শাহীন রহমান, পাবনা

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পাবনা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়গুণে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন এপার-ওপার বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মহানায়িকা। আসল নাম রমা সেন, চলচ্চিত্রে তাঁর নাম সুচিত্রা সেন, যার অভিনয়-সৌন্দর্য আজও দাগ কেটে আছে সবার মনে। তাঁর শৈশব–কৈশোরের একটি অংশ কেটেছে পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন শহরের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মৃত্যুর ছয় মাসের মাথায় ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করা হয় অবৈধ দখলে থাকা পাবনায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি। যে বাড়ির প্রতি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি। তারপর থেকে অনেকটা অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে বাড়িটি। জেলা প্রশাসনের দখলে থাকা বাড়িটি যেন প্রাণহীন। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। প্রায় ৯ বছর পার হলেও বাড়িতে ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ গড়ে তোলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
পাবনা থিয়েটার ’৭৭-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেন যে পাবনার মেয়ে, তা অনেকে ভুলতে বসেছেন। অনেকে জানেন না বা মানেন না। তাঁকে নিয়ে গর্ব করতেও অনেকে দ্বিধাবোধ করেন। তাঁর বাড়ি নিয়ে সংগ্রহশালা করার যে প্রত্যাশা ছিল, তার কিছুই পূরণ হয়নি।’
আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রলয় চাকী বলেন, ‘তাঁর পৈতৃক ভিটা ঘিরে যে দাবি বা পরিকল্পনা ছিল, সে সংগ্রহশালা আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। কেন হয়নি, শিল্পকলা একাডেমি বা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কী পরিকল্পনা, তা জানতে পারছি না। সব মিলিয়ে আমরা হতাশ।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটিতে “সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা” করার জন্য আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রস্তাব দেওয়া আছে। কিন্তু সেটি আজও সেই প্রস্তাব হিসেবে তাদের কাছে পড়ে আছে। কোনো উদ্যোগ নেই।’ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয় হলে কাজের গতি বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে স্মৃতি সংগ্রহশালা করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা না এলে আমাদের কিছু করার নেই।’
এদিকে, সুচিত্রা সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারের।

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পাবনা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়গুণে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন এপার-ওপার বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মহানায়িকা। আসল নাম রমা সেন, চলচ্চিত্রে তাঁর নাম সুচিত্রা সেন, যার অভিনয়-সৌন্দর্য আজও দাগ কেটে আছে সবার মনে। তাঁর শৈশব–কৈশোরের একটি অংশ কেটেছে পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন শহরের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মৃত্যুর ছয় মাসের মাথায় ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করা হয় অবৈধ দখলে থাকা পাবনায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি। যে বাড়ির প্রতি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি। তারপর থেকে অনেকটা অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে বাড়িটি। জেলা প্রশাসনের দখলে থাকা বাড়িটি যেন প্রাণহীন। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। প্রায় ৯ বছর পার হলেও বাড়িতে ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ গড়ে তোলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
পাবনা থিয়েটার ’৭৭-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেন যে পাবনার মেয়ে, তা অনেকে ভুলতে বসেছেন। অনেকে জানেন না বা মানেন না। তাঁকে নিয়ে গর্ব করতেও অনেকে দ্বিধাবোধ করেন। তাঁর বাড়ি নিয়ে সংগ্রহশালা করার যে প্রত্যাশা ছিল, তার কিছুই পূরণ হয়নি।’
আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রলয় চাকী বলেন, ‘তাঁর পৈতৃক ভিটা ঘিরে যে দাবি বা পরিকল্পনা ছিল, সে সংগ্রহশালা আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। কেন হয়নি, শিল্পকলা একাডেমি বা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কী পরিকল্পনা, তা জানতে পারছি না। সব মিলিয়ে আমরা হতাশ।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটিতে “সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা” করার জন্য আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রস্তাব দেওয়া আছে। কিন্তু সেটি আজও সেই প্রস্তাব হিসেবে তাদের কাছে পড়ে আছে। কোনো উদ্যোগ নেই।’ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয় হলে কাজের গতি বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে স্মৃতি সংগ্রহশালা করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা না এলে আমাদের কিছু করার নেই।’
এদিকে, সুচিত্রা সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারের।
শাহীন রহমান, পাবনা

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পাবনা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়গুণে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন এপার-ওপার বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মহানায়িকা। আসল নাম রমা সেন, চলচ্চিত্রে তাঁর নাম সুচিত্রা সেন, যার অভিনয়-সৌন্দর্য আজও দাগ কেটে আছে সবার মনে। তাঁর শৈশব–কৈশোরের একটি অংশ কেটেছে পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন শহরের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মৃত্যুর ছয় মাসের মাথায় ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করা হয় অবৈধ দখলে থাকা পাবনায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি। যে বাড়ির প্রতি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি। তারপর থেকে অনেকটা অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে বাড়িটি। জেলা প্রশাসনের দখলে থাকা বাড়িটি যেন প্রাণহীন। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। প্রায় ৯ বছর পার হলেও বাড়িতে ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ গড়ে তোলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
পাবনা থিয়েটার ’৭৭-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেন যে পাবনার মেয়ে, তা অনেকে ভুলতে বসেছেন। অনেকে জানেন না বা মানেন না। তাঁকে নিয়ে গর্ব করতেও অনেকে দ্বিধাবোধ করেন। তাঁর বাড়ি নিয়ে সংগ্রহশালা করার যে প্রত্যাশা ছিল, তার কিছুই পূরণ হয়নি।’
আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রলয় চাকী বলেন, ‘তাঁর পৈতৃক ভিটা ঘিরে যে দাবি বা পরিকল্পনা ছিল, সে সংগ্রহশালা আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। কেন হয়নি, শিল্পকলা একাডেমি বা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কী পরিকল্পনা, তা জানতে পারছি না। সব মিলিয়ে আমরা হতাশ।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটিতে “সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা” করার জন্য আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রস্তাব দেওয়া আছে। কিন্তু সেটি আজও সেই প্রস্তাব হিসেবে তাদের কাছে পড়ে আছে। কোনো উদ্যোগ নেই।’ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয় হলে কাজের গতি বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে স্মৃতি সংগ্রহশালা করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা না এলে আমাদের কিছু করার নেই।’
এদিকে, সুচিত্রা সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারের।

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পাবনা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়গুণে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন এপার-ওপার বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মহানায়িকা। আসল নাম রমা সেন, চলচ্চিত্রে তাঁর নাম সুচিত্রা সেন, যার অভিনয়-সৌন্দর্য আজও দাগ কেটে আছে সবার মনে। তাঁর শৈশব–কৈশোরের একটি অংশ কেটেছে পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন শহরের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মৃত্যুর ছয় মাসের মাথায় ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করা হয় অবৈধ দখলে থাকা পাবনায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি। যে বাড়ির প্রতি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি। তারপর থেকে অনেকটা অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে বাড়িটি। জেলা প্রশাসনের দখলে থাকা বাড়িটি যেন প্রাণহীন। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। প্রায় ৯ বছর পার হলেও বাড়িতে ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ গড়ে তোলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
পাবনা থিয়েটার ’৭৭-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেন যে পাবনার মেয়ে, তা অনেকে ভুলতে বসেছেন। অনেকে জানেন না বা মানেন না। তাঁকে নিয়ে গর্ব করতেও অনেকে দ্বিধাবোধ করেন। তাঁর বাড়ি নিয়ে সংগ্রহশালা করার যে প্রত্যাশা ছিল, তার কিছুই পূরণ হয়নি।’
আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রলয় চাকী বলেন, ‘তাঁর পৈতৃক ভিটা ঘিরে যে দাবি বা পরিকল্পনা ছিল, সে সংগ্রহশালা আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। কেন হয়নি, শিল্পকলা একাডেমি বা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কী পরিকল্পনা, তা জানতে পারছি না। সব মিলিয়ে আমরা হতাশ।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটিতে “সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা” করার জন্য আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রস্তাব দেওয়া আছে। কিন্তু সেটি আজও সেই প্রস্তাব হিসেবে তাদের কাছে পড়ে আছে। কোনো উদ্যোগ নেই।’ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয় হলে কাজের গতি বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে স্মৃতি সংগ্রহশালা করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা না এলে আমাদের কিছু করার নেই।’
এদিকে, সুচিত্রা সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারের।

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এ মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এ মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এ মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

একজন সাধারণ বাঙালি নারী থেকে নায়িকা, তারপর মহানায়িকা হয়ে অনেকটা নীরবে চলে যাওয়া। তাঁর নাম সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এ মহানায়িকার নবম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৩
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে