Ajker Patrika

মগড়া নদীর সেতু নির্মাণ: চার বছরে ৪ পিলার, ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মগড়া নদীর সেতু নির্মাণ: চার বছরে ৪ পিলার, ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার পাহাড়পুর বাজারসংলগ্ন মগড়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ বন্ধ রেখে উধাও। ইতিমধ্যে সেতুর নির্মাণকাজের মেয়াদকালও শেষ হয়ে গেছে। সেতু কবে নির্মাণ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। 

নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাহাড়পুর-মঙ্গলসিধ সড়কের পাহাড়পুর বাজারসংলগ্ন মগড়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৮ টাকা। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে ‘তালুকদার নির্মাণ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের মেয়াদকাল ধরা হয় এক বছর। 

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই বছরের বেশি সময় চলে গেলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। সব মিলিয়ে সেতুর কাজ হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। সেতুটি না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতু না থাকায় বর্ষাকালে নৌকায় আর শুকনো মৌসুমে হেঁটে নদী পাড় হয়ে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, কামতলা, স্বরমুশিয়া, সুনই, আটিকান্দা, পোখলগাঁও, মোবারকপুর, বানিয়াজান, ছয়াশিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়। 

পাহাড়পুর-মঙ্গলসিধ সড়কটি দিয়ে মানুষ আটপাড়া উপজেলা ও সেতুর বাজার হয়ে জেলায় যোগাযোগ করে থাকে। কিন্তু সেতু না হওয়ায়িএলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দুই পাশের পিলারসহ নদীর মধ্যে দুই স্থানে দুটি করে শুধু ৪ টি পিলার তোলা গয়েছে। তাতে রড বেরিয়ে আছে। সেতু নির্মাণের কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। সেখানে ঠিকাদারের লোকজন বা কোনো শ্রমিক নেই। সেতুর লাগুয়া বাজারের ব্যবসায়ীসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিক দেখে জড়ো হন। এ সময় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

মগড়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পিলার। ছবি: আজকের পত্রিকাকামতলা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাহিদুল ইসলাম, কৃষক সবুজ মিয়া, বিষ্ণুপুরের বিল্টু মিয়া, পাহাড়পুরের জলিল মিয়া, বাজারের ব্যবসায়ী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়াসহ অন্তত ২৫ জন জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে ঠিকাদার চলে গেছে। এরপর থেকে আর কেউ এসে খোঁজ নেয়নি। পিলার নির্মাণের সময় নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও কাজ হয়নি। 

পাহাড়পুর এলাকার ভ্যানচালক মোবারক হোসেন বলেন, সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো শ্রমিক আসেন না। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। ভাটা পড়া নদীতে অনেক সময় মোটরসাইকেল চালাতে গেলে উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না। 

কামতলা গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজের কাজ মনে হয় আর হইতো না। লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে গেছে। আদৌও কি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হইব?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম তালুকদার গতকাল রোববার বিকেলে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘কাজটি আমি নিজে করিনি। আমার লাইসেন্স দিয়ে কেন্দুয়ার দীপক ব্যানার্জি ও আলয় বাবু নামের দুজন করছেন। আগে কাজের গতি ভালো ছিল। কিন্তু করোনায় নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় এখন কাজ বন্ধ আছে। সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে আবার কাজ শুরু করা হবে।’ 

এ বিষয়ে নিয়ে জানতে চাইলে দীপক ব্যানার্জির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে জেলা এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম শেখ ফোন ধরেননি। তবে আটপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আল মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘মগড়া সেতুর কাজটি নিয়ে ঠিকাদার খুবই ভোগাচ্ছে। একাধিকবার সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসর রাত শেষে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জামাল ফকির (২৮) নামে নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওই নববধূ বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে চাই, দেখি দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো। পরে কেউ দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামী ঘরের বাইরে জমির মধ্যে পড়ে আছে।’

