর্ব প্রস্তুতি শুরু করব।’
কলাপাড়ার লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ‘ভাই দুঃখের কথা আর কত বলবো। শুনলাম ঘূর্ণিঝড় মোখা আসতেছে। ঝড় বন্যা হলেই ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে থাকি আমরা। আজ ১৪-১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় চলছে এ ইউনিয়নটির মানুষজন। তারপরও আমাদের এ দুর্ভোগ-দুর্দশা লাঘবের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ জেলায় বেড়িবাঁধের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এখানে ৩৬টি পোল্ডার ও ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এখানে যেহেতু সংখ্যা বেশি লেন্থ ও বেশি কাজের ঝুঁকি ও বেশি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংরক্ষণ করা হবে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের ৭০৩ টির বেশি ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলায় ৫১টি মুজিব কেল্লার বরাদ্দ ছিল। ইতিমধ্যে ২৬টি মুজিব কেল্লা উদ্বোধন হয়ে গেছে বাকিগুলোর কাজ চলছে।’

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
কথাগুলো বলেছিলেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিঁপড়াখালী গ্রামের পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা মো. হারুন সিকদার। গত ৭ মে পায়রা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের খোঁজ খবর নিতে গেলে কথা হয় ওই এলাকার হারুন শিকদারসহ অনেক বাসিন্দাদের সঙ্গে।
প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলেই আতঙ্কে দিন পার করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার হাজারো পরিবার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড় আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব এলাকার ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবার। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে আগামী ১৩-১৫ মে এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। পূর্বাভাসের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন উপকূলের হাজারো পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, পটুয়াখালী জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলের অধীনে ৮২২ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া উপজেলা সার্কেলের অধীনে রয়েছে ৫১৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া পোল্ডার রয়েছে ৩৬টি। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯টি এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৭ টি।
এ ছাড়া জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১৯ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া সার্কেলে ১৫ কিলোমিটার। জেলার সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে মির্জাগঞ্জ উপজেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, গরু ভাঙা, চরমোন্তাজ, চর আন্ডা, এবং কলাপাড়া উপজেলার, নিজামপুর, লালুয়ার ইউনিয়নের চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, মুন্সীপাড়া চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর, ধানখালী ইউনিয়ন, গলাচিপার ডাকুয়া, চর কাজল, পানপট্টি, বাউফলের ধূলিয়া, মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালীকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরাসহ এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার না ফলে প্রতিবছরই বিধ্বস্ত হয় এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে উপকূলের কৃষকরা। যাতে করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা তাঁরা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে।
রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের মো. ফাহিম হোসেন বলেন, ‘ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত: ৫টি গ্রাম তলিয়ে যায় এবং পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িসহ পুকুর, ধান খেতে। অর্থাৎ জোয়ারে ডুবে থাকে এবং ভাটায় জেগে ওঠে এ ইউনিয়নটি। এভাবে চলে দিনে-রাইতে দুই বার। এ ছাড়া যখন ঝড়ের পূর্বাভাস পাই তখন ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে আমাদের।’
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ, কে সামশুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ‘চরমোন্তাজ ইউনিয়নে প্রায় ৪৫ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একেবারে কাছে হলেও অনেক স্থানে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। যার ফলে ঝড় বন্যা হলে আমরা এ এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকি।’
মির্জাগঞ্জের ইউনিয়নের মিলন মিয়া বলেন, ‘এই নদীতে আমার বাবা ও মায়ের কবর নিয়ে গেছে তাদের কোথায় কবর দিয়েছি সেই জায়গাটা পর্যন্ত এখন বলতে পারি না। আবার জোয়ার আইলে আমরা আর বাঁচতে পারমু না।’
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো নাসির হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি তবে তাদের যদি দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পূর্ব প্রস্তুতি শুরু করব।’
কলাপাড়ার লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ‘ভাই দুঃখের কথা আর কত বলবো। শুনলাম ঘূর্ণিঝড় মোখা আসতেছে। ঝড় বন্যা হলেই ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে থাকি আমরা। আজ ১৪-১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় চলছে এ ইউনিয়নটির মানুষজন। তারপরও আমাদের এ দুর্ভোগ-দুর্দশা লাঘবের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ জেলায় বেড়িবাঁধের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এখানে ৩৬টি পোল্ডার ও ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এখানে যেহেতু সংখ্যা বেশি লেন্থ ও বেশি কাজের ঝুঁকি ও বেশি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংরক্ষণ করা হবে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের ৭০৩ টির বেশি ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলায় ৫১টি মুজিব কেল্লার বরাদ্দ ছিল। ইতিমধ্যে ২৬টি মুজিব কেল্লা উদ্বোধন হয়ে গেছে বাকিগুলোর কাজ চলছে।’

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
০৮ মে ২০২৩
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা, প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
০৮ মে ২০২৩
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেসুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
০৮ মে ২০২৩
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১ ঘণ্টা আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

‘খবরে হোনলাম বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বাড়ির কূলে বেড়িবাঁধ ভাঙা। ৩২ বছরের জীবনে ৩০ বার দোকান ও ঘর বাড়ি সরাইছি। সরকার ওপদ্যা (বেড়িবাঁধ) দেয় আর ভাইঙ্গা যায়। এইবার বান (বন্যা) আইলে কোম্মে যামু আল্লাহ যানে, নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
০৮ মে ২০২৩
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে