নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা বাবা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনার মামলা হয়েছে। এই মামলায় শিশুটির মা ছালমা খাতুনকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় মৃতরা হলেন, আবদুল কাইয়ুম সরদার (৩২) ও তাঁর দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিল।
আজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে নেত্রকোনা আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল ম্রং রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি শাকের আহমেদ জানান, গত শুক্রবার বিকেলে কাইয়ুম সরদারের ছোট ভাই মোস্তফা আহমেদ সরদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমা খাতুনসহ (২১) অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছালমাকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মুঞ্জর করেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে মৃত্যুর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে কাইয়ুম তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর নেত্রকোনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রশিদের কাছে একটি মেইল পাঠান। মেইলে লিখে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। গতকাল রোববার সকালে ওই মেইলটি পুলিশের হাতে আসে।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই মেইলে আবদুল কাইয়ুম বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেকে অসহায় উল্লেখ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার কথা লিখেছেন। কিন্তু কেন তিনি এসব লিখেছেন, ছেলেকে হত্যার পর কাইয়ুম আত্মহত্যা করেছেন না এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড! এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী ছালমাকেও এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা শিশুটি ও তার বাবার ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা নমুনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠিয়েছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের নাগড়া এলাকার পাঁচতলা একটি ভবনের চারতলা থেকে পুলিশ আবদুল কাইয়ুম সরদার ও তাঁর দুই বছরের ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। আবদুল কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমা খাতুন তখন জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের মতো গত বুধবার রাতে খাবার খেয়ে তারা এক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় জেগে উঠে পাশের কক্ষে একটি ফ্যানের সঙ্গে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে তিনি রশি কেটে মরদেহগুলো নামিয়ে ফেলেন। এরপর বাসার দরজা খুলে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।
আবদুল কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার গোপালের খামার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। শহরের নাগড়া এলাকার ওই বাসার চারতলার ডি-৩ ইউনিটে স্ত্রী-সন্তানসহ ভাড়া থাকতেন। তিনি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীর মেয়ে ছালমা খাতুনকে বিয়ে করেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তাদের ছেলের জন্ম হয়।
নেত্রকোনা বাবা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনার মামলা হয়েছে। এই মামলায় শিশুটির মা ছালমা খাতুনকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় মৃতরা হলেন, আবদুল কাইয়ুম সরদার (৩২) ও তাঁর দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিল।
আজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে নেত্রকোনা আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল ম্রং রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি শাকের আহমেদ জানান, গত শুক্রবার বিকেলে কাইয়ুম সরদারের ছোট ভাই মোস্তফা আহমেদ সরদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমা খাতুনসহ (২১) অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছালমাকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মুঞ্জর করেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে মৃত্যুর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে কাইয়ুম তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর নেত্রকোনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রশিদের কাছে একটি মেইল পাঠান। মেইলে লিখে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। গতকাল রোববার সকালে ওই মেইলটি পুলিশের হাতে আসে।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই মেইলে আবদুল কাইয়ুম বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেকে অসহায় উল্লেখ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার কথা লিখেছেন। কিন্তু কেন তিনি এসব লিখেছেন, ছেলেকে হত্যার পর কাইয়ুম আত্মহত্যা করেছেন না এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড! এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী ছালমাকেও এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা শিশুটি ও তার বাবার ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা নমুনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠিয়েছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের নাগড়া এলাকার পাঁচতলা একটি ভবনের চারতলা থেকে পুলিশ আবদুল কাইয়ুম সরদার ও তাঁর দুই বছরের ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। আবদুল কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমা খাতুন তখন জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের মতো গত বুধবার রাতে খাবার খেয়ে তারা এক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় জেগে উঠে পাশের কক্ষে একটি ফ্যানের সঙ্গে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে তিনি রশি কেটে মরদেহগুলো নামিয়ে ফেলেন। এরপর বাসার দরজা খুলে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।
আবদুল কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার গোপালের খামার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। শহরের নাগড়া এলাকার ওই বাসার চারতলার ডি-৩ ইউনিটে স্ত্রী-সন্তানসহ ভাড়া থাকতেন। তিনি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীর মেয়ে ছালমা খাতুনকে বিয়ে করেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তাদের ছেলের জন্ম হয়।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়দের তৈরি বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে একই ফাঁদে জড়িয়ে দুজন আহত হন। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের ফকির খিল বিলে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া কিশোরের নাম মোহাম্মদ জাহেদ (১৫)।
২ মিনিট আগেফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে কওমি শিক্ষার্থী ও সুন্নিপন্থীদের সংঘর্ষের পরদিন হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও আজ সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
১০ মিনিট আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মো. লাবিব খান লাবু (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর কুটিপাড়া ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে রংপুরের ডুবুরি দল। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবদুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
৩৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়াতে সাজন মিয়া (৪৭) নামের এক গ্যারেজের মালিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার জেরে এক দফা মারামারির পর দলবল নিয়ে সাজন মিয়ার গ্যারেজে হামলা চালান আসামি বায়েজিদ। তিনি নিজেই সাজন মিয়াকে ছুরিকাঘাত করেন।
১ ঘণ্টা আগে