মৃত জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা করত না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে একটি বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, যুবক আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ কর্মচারীর একে একে সবাই চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিন কর্মচারীর সবাই একে একে মারা গেলেন।

তানভীর চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকায় থাকতেন। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের একটি সাততলা ভবনের ছাদে এসি মেরামতের সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শওকত ওসমান নামের একজন কর্মচারী ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। অপর দুজনের মধ্যে মিশকাত ও তানভীর ছাদে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির চার ঘণ্টা পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শওকত মারা যান। পরে ১৭ অক্টোবর মিশকাত ও আজ দুপুরে তানভীরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। তাঁরা গণপূর্ত বিভাগের অধীনে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যানজট সচেতনতায় সাইকেল শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
যানজট নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে রাজশাহীতে সাইকেল শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যানজট নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে রাজশাহীতে সাইকেল শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে যানজট নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ‘নগর হোক সাইকেল বান্ধব, সাইকেল লেন হোক বাধ্যতামূলক’ এই স্লোগানে বর্ণাঢ্য সাইকেল শোভাযাত্রা হয়েছে। দুরন্ত বাইসাইকেলের সহযোগিতায় আজ শুক্রবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) ও রাউন্ড টেবিল বাংলাদেশ এ আয়োজন করে।

সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নেন কয়েক শ সাইক্লিস্ট। সাইকেল শোভাযাত্রাটি ঈদগাহ রোড থেকে ফায়ার সার্ভিস রোড, সিঅ্যান্ডবি মোড়, চিড়িয়াখানা, ডিআইজি অফিসের সামনে হয়ে ইউ-টার্ন নিয়ে আবার সিঅ্যান্ডবি মোড় ও ফায়ার সার্ভিস রোড পেরিয়ে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টরা বলেছেন, সাইকেল মনকে প্রফুল্ল রাখে, এটি একটি উপকারী ব্যায়াম যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখে। তাই সবারই সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এ ছাড়া নগরে দিন দিন বাড়ছে যানজট, দূষণ ও কালো ধোঁয়া। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই বাইসাইকেলের ব্যবহার এবং এর জন্য প্রয়োজন পৃথক সাইকেল লেন।

এর আগে ভোর থেকেই ঈদগাহ মাঠে জমে ওঠে সাইক্লিস্টদের মিলনমেলা। র‍্যালির আগে আয়োজিত ‘সাইকেল স্ট্যান্ড শো’ দর্শনার্থীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ জোগায়। পরে সাইক্লিস্টদের সম্মাননা স্মারক দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী।

এ সময় উপপুলিশ কমিশনার বলেন, বাইসাইকেল শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার এক শক্তিশালী মাধ্যম। নিয়মিত সাইক্লিং শরীরচর্চা ও মানসিক প্রশান্তির জন্যও অত্যন্ত উপকারী। তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘গরু চুরি করতে এসে’ গণপিটুনিতে একজন নিহত, ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গণপিটুনির শিকার চোর চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গণপিটুনির শিকার চোর চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ‘গরু চুরি করতে এসে’ গণপিটুনির শিকার হয়েছে চোর চক্রের চার সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে চক্রের সদস্য মো. মতিয়ার রহমান (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত মতিয়ার রহমান বাগেরহাটের চরগ্রাম এলাকার মৃত রশিদ শেখের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ভাগাবাজার এলাকার মো. বজলু হাওলাদারের ছেলে মো. রমন হাওলাদার (৩৮), ফকিরহাটের চাকুলি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে মো. আসাদুল শেখ (৪০) ও ফকিরহাটের আরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের ছেলে মো. জনি (৩৮)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহিশপুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. তালেবুল্লাহ জানান, ভোররাতে একটি মিনি ট্রাক নিয়ে চোর চক্রের সদস্যরা বলভদ্রপুর গ্রামে গরু চুরি করতে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। পরে চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মতিয়ার রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই মতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক ভবতোশ চন্দ্র বলেন, গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত